ড. মাহফুজুর রহমানের ইন্তেকাল
- প্রকাশের সময় : ০৫:০২:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৭
- / ৮৪৩ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: বাংলা একাডেমী পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও জাতিসংঘের সাবেক অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজুর রহমান (৮২) আর নেই। দূরারোগ্য ক্যান্সারে ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ নভেম্বর বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে তিনি নিউইয়র্কের নর্থ শোর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্নাল্লিাহি ওয়া ইন্না ইয়াইহি রাজেউন)। মৃত্যুকালে স্ত্রী ফরিদা রহমান, একমাত্র পুত্র ও কন্যা তার পাশে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ‘অটোবায়োগ্রাফি এবং ভ্রমণকাহিনী’র জন্যে ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। ড. মাহফুজুর রহমান মুক্তধারা আয়োজিত ২০১৭ সালে নিউইয়র্কে আয়োজিত একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধক ছিলেন। ড. মাহফুজুর রহমানের নামাজে জানাজা বৃহস্পতিবার বাদ জোহর জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে।
সংক্ষিপ্ত জীবনী: ১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স করার পর ১৯৬৬ সালে আবারো একই বিষয়ে ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও উচ্চতর ডিগ্রী নেন মাহফুজ। ১৯৭৩ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি করেছেন রোটারডেমে অবস্থিত নেদারল্যান্ড স্কুল অব ইকনোমিক্স থেকে। পাকিস্তান পরিকল্পনা কমিশন এবং সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশের পরিকল্পনা কমিশনেও চাকরি করেছেন মাহফুজ। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে অর্থনীতিবিদ হিসেবে চাকরি শুরু করেন ১৯৭৬ সালে। ১৯৯৫ সালে তিনি জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ হিসেবে জাতিসংঘ থেকে অবসর নিয়েছেন। এরপর বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে এবং সমসাময়িক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু গ্রন্থ লিখেছেন ড. মাহফুজ। তাঁর উলে¬খযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: ‘খোদা হাফেজ ভার্সেস আল¬াহ হাফেজ’, ‘কত ঘরে দিলে ঠাঁই’, ‘বাংলার ফুল’, ‘অসুবিধা নাই’, লজ্ঝা আরেকবার, ‘আরজ আলী মাতব্বর’, ‘র্যাবের হত্যাকান্ডের ব্যাপারে কিছু বলা উচিত’, ‘সহিংসতা, সন্ত্রাস এবং ইসলাম’ ইত্যাদি।
ড. মাহফুজুর রহমানের ইন্তেকালে টাইম টেলিভিশন ও সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার পক্ষ থেকে সিইও/সম্পাদক আবু তাহের, সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক ও সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব শিবলী চৌধুরী কায়েস, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও মুক্তধারা নিউইয়ক-এর পক্ষ থেকে বিশ্বজিৎ সাহা গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।