নিউইয়র্ক ০২:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে ঢাকার আমেজে বই মেলা ও আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব : সাহিত্য পুরষ্কার পেলেন শামসুজ্জামান খান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০১৭
  • / ১১৮৪ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বাংলা ভাষাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয়ে ‘বই হোক প্রজন্মর সেতু’ এই সেøাগান ধারণ করে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ঢাকার বাংলা একাডেমীর আমেজে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হলো ২৬তম বইমেলা ও আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব-২০১৬। এবারের মেলায় চ্যানেল আই-মুক্তধারা ২০১৭ সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইসস্থ পিএস ৬৯ মিলনায়তনে ১৯ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত যথাক্রমে শুক্র, শনি ও রোববার চলে মলা ও উৎসব। মেলা উপলক্ষ্যে র‌্যালী হয় ডাইভারসিটি প্লাজায়। এবারের মেলা আয়োজনের ব্যবস্থাপনায় কোন কমতি না থাকলেও বই কেনা-কাটায় ছিলো ‘খড়া’। ফলে মেলায় বইয়ের চেয়ে খাবার-শাড়ীর স্টলে বেশী ভীড় পরিলক্ষিত হয়। অপরদিকে আশানুরুপ বই বেনাকেনা না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন লেখক-প্রকাশকগণ। অপরদিকে মেলায় প্রতিদিন দর্শক-শ্রোতা ছিলেন উৎসবমুখর। তারা জমিয়ে আড্ডা দিয়েছেন, উপভোগ করেছেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আর প্রিয়জন, প্রিয় লেখক-প্রকাশক, শিল্পী আর তারকা অতিথিদের সাথে সেলফী তোলার হিড়িক ছিলো চোখে পড়ার মতো। তবে মেলা ও উৎসব উপলক্ষ্যে বাংলাদেশী অধুষ্যিত জ্যাকসন হাইটস এলাকা ছিলো লেখক, সাংবাদিক ও শিল্পীদের পদচারণায় মুখরিত।
উদ্বোধনী দিন শুক্রবার পড়ন্ত বিকেলে ফিতা কেটে উৎসবের উদ্বোধন করেন কলকাতার বিশিষ্ট লেখক ও বিশ্বভারতীর সাবেক অধ্যাপক পবিত্র সরকার। এ সময় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও প্রকাশকেরা উপস্থিত ছিলেন।
মেলার আয়োজক সংগঠন মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের বিশ্বজিৎ সাহা জানান, এবারের মেলায় ঢাকার ১৪টি, নিউইয়র্কের ৫টি, কানাডার একটি বইয়ের স্টল স্থান পেয়েছে। এছাড়াও প্রবাসী লেখকদের তিনটি স্টল, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশ সমিতি ও কলকাতার পাবলিসার্স এন্ড বুক ফেয়ারের একটি করে বইয়ের স্টল রয়েছে। দর্শক-শ্রোতাদের সুবিধার্থে চারটি শাড়ী আর একটি খাবার স্টল রয়েছে।
মেলার প্রথম দিন: জ্যাকসন হাইটসের পিএস ৬৯ প্রাঙ্গনে বর্ণাঢ্য র‌্যালী আর মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে নিউইয়র্কে শুরু হয় তিনদিনব্যাপী বই মেলা ও আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব। এতে নিউইয়র্ক ছাড়াও উত্তর আমেরিকার সহ বাংলাদেশ, ভারত ও জার্মানী থেকে কয়েক ডজন কবি, লেখক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক যোগ দিচ্ছেন। উদ্বোধনী দিনে মেলা প্রাঙ্গনে বিপুল সংখ্যক বইপ্রেমীরও সমাবেশ ঘটলে এদিন পুরোপুরো জমে উঠেনি মেলা ও উৎসব। এদিন রাত ৯টার দিকেও অনেক স্টল সাজাতে দেখা যায়। মেলার প্রথম দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে অনুষ্ঠিত র‌্যালীর পর সন্ধ্যা সাড়ে আটটায় মূল মঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতি ছিলো কম। তবে মেলায় আগত অতিথি, বন্ধু-বান্ধব ও প্রবাসীদের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় ছিলো চোখ পড়ার মধ্যে। তারকা লেখক-লেখিকা আর শিল্পীদের সাথে ছিলো সেলফী তোলার ভীড়।
উৎসবের শুরুতেই ছিলো মঙ্গল শোভাযাত্রা। এরপর মঞ্চে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠানমালা। মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন অধ্যাপক পবিত্র সরকার, অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ড. লীনা তাপসী, ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার, কবি ইকবাল হাসান, বিশিষ্ট ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন, লেখিকা নাজমুন নেসা পিয়ারী, কবি আমীরুল ইসলাম, প্রকাশক আহমদ মাযহার, আহবায়ক ফেরদৌস সাজেদীন, বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব জামাল হোসেন হোসেন, ড. হুমায়ূন কবীর, জসিম মল্লিক, কণাবসু মিশ্র, আলমগীর শিকদার লোটন, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, নিনি ওয়াহেদ, দুলাল তালুকদার, সব্যসাচী ঘোষ দস্তিদার, খায়রুল আনাম, তাজুল ইমাম, তাপস কর্মকার, লতিফুল ইসলাম শিবলী, হাসান ফেরদৌস প্রমুখ। এর আগে তাদের সবাইকে উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ২৬তম মেলা ও উৎসবের আহ্বায়ক ফেরদৌস সাজেদীন। তিনি এবারের আয়োজন সফল করার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত ‘আলো আমার আলো’ পরিবেশন করে আনন্দধ্বনি। এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, অধ্যাপক পবিত্র সরকার, আমীরুল ইসলাম, ড. লীনা তাপসী, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, জামাল উদ্দিন হোসেন, ফেরদৌস আরা, রোকেয়া হায়দার এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসান।