নিউইয়র্কে আন্তঃষ্টেট মহাসমাবেশ হবে ঐতিহাসিক : প্রস্তুতি সম্পন্ন
- প্রকাশের সময় : ০৯:৪৯:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০১৭
- / ১৭৩২ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে সর্বাত্বক সহযোগিতার পাশাপাশি প্রবাসের যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যকার সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি আরো জোরদার এবং যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নিউইয়র্কে যুবলীগের আন্তঃষ্টেট মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে। আগামী ১৬ জুলাই রোববার বেলা তিনটায় সিটির উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই মহাসমাবেশের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মহাসমাবেশ সফল করতে সার্বিক সহযোগিতায় থাকবে নিউইয়র্ক সিটি যুবলীগ সহ ব্রঙ্কস, ব্রুকলীন, কুইন্স ও ম্যানহাটান বরো যুবলীগ। সমাবেশের অনুষ্ঠানমালার মধ্যে থাকবে শুভেচ্ছা বিনিময়, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মহাসমাবেশটি সফল করতে ইতিপূর্বে নিউইয়র্ক ষ্টেট যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলামকে আহ্বায়ক, জর্জিয়া যুবলীগের সভাপতি নূরুল ইসলাম তালুকদার নাহিদকে নির্বাহী যুগ্ম আহ্বায়ক, মেট্রো ওয়াশিংটন যুবলীগের সভাপতি এম রবিউল ইসলাম রাজুকে প্রধান সমন্বয়কারী, ফ্লোরিডা যুবলীগের সভাপতি সঞ্জয় কুমার সাহাকে সমন্বয়কারী, নিউইয়র্ক ষ্টেট যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শোয়েব আহমদকে সদস্য সচিব এবং নিউইয়র্ক ষ্টেট যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজান চৌধুরীকে প্রচার সেলের প্রধান করে একটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সকল ষ্টেট যুবলীগের সভাপতি পদাধিকার বলে এই কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সকল ষ্টেট কমিটির সাধারণ সম্পাদক যুগ্ম সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। বার্তা সংস্থা ইউএনএ’র সাথে পৃথক পৃথক সাক্ষাৎকারে মহাসমোবেশ প্রস্তুতি কমিটির নেতৃবৃন্দ নানা তথ্য তুলে ধরেছেন।
রবিউল ইসলাম, আহ্বায়ক
যুবলীগের আন্তঃষ্টেট মহাসমাবেশ সম্পর্কে আহ্বায়ক ও নিউইয়র্ক ষ্টেট যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, ১৬ জুলাইর মহাসমাবেশের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনটি সফল করতে আমরা ব্যাপক প্রসাতুতি নিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের সকল ষ্টেট থেকেই যুবলীগের নেতা-কর্মীরা যোগ দেবে। আসন্ন মহাসমাবেশ হবে একটি ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় যুব সমাবেশ। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার যুবসমাজের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠন। দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগও অন্যতম বৃহৎ যুব সংগঠন। আমরা দলের নিময়-শৃঙ্খলা আর গঠনতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রতি পূর্ণ আস্থাশীল হয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের সার্বিক সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগকে আরো শক্তিশালী করতে বদ্ধ পরিকর। আমরা দৃঢ়তার সাথে বিশ্বাস করি ১৬ জুলাই’র মহাসমাবেশের মধ্যদিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ কাউন্সিলের পথে এগিয়ে যাবে এবং কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগে যোগ্য ও নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। নতুন কমিটিতে যুবলীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিতি নেতা মূল্যায়িত হবেন। তিনি ১৬ জুলাই’র সম্মেলন সফল এবং আগামী দিনের চলার পথে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
শোয়েব আহমদ, সদস্য সচিব
