নিউইয়র্ক ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

তানজির চৌধুরীর নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:১৮:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১১২ বার পঠিত

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): বিশিষ্ট লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাহমুদ রেজা চৌধুরী এবং সাবেক ব্যাংকার সুরাইয়া খানমের একমাত্র পুত্র তানজির রেজা চৌধুরীর নামাজে জানাজা শনিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে (জেএমসি) অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা নামাজ শেষে তানজিরের মরদেহ লং আইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল পার্ক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়ে তানজির রেজা চৌধুরী শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডস্থ নরশোর হাসপাতালের শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিলো ৩৯ বছর। মৃত্যুকালে তানজির স্ত্রী এটর্নী সুরাইয়া রহমান ও মা-বাবা সহ অনেক আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। খবর ইউএএ’র।
তানজির রেজা চৌধুরীর নামাজে জানাজায় সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেন। এছাড়াও বিপুল সংখ্যক বিদেশীও সমবেদনা জানাতে জেএমসিতে উপস্থিত হন। জেএমসি-তে তার মরদেহ আনার পর শেষবারের মতো তাকে দেখার সময় তাঁর মা-বা সহ অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় বাবা মাহমুদ রেজা চৌধুরী পুত্রের কফিনের পাশে দাঁড়িয়ে বিশেষ দোয়া মুনাজাত করেন। এরপর জানাজা নামাজের পূর্বে উপস্থিত মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন এবং একমাত্র পুত্রের জন্য দোয়া কামনা করেন। এরপর জেএমসি’র ইমাম ও খতিব মির্জা আবু জাফর বেগ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
এদিকে মাহমুদ রেজা চৌধুরী বার্তা সংস্থা ইউএনএ-কে জানান, কয়েক সপ্তাহ আগা তানজির স্বস্ত্রীক থাইল্যান্ড বেড়াতে যায়। সেখানে অসুস্থবোধ করলে দ্রæত নিউইয়র্ক ফিরে আসে। পরবর্তীতে তানজির চিকিৎসকদের দারস্ত হয় এবং শরীর খারাপ বোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শে লং আইল্যান্ডের নর্থশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার হার্টে একটি ৯০% এবং অপরটি ১০০% বøক ধরা পড়লে তাৎক্ষনিকভাবে রিং পড়ানো হয়। এরপর হাসপাতালে সপ্তাহ খানেক থাকার পর চিকিৎসকরা তাকে বাসায় বেড রেষ্টে থাকার পরামর্শ দিয়ে হাসপাতালথেকে রিলিজ করে দেয়। গত ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তানজিরের শারীরিক অবস্থা ষ্টেবল ছিলো। এদিন মাহমুদ রেজা চৌধুরী স্বস্ত্রীক পুত্রকে দেখতে তার লং আইল্যান্ডের বাসায় দেখতে যান এবং দীর্ঘ সময় মা-বাবা পুত্রের সাথে সময় কাটান। এটাই ছিলো পুত্র তানজিরের সাথে মা-বাবার শেষ দেখা ও কথা। এর পরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুত্রবধু এটর্নী সুরাইয়া রহমান জরুরী ফোন কলে জানান যে, তানজিরের অবস্থা খারাপ এবং তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শোক প্রকাশ: কমিউনিটির পরিচিত মুখ, বিশিষ্ট লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাহমুদ রেজা চৌধুরীর পুত্র বিয়োগে নিউইয়র্কের বিভিন্ন বাংলা মিডিয়ার সম্পাদক, সাংবাদিক, কবি-লেখক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

তানজির চৌধুরীর নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন

প্রকাশের সময় : ০৪:১৮:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): বিশিষ্ট লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাহমুদ রেজা চৌধুরী এবং সাবেক ব্যাংকার সুরাইয়া খানমের একমাত্র পুত্র তানজির রেজা চৌধুরীর নামাজে জানাজা শনিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে (জেএমসি) অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা নামাজ শেষে তানজিরের মরদেহ লং আইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল পার্ক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়ে তানজির রেজা চৌধুরী শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডস্থ নরশোর হাসপাতালের শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিলো ৩৯ বছর। মৃত্যুকালে তানজির স্ত্রী এটর্নী সুরাইয়া রহমান ও মা-বাবা সহ অনেক আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। খবর ইউএএ’র।
তানজির রেজা চৌধুরীর নামাজে জানাজায় সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেন। এছাড়াও বিপুল সংখ্যক বিদেশীও সমবেদনা জানাতে জেএমসিতে উপস্থিত হন। জেএমসি-তে তার মরদেহ আনার পর শেষবারের মতো তাকে দেখার সময় তাঁর মা-বা সহ অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় বাবা মাহমুদ রেজা চৌধুরী পুত্রের কফিনের পাশে দাঁড়িয়ে বিশেষ দোয়া মুনাজাত করেন। এরপর জানাজা নামাজের পূর্বে উপস্থিত মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন এবং একমাত্র পুত্রের জন্য দোয়া কামনা করেন। এরপর জেএমসি’র ইমাম ও খতিব মির্জা আবু জাফর বেগ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
এদিকে মাহমুদ রেজা চৌধুরী বার্তা সংস্থা ইউএনএ-কে জানান, কয়েক সপ্তাহ আগা তানজির স্বস্ত্রীক থাইল্যান্ড বেড়াতে যায়। সেখানে অসুস্থবোধ করলে দ্রæত নিউইয়র্ক ফিরে আসে। পরবর্তীতে তানজির চিকিৎসকদের দারস্ত হয় এবং শরীর খারাপ বোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শে লং আইল্যান্ডের নর্থশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার হার্টে একটি ৯০% এবং অপরটি ১০০% বøক ধরা পড়লে তাৎক্ষনিকভাবে রিং পড়ানো হয়। এরপর হাসপাতালে সপ্তাহ খানেক থাকার পর চিকিৎসকরা তাকে বাসায় বেড রেষ্টে থাকার পরামর্শ দিয়ে হাসপাতালথেকে রিলিজ করে দেয়। গত ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তানজিরের শারীরিক অবস্থা ষ্টেবল ছিলো। এদিন মাহমুদ রেজা চৌধুরী স্বস্ত্রীক পুত্রকে দেখতে তার লং আইল্যান্ডের বাসায় দেখতে যান এবং দীর্ঘ সময় মা-বাবা পুত্রের সাথে সময় কাটান। এটাই ছিলো পুত্র তানজিরের সাথে মা-বাবার শেষ দেখা ও কথা। এর পরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুত্রবধু এটর্নী সুরাইয়া রহমান জরুরী ফোন কলে জানান যে, তানজিরের অবস্থা খারাপ এবং তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শোক প্রকাশ: কমিউনিটির পরিচিত মুখ, বিশিষ্ট লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাহমুদ রেজা চৌধুরীর পুত্র বিয়োগে নিউইয়র্কের বিভিন্ন বাংলা মিডিয়ার সম্পাদক, সাংবাদিক, কবি-লেখক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।