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, দেশের গন্ডি পেরিয়ে প্রবাসীরা প্রবাসেও বাঙালী সংস্কৃতিকে মনেপ্রাণে লালন করছেন। তিনি বলেন, ২৬তম বাংলা উৎসব ও বইমেলা বাঙালীর বিশ্বায়ন। অধ্যাপক পবিত্র সরকার বলেন, বিশ্বজুড়ে বাঙালীর জয়জয়কার। বাঙালী সংস্কৃতি পৃথিবীর দিগন্ত থেকে দিগন্তে ছড়িয়ে পড়েছে। বাঙালীর কবিতা, সঙ্গীত, চিত্রকলা বিশ্বের পাঠকের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে।
ড. লীনা তাপসী বলেন, আমাদের বাঙালী সংস্কৃতির মৌলিক গুণ বাঁচিয়ে রাখতে হবে। যে ভাষার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি সেই রক্তের দাগ কখনো মুছে যাবে না। সেই দাগকে আমরা জিইয়ে রাখতে চাই। আমাদের প্রজন্মরা যেন জানতে পারে এই বাংলা ভাষার এই বর্ণিল শব্দগুলোর জন্য এই বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলা ভাষার যে ক্ষমতা, এই ভাষার যে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জণবর্ণ তা অনেক ক্ষমতাবান। আমরা বাংলা ভাষা জানি বলেই পৃথিবীর যে কোনো ভাষা অতি সহজেই আমরা উচ্চারণ করতে পারি।
শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষে ‘আবহমান বাংলা’ শীর্ষক নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যাঞ্জলি। এটি পরিচালনা করেন চন্দ্রা ব্যানার্জি। নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা পরিবেশন নৃত্য, আবৃত্তি ও গান। এতে অংশ নেয় অন্তরা সাহা, মার্জিয়া স্মৃতি, রিতিকা দেব, চন্দ্রিকা দে, শ্রুতিকণা দাশ, বিরশা ও শতাব্দী রায়। রবীন্দ্র সঙ্গীতের একক পরিবেশনায় অংশ নেন শামা রহমান।
মেলা ও উৎসবের প্রথম দিনের (১৯ মে, শুক্রবার) কর্মকান্ডের মধ্যে ছিলো:
বিকেলে উদ্বোধন জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায়। এরপর জমায়েত, বিশিষ্ট অতিথিদের বক্তব্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সঞ্চালনায় ছিলেন ফাহিম রেজা নূর ও মোশাররফ হোসেন।
সন্ধ্যায় ছিলো মঙ্গল শোভাযাত্রা (ডাইভারসিটি প্লাজা থেকে পিএস-৬৯ পর্যন্ত)। ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মোশাররফ, গোপাল, শুভ, মিশুক সেলিম।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মুক্তমনা মঞ্চে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। বেলুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন অধ্যাপক পবিত্র সরকার। ব্যবস্থাপনায় ছিলেন রানু ফেরদৌস। সহযোগিতায় নাসরিন চৌধুরী, রাহাত কাজী, উম্মে কুলসুম পপি। পৌনে ৭টায় উদ্বোধনী সঙ্গীত : আলো আমার আলো। পরিবেশনায়: আনন্দধ্বনি। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক বইমেলা ও আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব ২০১৭ এর আহ্বায়ক ফেরদৌস সাজেদিন। পরবর্তীতে ছিলো মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন ‘আগুনের পরশমণি’। পরিবেশনায় ছিলো আনন্দধ্বনি।
এরপর বক্তব্য রাখবেন শামসুজ্জামান খান, পবিত্র সরকার, কনসাল জেনারেল শামীম আহসান, সায়মন জাকারিয়া, আমিরুল ইসলাম, অনিন্দিতা কাজী, ড. লীনা তাপসী, ড. জিয়াউদ্দিন আহমদ, মনজুর আহমদ, জামাল উদ্দিন হোসেন ও রোকেয়া হায়দার।
রাতে ছিলো আবহমান বাংলা (উদ্বোধনী পরিবেশনা)। অংশগ্রহণে ছিলো নৃত্যাঞ্জলি। এরপর ছিলো নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের অনুষ্ঠান। অংশগ্রহণে ছিলো অন্তরা সাহা ও মার্জিয়া স্মৃতি (নৃত্য), রিতিকা দেব (আবৃত্তি), চন্দ্রিকা দে (সঙ্গীত), শ্রুতিকতা দাশ (ভায়োলিন), বিরশা (স্যাক্সোফোন), শতাব্দী রায় (সঙ্গীত)। সবশেষে ছিলো শামা রহমানের কন্ঠে রবীন্দ্রনাথের গান পরিবেশনা।
মেলার দ্বিতীয় দিন: মেলা ও উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবারের কর্মকান্ড চলে বেলা ১১ টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এদিন মেলায় ছিলো উপচে পড়া দর্শক শ্রোতার ভীড়। এদিনের কর্মকান্ডের মধ্যে ছিলো বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নির্মল বাঙালী আড্ডা, সাথে বাঙালী প্রাতরাশ। অংশগ্রহণে ছিলেন সকল লেখক ও সাহিত্যামোদী। সঞ্চালনায় ছিলেন ইকবাল হাসান।