আন্তঃষ্টেট মহাসমাবেশ-এর সদস্য সচিব ও নিউইয়র্ক ষ্টেট যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শোয়েব আহমদ বলেন, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ব্যক্তিগত কোন চাওয়া থাকতে নেই। আমরা এই প্রবাসে নিজের স্বার্থে নয়, দল ও দেশের স্বার্থে ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগনের নেত্রী, তার সরতার জনদরদী সরকার। জীবন বাজী রেখে তিনি দেশ পরিচালনা করছেন। তার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে। তাই প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে প্রবাসের যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করতেই আমাদের আন্তঃষ্টেট মহাসমাবেশ আয়োজন। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে প্রবাসের যুব সমাজ নতুন করে উদ্দীপ্ত হবে, নতুন প্রাণ ফিরে পাবে। সেই সাথে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ শক্তিশালী হবে। তিনি বলেন, মহাসমাবেশে আমাদের দাবী থাকবে, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সম্মেলন আর যোগ্য ও ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়নের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন।
নূরুল ইসলাম তালুকদার নাহিদ, নির্বাহী যুগ্ম আহ্বায়ক
যুবলীগের আন্তঃষ্টেট মহাসমাবেশ-এর নির্বাহী যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, গত বছর আমরা ফ্লোরিডায় প্রথম আন্তঃষ্টেট মহাসমাবেশ করি। ১৬ জুলাই নিউইয়র্কের মহাসমাবেশ হবে দ্বিতীয় সমাবেশ। এজন্য আমাদের বিশাল প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতি বাস্তবায়নে যুবলীগ ঐক্যবদ্ধ। আশা করছি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য যুবলীগ কাজ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবে। আর যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগকে শক্তিশালী করতে প্রবাসের যুবসমাজের মধ্যে ইস্পাত ঐক্য গড়ে তোলাই মহাসমাবেশের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, আমরা যুবলীগে স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন আর যোগ্য নেতৃত্ব চাই।
এম রবিউল ইসলাম রাজু, প্রধান সমন্বয়কারী
আন্তঃষ্টেট মহাসমাবেশ-এর , প্রধান সমন্বয়কারী এম রবিউল ইসলাম রাজু বলেন, যুবসমাজের অহংকার মিবাহ-ফরিদ নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ বাংলাদেশের ১/১১-এর ঘটনার সময় দল ও দেশের জন্য যে ভূমিকা রেখেছে তা প্রবাসে যুবলীগের রাজনীতির ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা মিজবাহ-ফরিদের উত্তরাধিকারী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে চাই। হাসিনা সরকারের উন্নয়নের মাহাসড়ককে আরো এগিয়ে নিতে চাই। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের যোগ্য ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব চাই। আমার বিশ্বাস কেন্দ্রীয় যুবলীগ যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের কর্মকান্ড সম্পর্কে অবহিত। দলের জন্য কে কাজ করছে, আর নিজের স্বার্থে কে দলকে ব্রবহার করছে তা নেতৃবৃন্দ জানেন। তাই আমরা যুবলীগে কোন পকেট কমিটি চাই না। কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি চাই। সেই লক্ষ্য নিয়েই আন্তঃষ্টেট মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে এবং সমাবেশের সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে।
সঞ্জয় কুমার সাহা, সমন্বয়কারী
যুবলীগের আন্তঃষ্টেট মহাসমাবেশ-এর সমন্বয়কারী সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত প্রথম আন্তঃষ্টেট মহাসমাবেশের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছি। ঐ সমাবেশের আলোকে আমরা নিউইয়র্কের মহাসমাবেশকে ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় করতে চাই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিষণ ২০২০ আমাদের আগামী দিনের প্রেরণা। আর এই ভিষণ বাস্তবায়ন করতে হলে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগে ঐক্য আর যোগ্য নেতৃত্ব দরকার। সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব খুঁজে বের করতে হবে। কারা যুবলীগের ত্যাগী নেতা-কর্মী তার মূল্যায়ণ করা যাবে। তিনি বলেন, মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে আমরা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিতে চাই যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী যুব সংগঠন। তিনি বলেন, এবারের সম্মেলনের ম্যাসেজ হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগে ‘কোন সিলেকশন নয়, ইলেকশন’-এর মধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠুক।