নিউইয়র্ক ০৯:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে ঘরোয়া অনুষ্ঠানেই বর্ষবরণ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৬৮ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: পৃথিবীর শত কোটি মানুষ অপেক্ষা করছিল কখন শেষ হবে মহামারির বছর, কখন ফিরে যাবে আগের স্বাভাবিক জীবনে। এ প্রত্যাশা নিয়েই ২০২০ সালকে বিদায় দিল মানুষ, বরণ করে নিল ২০২১ সালকে। করোনা সংক্রমণ রোধে বড়দিনের আগেই দেশে দেশে লকডাউন, কারফিউ ও কড়াকড়ি আরোপ হয়েছে। ঘরের ভেতরে থেকেই মানুষ ইংরেজি ক্যালেন্ডারের নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বাধ্য হলো।
প্রতি বছরের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে ‘ক্রিস্টাল বলের’ আলোকসজ্জার মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করতে প্রস্তুত ছিল আমেরিকার মানুষ। কিন্তু মহামারি করোনা তাদের আনন্দকে ফিকে করে দিয়েছে। ইংরেজি নববর্ষ বরণের কাউন্টডাউন আয়োজন হয়েছে ভিন্নভাবে। টাইমস স্কয়ারে ক্রিস্টাল বল ও কাউন্টডাউন পর্ব ঠিকই চলেছে কিন্তু তা উপভোগ করতে হয়েছে ঘরে বসে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে অ্যাপের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি ২০২১ সালকে স্বাগত জানায় টাইম স্কয়ার। তবে বিশ্বের অনেক শহরেই মানুষ বেরিয়ে এসেছিল নববর্ষকে বরণ করে নিতে। মেতেছিল আতশবাজি উৎসবে। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবছরের চেয়ে এবারের উৎসব ছিল আলাদা। অনেক কড়াকড়ি মেনে রাস্তায় বের হতে হয়েছে মানুষকে। মুখে রাখতে হয়েছে মাস্ক। সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়টিও ছিল।
চীনের উহান শহরে উৎসবে মেতেছিল মানুষ। শহরটি থেকে বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। মহামারি নিয়ন্ত্রণ করে উহান ফিরে গেছে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে। ফলে জাঁকজমকভাবে ইংরেজি নতুন বছরকে বরণ করে নিতে তেমন কোনো বাধা ছিল না। মধ্যরাতে নতুন বছরের ঘণ্টা শুরু হতেই মানুষ বেলুন উড়িয়ে দেয়, উল্লাসে মেতে ওঠে।

নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে ‘ক্রিস্টাল বলের’ আলোকসজ্জার মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করতে প্রস্তুত ছিল আমেরিকার মানুষ। কিন্তু মহামারি করোনা আমেরিকানদে আনন্দকে ফিকে করে দিয়েছে। ইংরেজি নববর্ষ ২০২১ বরণের কাউন্টডাউন আয়োজন হয়েছে একবারেই ভিন্নভাবে। টাইমস স্কয়ারে ক্রিস্টাল বল ও কাউন্টডাউন পর্ব ঠিকই চলেছে কিন্তু তা উপভোগ করতে হয়েছে ঘরে বসে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে অ্যাপের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি ২০২১ সালকে স্বাগত জানায় টাইম স্কয়ার। তবে বিশ্বের অনেক শহরেই মানুষ বেরিয়ে এসেছিল নববর্ষকে বরণ করে নিতে। মেতেছিল আতশবাজি উৎসবে। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবছরের চেয়ে এবারের উৎসব ছিল আলাদা। অনেক কড়াকড়ি মেনে রাস্তায় বের হতে হয়েছে মানুষকে। মুখে রাখতে হয়েছে মাস্ক। সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়টিও ছিল।
ঐতিহাসিক টাইমস স্কয়ারের নিউ ইয়ার ইভস অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র বিল ডি বøাজিও সস্ত্রীক যোগ দেন। সীমিত সংখ্যক লোকজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানস্থলে ছিলেঅ ব্যাপক কড়াকড়ি। আগে থেকেই নিষিদ্ধ ছিলো টাইম স্কয়ার ও তার আশেপাশে লোক আর যান চলাচলে।
আর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশী বিশেষ করে নিউইয়র্কে বসবাসকারী অনেকেই ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই বরণ করেছে ইংরেজী নতুন বছর। নতুন বছরে কমিউনিটির প্রত্যাশা করোনামুক্ত পৃথিবীর পাশাপাশি শান্তিময় গণতান্ত্রিক বিশ্ব।
জাপানের টোকিওতে ধর্মীয় উপাসনালয়ে গিয়ে নতুন বছরের শুভ কামনায় প্রার্থনায় যোগ দেয় মানুষ। তবে করোনার কারণে দর্শনার্থীদের সংখ্যা সীমিত করা হয়।
তাইওয়ানের আকাশ ছেয়ে গিয়েছিল আতশবাজিতে। দেশটির অনেক শহরে নতুন বছরের উৎসব ও অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। আতশবাজি দেখতে কিছু লোক ভিড় করলেও পুরো দেশের মানুষ তা উপভোগ করে অনলাইনে।
বিশ্বজুড়ে আকর্ষণীয় আতশবাজির একটি ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের। আলোয় আলোয় রাঙিয়ে গিয়েছিল দেশটির রাস আল-খাইমারের আকাশ। আলোকিত হয়ে উঠে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফাও।
করোনার বিধিনিষেধের মধ্যেও রাস্তায় বেরিয়ে আসে রাশিয়ার মানুষ। আতশবাজি ফুটিয়ে আনন্দ করে।
সিডনি ও মেলবোর্নে স্বাভাবিক ব্যস্ততা দেখা গেছে নতুন বছরের বরণকে ঘিরে। সিডনির বিখ্যাত হারবার ব্রিজের আতশবাজি উৎসব ছিল আগের মতো দর্শনীয় ও নান্দনিক।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নিউইয়র্কে ঘরোয়া অনুষ্ঠানেই বর্ষবরণ

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১

হককথা ডেস্ক: পৃথিবীর শত কোটি মানুষ অপেক্ষা করছিল কখন শেষ হবে মহামারির বছর, কখন ফিরে যাবে আগের স্বাভাবিক জীবনে। এ প্রত্যাশা নিয়েই ২০২০ সালকে বিদায় দিল মানুষ, বরণ করে নিল ২০২১ সালকে। করোনা সংক্রমণ রোধে বড়দিনের আগেই দেশে দেশে লকডাউন, কারফিউ ও কড়াকড়ি আরোপ হয়েছে। ঘরের ভেতরে থেকেই মানুষ ইংরেজি ক্যালেন্ডারের নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বাধ্য হলো।
প্রতি বছরের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে ‘ক্রিস্টাল বলের’ আলোকসজ্জার মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করতে প্রস্তুত ছিল আমেরিকার মানুষ। কিন্তু মহামারি করোনা তাদের আনন্দকে ফিকে করে দিয়েছে। ইংরেজি নববর্ষ বরণের কাউন্টডাউন আয়োজন হয়েছে ভিন্নভাবে। টাইমস স্কয়ারে ক্রিস্টাল বল ও কাউন্টডাউন পর্ব ঠিকই চলেছে কিন্তু তা উপভোগ করতে হয়েছে ঘরে বসে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে অ্যাপের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি ২০২১ সালকে স্বাগত জানায় টাইম স্কয়ার। তবে বিশ্বের অনেক শহরেই মানুষ বেরিয়ে এসেছিল নববর্ষকে বরণ করে নিতে। মেতেছিল আতশবাজি উৎসবে। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবছরের চেয়ে এবারের উৎসব ছিল আলাদা। অনেক কড়াকড়ি মেনে রাস্তায় বের হতে হয়েছে মানুষকে। মুখে রাখতে হয়েছে মাস্ক। সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়টিও ছিল।
চীনের উহান শহরে উৎসবে মেতেছিল মানুষ। শহরটি থেকে বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। মহামারি নিয়ন্ত্রণ করে উহান ফিরে গেছে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে। ফলে জাঁকজমকভাবে ইংরেজি নতুন বছরকে বরণ করে নিতে তেমন কোনো বাধা ছিল না। মধ্যরাতে নতুন বছরের ঘণ্টা শুরু হতেই মানুষ বেলুন উড়িয়ে দেয়, উল্লাসে মেতে ওঠে।

নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে ‘ক্রিস্টাল বলের’ আলোকসজ্জার মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করতে প্রস্তুত ছিল আমেরিকার মানুষ। কিন্তু মহামারি করোনা আমেরিকানদে আনন্দকে ফিকে করে দিয়েছে। ইংরেজি নববর্ষ ২০২১ বরণের কাউন্টডাউন আয়োজন হয়েছে একবারেই ভিন্নভাবে। টাইমস স্কয়ারে ক্রিস্টাল বল ও কাউন্টডাউন পর্ব ঠিকই চলেছে কিন্তু তা উপভোগ করতে হয়েছে ঘরে বসে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে অ্যাপের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি ২০২১ সালকে স্বাগত জানায় টাইম স্কয়ার। তবে বিশ্বের অনেক শহরেই মানুষ বেরিয়ে এসেছিল নববর্ষকে বরণ করে নিতে। মেতেছিল আতশবাজি উৎসবে। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবছরের চেয়ে এবারের উৎসব ছিল আলাদা। অনেক কড়াকড়ি মেনে রাস্তায় বের হতে হয়েছে মানুষকে। মুখে রাখতে হয়েছে মাস্ক। সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়টিও ছিল।
ঐতিহাসিক টাইমস স্কয়ারের নিউ ইয়ার ইভস অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র বিল ডি বøাজিও সস্ত্রীক যোগ দেন। সীমিত সংখ্যক লোকজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানস্থলে ছিলেঅ ব্যাপক কড়াকড়ি। আগে থেকেই নিষিদ্ধ ছিলো টাইম স্কয়ার ও তার আশেপাশে লোক আর যান চলাচলে।
আর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশী বিশেষ করে নিউইয়র্কে বসবাসকারী অনেকেই ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই বরণ করেছে ইংরেজী নতুন বছর। নতুন বছরে কমিউনিটির প্রত্যাশা করোনামুক্ত পৃথিবীর পাশাপাশি শান্তিময় গণতান্ত্রিক বিশ্ব।
জাপানের টোকিওতে ধর্মীয় উপাসনালয়ে গিয়ে নতুন বছরের শুভ কামনায় প্রার্থনায় যোগ দেয় মানুষ। তবে করোনার কারণে দর্শনার্থীদের সংখ্যা সীমিত করা হয়।
তাইওয়ানের আকাশ ছেয়ে গিয়েছিল আতশবাজিতে। দেশটির অনেক শহরে নতুন বছরের উৎসব ও অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। আতশবাজি দেখতে কিছু লোক ভিড় করলেও পুরো দেশের মানুষ তা উপভোগ করে অনলাইনে।
বিশ্বজুড়ে আকর্ষণীয় আতশবাজির একটি ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের। আলোয় আলোয় রাঙিয়ে গিয়েছিল দেশটির রাস আল-খাইমারের আকাশ। আলোকিত হয়ে উঠে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফাও।
করোনার বিধিনিষেধের মধ্যেও রাস্তায় বেরিয়ে আসে রাশিয়ার মানুষ। আতশবাজি ফুটিয়ে আনন্দ করে।
সিডনি ও মেলবোর্নে স্বাভাবিক ব্যস্ততা দেখা গেছে নতুন বছরের বরণকে ঘিরে। সিডনির বিখ্যাত হারবার ব্রিজের আতশবাজি উৎসব ছিল আগের মতো দর্শনীয় ও নান্দনিক।