বেলা ১টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত ছিলো লেখক-প্রকাশক-পাঠক-এর মধ্যৈ উন্মুক্ত আলোচনায় মুখোমুখি। সঞ্চালনায় ছিলেন ফাহিম রেজা নূর। এরপর ১টা ৫০ মিনিট থেকে ২টা পর্যন্ত ছিলো আমার নজরুল শীর্ষক আলোচনা। আলোচক ছিলেন ফেরদৌস আরা। বেলা ২টা ৫ মিনিট থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ছিলো কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি। সঞ্চালনায় ছিলেন মনজুর কাদের।
বিকেল ৩টা ১০ মিনিট থেকে ৪টা ৫ মিনিট পর্যন্ত ছিলো নতুন বই নিয়ে লেখকদের হাজিরা। লেখকদের মধ্যে ছিলেন সুনীল কৃষ্ণ দে, দুলাল তালুকদার, আহমেদ ছহুল, আহম্মদ হোসেন বাবু, মনজুর কাদের, খালেদ সরফুদ্দিন, স্বপ্ন কুমার, মনিজা রহমান, শামস আল মমীন, শামস চৌধুরী রুশো, রওশন হাসান, তাহমিনা জামান, রোমেনা লেইস, শাহ আলম দুলাল, কাজী জহিরুল ইসলাম, নাসরীন চৌধুরী। এই পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পবিত্র সরকার ও শামসুজ্জামান খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আদনান সৈয়দ।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিট থেকে ৪টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত ছিলো ‘পেশা ও প্রতিতী’। পেশাজীবী যখন লেখক শীর্ষক চিকিৎসক লেখকদের নিয়ে আড্ডা। অংশগ্রহণে ছিলেন ডা. সিনহা আবুল মনসুর ও শিহাব আহমেদ। সঞ্চালনায় ছিলেন ড. হুমায়ুন কবীর। অতিথি ছিলেন পবিত্র সরকার ও আহমদ মাযহার।
বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে ছিলো মোহাম্মদ আহকাম উল্লাহ’র একক কবিতা আবৃত্তি। বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে ছিলো মূলধারার বাঙালী লেখক। অংশগ্রহণে ছিলেন নাদিয়া চৌধুরী। উপস্থাপনায় ছিলেন সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমদ। এরপর বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে ছিলো নাটিকা ‘সোনার ছেলে’। পরিবেশনায় ছিলো রঙ্গালয়।
এরপর বিকেলে একাত্তরের সহযোদ্ধা শীর্ষক অনুষ্ঠানে স্যালি উলোবিকে সম্মাননা জানানো হয়। এসময় তাকে উত্তরীয় পড়িয়ে দেন শামসুজ্জামান খান ও ফাহিম রেজা নূর। পরবর্তীতে চ্যানেল আই-মুক্তধারা ২০১৭ সাহিত্য পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়। এবারের পুরষ্কার লাভ করেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। ঘোষণা করেন আমিরুল ইসলাম ও ফেরদৌস সাজেদিন।
সন্ধ্যায় ছিলো কবি সৈয়দ শামসুল হক ও শহীদ কাদরীর কবিতা নিয়ে বিশেষ স্মরণ অনুষ্ঠান। পরিবেশনায় ছিলো পেইন্টেড পোয়েমস। ভূমিকায় ছিলেন সউদ চৌধুরী। সন্ধ্যঅ ৭টা ৫ মিনিটে ছিলো প্রয়াত লোকশিল্পী কালিকা প্রসাদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। এই পরিচালনায় ছিলেন সেমন্তী ওয়াহেদ। পরবর্তীতে ছিলো হুমায়ুন আহমেদের গান ‘ অয়োময়’। এর গান পরিবেশনায় ছিলেন শাহ মাহবুব। এরপর ছিলো মুক্তধারা বইমেলা-২০১৭ ভাষণ। ‘অভিবাসী লেখকের ভাষা ও দেশকাল।’ বক্তা ছিলেন অধ্যাপক পবিত্র সরকার। এরপর ছিলো ‘লেখক বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা। এই পর্বে বক্তব্য রাখেন শামসুজ্জামান খান। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘আতœজীবনী ও কারাগারের রোচনামচা’ বইয়ের বিভিন্ন বিষয় তলে ধরে বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) দেশ-বিদেশের অনেকে জ্ঞানী-গুনীর বই পড়তেন। তার লেখা গ্রন্থ দুটিও সুলিখিত গ্রন্থ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনীতি না করে যদি লেখালেখি করতেন তাহলে তিনি অনেক বড় মাপের লেখক হতে পারতেন। শামসুজ্জামান খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর নতুন বই প্রকাশ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
পরবর্তীতেমূল মঞ্চে পবিত্র সরকার ও শামসুজ্জামান খানকে সম্মাননা দেয়া হবে। এই পর্বে পবিত্র সরকারকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন এবং তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন অধ্যাপক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ। অপরদিকে শামমসুজ্জামান খানকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন এবং তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. মাহফুজুর রহমান।
রাত ৯টায় ছিলো উত্তর আমেরিকার শিল্পীদের গানের অনুষ্ঠান ‘হে নিরুপমা’। এতে অংশ নেন নাফিয়া উর্মি, শিখা আহমেদ, জাফর বিল্লাহ ও জাভেদ ইকবাল। সবশেষে ছিলো বাংলাদেশ থেকে আগত শিল্পী ফেরদৌস আরা’র একক সঙ্গীত।
মেলার তৃতীয় দিন: মেলার তৃতীয় অর্থাৎ শেষ দিনেও ছিলো দর্শক-শ্রোতাদের উপচেপড়া ভীড়। এদিনের অনুষ্ঠানমালা চলে বেলা ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। এদিন স্বরচিত কবিতা পাঠের আসরের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানমাল সূচনা হয়। এই পর্ব সঞ্চালনায় ছিলেন মোশাররফ হোসেন। এরপর ছিলো কবিতা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা,তর্ক-বিতর্ক। পরিচালনায় ছিলেন ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন। আর অতিথি ছিলেন আবুল হাসনাত।
বেলা ১টায় ছিলো নতুন বই নিয়ে অনুষ্ঠান। অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে নিজেদের লেখা নতুন বই নিয়ে এই পর্বে অংশ নেন তমিজ উদ্দীন লোদী, প্রতীপ দাশগুপ্ত, মোখলেসুর রহমান, সৈয়দ শামসুল হুদা, মিশুক সেলিম, রিমি রুম্মান, মাকসুদা আহমেদ, খায়রুল আনাম, অরপি আহমেদ, শামসাদ হুসাম, কামরুন নাহার ডলি, আলম সিদ্দিকী, সালমা বাণী। সঞ্চালনায় ছিলেন কানাডা থেকে আগত লেখক জসীম মল্লিক।
বেলা ১টা ৪৫ মিনিটে ছিলো ‘নতুন বই: মুক্তিযুদ্ধ ও সাহিত্য’ শীর্ষক আলোচনা। এই পর্বে অতিথি ছিলেন আবুল হাসনাত অনুষ্ঠানে অংশ নেন ফকির ইলিয়াস, শরিফ মাহবুবুল আলম, আলী সিদ্দিকী। সঞ্চালনায় ছিলেন ওবায়দুল্লাহ মামুন।
বেলা ২টা ৫মিনিটে ছিলো ‘ছোট ছোট গল্পপাঠ’। অংশ নেন কথাবসু মিশ্র ও খায়রুল আনাম। এপর ছিলো ‘বাংলা শিশু সাহিত্য: শিশু সাহিত্য উপেক্ষিত কেন?’ আলোচনায় অংশ নেন শামসুজ্জামান খান, আমিরুল ইসলাম, হুমায়ুন কবীর ঢালী, কাজী জহিরুল ইসলাম, শাহ আলম দুলাল। সঞ্চালনায় ছিলেন ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন।
বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে ছিলো নতুন প্রজন্মের লেখক। অংশগ্রহণে ছিলেন ততী নন্দিনী ইসলাম ও আবীর হক। লেখকদের পরিচয় করিয়ে দেন সেমন্তী ওয়াহেদ। এরপর ছিলো সম্পাদকের আড্ডা: কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাতের সাথে আলাপচারিতা। সাথে ছিলেন কবি তমিজ উদ্দীন লোদী ও কবি শামস আল মমীন। বিকেল ৪টায় ছিলো ‘বাংলার লোক সংস্কৃতি: অজানা খনি’ শীর্ষক আলোচনা ও সঙ্গীত। অংশগ্রহণে ছিলেন শামসুজ্জামান খান ও সায়মন জাকারিয়া। সঙ্গীত পরিবেশন করেন কাবেরী দাশ। সঞ্চালনায় ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্পী তাজুল ইমাম।
বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে ছিলো সম্মাননা: দুলাল ভৌমিক। শিল্পীকে পরিচয় করিয়ে দেন শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়। এই পর্বে তাকে উত্তরীয় পড়ান শামসুজ্জামান খান। পরবর্তীতে ছিলো রঞ্জনীর পরিবেশনায় নৃত্য। এরপর বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে ছিলো দুই বাংলার সাহিত্য নিয়ে মতবিনিময় ‘একই আকাশ একই বাতাস’। অংশগ্রহণে ছিলেন আবুল হাসনাত, সালমা বাণী, ফজলুর রহমান, নাজমুন নেসা পেয়ারী, কতাবসু মিশ্র, আমিরুল ইসলাম, ফকির ইলিয়াস। সঞ্চালনায় ছিলেন নিনি ওয়াহেদ।
বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে ছিলো উত্তর আমেরিকার শিল্পীদের গানের আসর ‘গানগুলি মোর’। অংশগ্রহণে ছিলেন সাইফুল্লাহ পারভেজ, কৃষ্ণা তিথী, দেলোয়ার হোসেন ও তাহমিনা শহীদ। ৬টা ৩৫ মিনিটে ছিলো একক অভিনয় ‘অপর পুরুষ’। আব্দুল্লাহ আল মামুন রচিত এই পর্বে অভিনয় করেন শিরীন বকুল। সন্ধ্যা ৭টায় ছিলো মুখোমুখি। আলাপচারিতায় ছিলেন শামসুজ্জামান খান, পবিত্র সরকার, সায়মন জাকারিয়া, ফেরদৌস সাজেদিন, লুৎফর রহমান রিটন, আহমদ মাযহার, আবুল হাসনাত। সঞ্চালনায় ছিলেন ইকবাল হাসান।
রাত ৮টায় ছিলো একক সঙ্গীতের অনুষ্ঠান ‘রবি প্রণাম’। পরিবেশনায় ছিলেন জনপ্রিয় শিল্পী দেবাঙ্গনা সরকার। ৯টা ৫ মিনিটে অপর একক সঙ্গীত ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’-তে পরিবেশনায় ছিলেন জনপ্রিয় শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী। সবশেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন শেরা ও উৎসব কমিটির আহ্বায়ক ফেরদৌস সাজেদিন।
উল্লেখ্য, এবারের আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব ও বইমেলার অনুষ্ঠান মঞ্চের ব্যবস্থাপনা, অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিশ্বজিত সাহা, নিনি ওয়াহেদ, হাসান ফেরদৌস, রানু ফেরদৌস ও সেমন্তী ওয়াহেদ। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মোশাররফ হোসেন, গোপাল স্যানাল, শাহাদৎ, শুভ, ফাহিম রেজা নূর, জাকিয়া ফাহিম, স্বপ্ন কুমার, মণিকা রায়, পূর্ণিমা রায়, মিশুক সেলিম, মকসুদা আহমদ, রওশন হাসান ও আলপনা গুহ। ছবি: নিহার সিদ্দিকী

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

নিউইয়র্কে ঢাকার আমেজে বই মেলা ও আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব : সাহিত্য পুরষ্কার পেলেন শামসুজ্জামান খান

প্রকাশের সময় : ১০:৩৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০১৭

নিউইয়র্ক: বাংলা ভাষাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয়ে ‘বই হোক প্রজন্মর সেতু’ এই সেøাগান ধারণ করে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ঢাকার বাংলা একাডেমীর আমেজে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হলো ২৬তম বইমেলা ও আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব-২০১৬। এবারের মেলায় চ্যানেল আই-মুক্তধারা ২০১৭ সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইসস্থ পিএস ৬৯ মিলনায়তনে ১৯ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত যথাক্রমে শুক্র, শনি ও রোববার চলে মলা ও উৎসব। মেলা উপলক্ষ্যে র‌্যালী হয় ডাইভারসিটি প্লাজায়। এবারের মেলা আয়োজনের ব্যবস্থাপনায় কোন কমতি না থাকলেও বই কেনা-কাটায় ছিলো ‘খড়া’। ফলে মেলায় বইয়ের চেয়ে খাবার-শাড়ীর স্টলে বেশী ভীড় পরিলক্ষিত হয়। অপরদিকে আশানুরুপ বই বেনাকেনা না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন লেখক-প্রকাশকগণ। অপরদিকে মেলায় প্রতিদিন দর্শক-শ্রোতা ছিলেন উৎসবমুখর। তারা জমিয়ে আড্ডা দিয়েছেন, উপভোগ করেছেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আর প্রিয়জন, প্রিয় লেখক-প্রকাশক, শিল্পী আর তারকা অতিথিদের সাথে সেলফী তোলার হিড়িক ছিলো চোখে পড়ার মতো। তবে মেলা ও উৎসব উপলক্ষ্যে বাংলাদেশী অধুষ্যিত জ্যাকসন হাইটস এলাকা ছিলো লেখক, সাংবাদিক ও শিল্পীদের পদচারণায় মুখরিত।
উদ্বোধনী দিন শুক্রবার পড়ন্ত বিকেলে ফিতা কেটে উৎসবের উদ্বোধন করেন কলকাতার বিশিষ্ট লেখক ও বিশ্বভারতীর সাবেক অধ্যাপক পবিত্র সরকার। এ সময় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও প্রকাশকেরা উপস্থিত ছিলেন।
মেলার আয়োজক সংগঠন মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের বিশ্বজিৎ সাহা জানান, এবারের মেলায় ঢাকার ১৪টি, নিউইয়র্কের ৫টি, কানাডার একটি বইয়ের স্টল স্থান পেয়েছে। এছাড়াও প্রবাসী লেখকদের তিনটি স্টল, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশ সমিতি ও কলকাতার পাবলিসার্স এন্ড বুক ফেয়ারের একটি করে বইয়ের স্টল রয়েছে। দর্শক-শ্রোতাদের সুবিধার্থে চারটি শাড়ী আর একটি খাবার স্টল রয়েছে।
মেলার প্রথম দিন: জ্যাকসন হাইটসের পিএস ৬৯ প্রাঙ্গনে বর্ণাঢ্য র‌্যালী আর মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে নিউইয়র্কে শুরু হয় তিনদিনব্যাপী বই মেলা ও আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব। এতে নিউইয়র্ক ছাড়াও উত্তর আমেরিকার সহ বাংলাদেশ, ভারত ও জার্মানী থেকে কয়েক ডজন কবি, লেখক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক যোগ দিচ্ছেন। উদ্বোধনী দিনে মেলা প্রাঙ্গনে বিপুল সংখ্যক বইপ্রেমীরও সমাবেশ ঘটলে এদিন পুরোপুরো জমে উঠেনি মেলা ও উৎসব। এদিন রাত ৯টার দিকেও অনেক স্টল সাজাতে দেখা যায়। মেলার প্রথম দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে অনুষ্ঠিত র‌্যালীর পর সন্ধ্যা সাড়ে আটটায় মূল মঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতি ছিলো কম। তবে মেলায় আগত অতিথি, বন্ধু-বান্ধব ও প্রবাসীদের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় ছিলো চোখ পড়ার মধ্যে। তারকা লেখক-লেখিকা আর শিল্পীদের সাথে ছিলো সেলফী তোলার ভীড়।
উৎসবের শুরুতেই ছিলো মঙ্গল শোভাযাত্রা। এরপর মঞ্চে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠানমালা। মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন অধ্যাপক পবিত্র সরকার, অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ড. লীনা তাপসী, ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার, কবি ইকবাল হাসান, বিশিষ্ট ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন, লেখিকা নাজমুন নেসা পিয়ারী, কবি আমীরুল ইসলাম, প্রকাশক আহমদ মাযহার, আহবায়ক ফেরদৌস সাজেদীন, বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব জামাল হোসেন হোসেন, ড. হুমায়ূন কবীর, জসিম মল্লিক, কণাবসু মিশ্র, আলমগীর শিকদার লোটন, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, নিনি ওয়াহেদ, দুলাল তালুকদার, সব্যসাচী ঘোষ দস্তিদার, খায়রুল আনাম, তাজুল ইমাম, তাপস কর্মকার, লতিফুল ইসলাম শিবলী, হাসান ফেরদৌস প্রমুখ। এর আগে তাদের সবাইকে উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ২৬তম মেলা ও উৎসবের আহ্বায়ক ফেরদৌস সাজেদীন। তিনি এবারের আয়োজন সফল করার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত ‘আলো আমার আলো’ পরিবেশন করে আনন্দধ্বনি। এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, অধ্যাপক পবিত্র সরকার, আমীরুল ইসলাম, ড. লীনা তাপসী, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, জামাল উদ্দিন হোসেন, ফেরদৌস আরা, রোকেয়া হায়দার এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসান।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, দেশের গন্ডি পেরিয়ে প্রবাসীরা প্রবাসেও বাঙালী সংস্কৃতিকে মনেপ্রাণে লালন করছেন। তিনি বলেন, ২৬তম বাংলা উৎসব ও বইমেলা বাঙালীর বিশ্বায়ন। অধ্যাপক পবিত্র সরকার বলেন, বিশ্বজুড়ে বাঙালীর জয়জয়কার। বাঙালী সংস্কৃতি পৃথিবীর দিগন্ত থেকে দিগন্তে ছড়িয়ে পড়েছে। বাঙালীর কবিতা, সঙ্গীত, চিত্রকলা বিশ্বের পাঠকের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে।
ড. লীনা তাপসী বলেন, আমাদের বাঙালী সংস্কৃতির মৌলিক গুণ বাঁচিয়ে রাখতে হবে। যে ভাষার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি সেই রক্তের দাগ কখনো মুছে যাবে না। সেই দাগকে আমরা জিইয়ে রাখতে চাই। আমাদের প্রজন্মরা যেন জানতে পারে এই বাংলা ভাষার এই বর্ণিল শব্দগুলোর জন্য এই বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলা ভাষার যে ক্ষমতা, এই ভাষার যে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জণবর্ণ তা অনেক ক্ষমতাবান। আমরা বাংলা ভাষা জানি বলেই পৃথিবীর যে কোনো ভাষা অতি সহজেই আমরা উচ্চারণ করতে পারি।
শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষে ‘আবহমান বাংলা’ শীর্ষক নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যাঞ্জলি। এটি পরিচালনা করেন চন্দ্রা ব্যানার্জি। নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা পরিবেশন নৃত্য, আবৃত্তি ও গান। এতে অংশ নেয় অন্তরা সাহা, মার্জিয়া স্মৃতি, রিতিকা দেব, চন্দ্রিকা দে, শ্রুতিকণা দাশ, বিরশা ও শতাব্দী রায়। রবীন্দ্র সঙ্গীতের একক পরিবেশনায় অংশ নেন শামা রহমান।
মেলা ও উৎসবের প্রথম দিনের (১৯ মে, শুক্রবার) কর্মকান্ডের মধ্যে ছিলো:
বিকেলে উদ্বোধন জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায়। এরপর জমায়েত, বিশিষ্ট অতিথিদের বক্তব্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সঞ্চালনায় ছিলেন ফাহিম রেজা নূর ও মোশাররফ হোসেন।
সন্ধ্যায় ছিলো মঙ্গল শোভাযাত্রা (ডাইভারসিটি প্লাজা থেকে পিএস-৬৯ পর্যন্ত)। ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মোশাররফ, গোপাল, শুভ, মিশুক সেলিম।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মুক্তমনা মঞ্চে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। বেলুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন অধ্যাপক পবিত্র সরকার। ব্যবস্থাপনায় ছিলেন রানু ফেরদৌস। সহযোগিতায় নাসরিন চৌধুরী, রাহাত কাজী, উম্মে কুলসুম পপি। পৌনে ৭টায় উদ্বোধনী সঙ্গীত : আলো আমার আলো। পরিবেশনায়: আনন্দধ্বনি। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক বইমেলা ও আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব ২০১৭ এর আহ্বায়ক ফেরদৌস সাজেদিন। পরবর্তীতে ছিলো মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন ‘আগুনের পরশমণি’। পরিবেশনায় ছিলো আনন্দধ্বনি।
এরপর বক্তব্য রাখবেন শামসুজ্জামান খান, পবিত্র সরকার, কনসাল জেনারেল শামীম আহসান, সায়মন জাকারিয়া, আমিরুল ইসলাম, অনিন্দিতা কাজী, ড. লীনা তাপসী, ড. জিয়াউদ্দিন আহমদ, মনজুর আহমদ, জামাল উদ্দিন হোসেন ও রোকেয়া হায়দার।
রাতে ছিলো আবহমান বাংলা (উদ্বোধনী পরিবেশনা)। অংশগ্রহণে ছিলো নৃত্যাঞ্জলি। এরপর ছিলো নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের অনুষ্ঠান। অংশগ্রহণে ছিলো অন্তরা সাহা ও মার্জিয়া স্মৃতি (নৃত্য), রিতিকা দেব (আবৃত্তি), চন্দ্রিকা দে (সঙ্গীত), শ্রুতিকতা দাশ (ভায়োলিন), বিরশা (স্যাক্সোফোন), শতাব্দী রায় (সঙ্গীত)। সবশেষে ছিলো শামা রহমানের কন্ঠে রবীন্দ্রনাথের গান পরিবেশনা।
মেলার দ্বিতীয় দিন: মেলা ও উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবারের কর্মকান্ড চলে বেলা ১১ টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এদিন মেলায় ছিলো উপচে পড়া দর্শক শ্রোতার ভীড়। এদিনের কর্মকান্ডের মধ্যে ছিলো বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নির্মল বাঙালী আড্ডা, সাথে বাঙালী প্রাতরাশ। অংশগ্রহণে ছিলেন সকল লেখক ও সাহিত্যামোদী। সঞ্চালনায় ছিলেন ইকবাল হাসান।
বেলা ১টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত ছিলো লেখক-প্রকাশক-পাঠক-এর মধ্যৈ উন্মুক্ত আলোচনায় মুখোমুখি। সঞ্চালনায় ছিলেন ফাহিম রেজা নূর। এরপর ১টা ৫০ মিনিট থেকে ২টা পর্যন্ত ছিলো আমার নজরুল শীর্ষক আলোচনা। আলোচক ছিলেন ফেরদৌস আরা। বেলা ২টা ৫ মিনিট থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ছিলো কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি। সঞ্চালনায় ছিলেন মনজুর কাদের।
বিকেল ৩টা ১০ মিনিট থেকে ৪টা ৫ মিনিট পর্যন্ত ছিলো নতুন বই নিয়ে লেখকদের হাজিরা। লেখকদের মধ্যে ছিলেন সুনীল কৃষ্ণ দে, দুলাল তালুকদার, আহমেদ ছহুল, আহম্মদ হোসেন বাবু, মনজুর কাদের, খালেদ সরফুদ্দিন, স্বপ্ন কুমার, মনিজা রহমান, শামস আল মমীন, শামস চৌধুরী রুশো, রওশন হাসান, তাহমিনা জামান, রোমেনা লেইস, শাহ আলম দুলাল, কাজী জহিরুল ইসলাম, নাসরীন চৌধুরী। এই পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পবিত্র সরকার ও শামসুজ্জামান খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আদনান সৈয়দ।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিট থেকে ৪টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত ছিলো ‘পেশা ও প্রতিতী’। পেশাজীবী যখন লেখক শীর্ষক চিকিৎসক লেখকদের নিয়ে আড্ডা। অংশগ্রহণে ছিলেন ডা. সিনহা আবুল মনসুর ও শিহাব আহমেদ। সঞ্চালনায় ছিলেন ড. হুমায়ুন কবীর। অতিথি ছিলেন পবিত্র সরকার ও আহমদ মাযহার।
বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে ছিলো মোহাম্মদ আহকাম উল্লাহ’র একক কবিতা আবৃত্তি। বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে ছিলো মূলধারার বাঙালী লেখক। অংশগ্রহণে ছিলেন নাদিয়া চৌধুরী। উপস্থাপনায় ছিলেন সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমদ। এরপর বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে ছিলো নাটিকা ‘সোনার ছেলে’। পরিবেশনায় ছিলো রঙ্গালয়।
এরপর বিকেলে একাত্তরের সহযোদ্ধা শীর্ষক অনুষ্ঠানে স্যালি উলোবিকে সম্মাননা জানানো হয়। এসময় তাকে উত্তরীয় পড়িয়ে দেন শামসুজ্জামান খান ও ফাহিম রেজা নূর। পরবর্তীতে চ্যানেল আই-মুক্তধারা ২০১৭ সাহিত্য পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়। এবারের পুরষ্কার লাভ করেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। ঘোষণা করেন আমিরুল ইসলাম ও ফেরদৌস সাজেদিন।
সন্ধ্যায় ছিলো কবি সৈয়দ শামসুল হক ও শহীদ কাদরীর কবিতা নিয়ে বিশেষ স্মরণ অনুষ্ঠান। পরিবেশনায় ছিলো পেইন্টেড পোয়েমস। ভূমিকায় ছিলেন সউদ চৌধুরী। সন্ধ্যঅ ৭টা ৫ মিনিটে ছিলো প্রয়াত লোকশিল্পী কালিকা প্রসাদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। এই পরিচালনায় ছিলেন সেমন্তী ওয়াহেদ। পরবর্তীতে ছিলো হুমায়ুন আহমেদের গান ‘ অয়োময়’। এর গান পরিবেশনায় ছিলেন শাহ মাহবুব। এরপর ছিলো মুক্তধারা বইমেলা-২০১৭ ভাষণ। ‘অভিবাসী লেখকের ভাষা ও দেশকাল।’ বক্তা ছিলেন অধ্যাপক পবিত্র সরকার। এরপর ছিলো ‘লেখক বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা। এই পর্বে বক্তব্য রাখেন শামসুজ্জামান খান। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘আতœজীবনী ও কারাগারের রোচনামচা’ বইয়ের বিভিন্ন বিষয় তলে ধরে বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) দেশ-বিদেশের অনেকে জ্ঞানী-গুনীর বই পড়তেন। তার লেখা গ্রন্থ দুটিও সুলিখিত গ্রন্থ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনীতি না করে যদি লেখালেখি করতেন তাহলে তিনি অনেক বড় মাপের লেখক হতে পারতেন। শামসুজ্জামান খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর নতুন বই প্রকাশ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
পরবর্তীতেমূল মঞ্চে পবিত্র সরকার ও শামসুজ্জামান খানকে সম্মাননা দেয়া হবে। এই পর্বে পবিত্র সরকারকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন এবং তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন অধ্যাপক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ। অপরদিকে শামমসুজ্জামান খানকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন এবং তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. মাহফুজুর রহমান।
রাত ৯টায় ছিলো উত্তর আমেরিকার শিল্পীদের গানের অনুষ্ঠান ‘হে নিরুপমা’। এতে অংশ নেন নাফিয়া উর্মি, শিখা আহমেদ, জাফর বিল্লাহ ও জাভেদ ইকবাল। সবশেষে ছিলো বাংলাদেশ থেকে আগত শিল্পী ফেরদৌস আরা’র একক সঙ্গীত।
মেলার তৃতীয় দিন: মেলার তৃতীয় অর্থাৎ শেষ দিনেও ছিলো দর্শক-শ্রোতাদের উপচেপড়া ভীড়। এদিনের অনুষ্ঠানমালা চলে বেলা ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। এদিন স্বরচিত কবিতা পাঠের আসরের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানমাল সূচনা হয়। এই পর্ব সঞ্চালনায় ছিলেন মোশাররফ হোসেন। এরপর ছিলো কবিতা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা,তর্ক-বিতর্ক। পরিচালনায় ছিলেন ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন। আর অতিথি ছিলেন আবুল হাসনাত।
বেলা ১টায় ছিলো নতুন বই নিয়ে অনুষ্ঠান। অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে নিজেদের লেখা নতুন বই নিয়ে এই পর্বে অংশ নেন তমিজ উদ্দীন লোদী, প্রতীপ দাশগুপ্ত, মোখলেসুর রহমান, সৈয়দ শামসুল হুদা, মিশুক সেলিম, রিমি রুম্মান, মাকসুদা আহমেদ, খায়রুল আনাম, অরপি আহমেদ, শামসাদ হুসাম, কামরুন নাহার ডলি, আলম সিদ্দিকী, সালমা বাণী। সঞ্চালনায় ছিলেন কানাডা থেকে আগত লেখক জসীম মল্লিক।
বেলা ১টা ৪৫ মিনিটে ছিলো ‘নতুন বই: মুক্তিযুদ্ধ ও সাহিত্য’ শীর্ষক আলোচনা। এই পর্বে অতিথি ছিলেন আবুল হাসনাত অনুষ্ঠানে অংশ নেন ফকির ইলিয়াস, শরিফ মাহবুবুল আলম, আলী সিদ্দিকী। সঞ্চালনায় ছিলেন ওবায়দুল্লাহ মামুন।
বেলা ২টা ৫মিনিটে ছিলো ‘ছোট ছোট গল্পপাঠ’। অংশ নেন কথাবসু মিশ্র ও খায়রুল আনাম। এপর ছিলো ‘বাংলা শিশু সাহিত্য: শিশু সাহিত্য উপেক্ষিত কেন?’ আলোচনায় অংশ নেন শামসুজ্জামান খান, আমিরুল ইসলাম, হুমায়ুন কবীর ঢালী, কাজী জহিরুল ইসলাম, শাহ আলম দুলাল। সঞ্চালনায় ছিলেন ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন।
বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে ছিলো নতুন প্রজন্মের লেখক। অংশগ্রহণে ছিলেন ততী নন্দিনী ইসলাম ও আবীর হক। লেখকদের পরিচয় করিয়ে দেন সেমন্তী ওয়াহেদ। এরপর ছিলো সম্পাদকের আড্ডা: কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাতের সাথে আলাপচারিতা। সাথে ছিলেন কবি তমিজ উদ্দীন লোদী ও কবি শামস আল মমীন। বিকেল ৪টায় ছিলো ‘বাংলার লোক সংস্কৃতি: অজানা খনি’ শীর্ষক আলোচনা ও সঙ্গীত। অংশগ্রহণে ছিলেন শামসুজ্জামান খান ও সায়মন জাকারিয়া। সঙ্গীত পরিবেশন করেন কাবেরী দাশ। সঞ্চালনায় ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্পী তাজুল ইমাম।
বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে ছিলো সম্মাননা: দুলাল ভৌমিক। শিল্পীকে পরিচয় করিয়ে দেন শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়। এই পর্বে তাকে উত্তরীয় পড়ান শামসুজ্জামান খান। পরবর্তীতে ছিলো রঞ্জনীর পরিবেশনায় নৃত্য। এরপর বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে ছিলো দুই বাংলার সাহিত্য নিয়ে মতবিনিময় ‘একই আকাশ একই বাতাস’। অংশগ্রহণে ছিলেন আবুল হাসনাত, সালমা বাণী, ফজলুর রহমান, নাজমুন নেসা পেয়ারী, কতাবসু মিশ্র, আমিরুল ইসলাম, ফকির ইলিয়াস। সঞ্চালনায় ছিলেন নিনি ওয়াহেদ।
বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে ছিলো উত্তর আমেরিকার শিল্পীদের গানের আসর ‘গানগুলি মোর’। অংশগ্রহণে ছিলেন সাইফুল্লাহ পারভেজ, কৃষ্ণা তিথী, দেলোয়ার হোসেন ও তাহমিনা শহীদ। ৬টা ৩৫ মিনিটে ছিলো একক অভিনয় ‘অপর পুরুষ’। আব্দুল্লাহ আল মামুন রচিত এই পর্বে অভিনয় করেন শিরীন বকুল। সন্ধ্যা ৭টায় ছিলো মুখোমুখি। আলাপচারিতায় ছিলেন শামসুজ্জামান খান, পবিত্র সরকার, সায়মন জাকারিয়া, ফেরদৌস সাজেদিন, লুৎফর রহমান রিটন, আহমদ মাযহার, আবুল হাসনাত। সঞ্চালনায় ছিলেন ইকবাল হাসান।
রাত ৮টায় ছিলো একক সঙ্গীতের অনুষ্ঠান ‘রবি প্রণাম’। পরিবেশনায় ছিলেন জনপ্রিয় শিল্পী দেবাঙ্গনা সরকার। ৯টা ৫ মিনিটে অপর একক সঙ্গীত ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’-তে পরিবেশনায় ছিলেন জনপ্রিয় শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী। সবশেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন শেরা ও উৎসব কমিটির আহ্বায়ক ফেরদৌস সাজেদিন।
উল্লেখ্য, এবারের আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব ও বইমেলার অনুষ্ঠান মঞ্চের ব্যবস্থাপনা, অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিশ্বজিত সাহা, নিনি ওয়াহেদ, হাসান ফেরদৌস, রানু ফেরদৌস ও সেমন্তী ওয়াহেদ। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মোশাররফ হোসেন, গোপাল স্যানাল, শাহাদৎ, শুভ, ফাহিম রেজা নূর, জাকিয়া ফাহিম, স্বপ্ন কুমার, মণিকা রায়, পূর্ণিমা রায়, মিশুক সেলিম, মকসুদা আহমদ, রওশন হাসান ও আলপনা গুহ। ছবি: নিহার সিদ্দিকী