হককথা রিপোর্ট: গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রম্য লেখক ড. খসরুজ্জামান চৌধুরীর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী ৪ ফেব্রæয়ারী। ২০১৩ সালের এই দিনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ব্যাটন রুজ শহরে নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, দক্ষ সরকারী কর্মকর্তা, নন্দিত কথাসাহিত্যিক। মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান আর সাহসী ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১৪ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করেন।
ড. খসরুজ্জামান চৌধুরীর জন্ম সিলেট জেলার বিয়ানী বাজারে। ১৯৬৬ সালে তিনি তদানিন্তন পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। ’৭১-এ কিশোরগঞ্জের মহকুমা প্রশাসক থাকাকালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসাবে কর্মরত ছিলেন। স্বাধীনতা বাংলাদেশে তিনি দেশে অন্যতম সর্ববৃহৎ জেলা ময়মনসিংহ-এর জেলা প্রশাসক পদে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হর্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক এ্যাডমিনিস্ট্রেশনে মাস্টার্স এবং সিরাকিউজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করে লুইজিআনা অঙ্গরাজ্যের সাদার্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি, ফিনান্স এবং পাবলিক পলিসি বিষয়ে অধ্যাপনা করেন।
ড. চৌধুরী ছিলেন বাংলা এবং ইংরেজী ভাষার সুলেখক। অর্থনীতি ছাড়াও তার লেখা ছোট গল্প, কবিতা, ছড়া, দেশ ভ্রমণ, কৌতুক প্রভৃতি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রকায় প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে একাধিক গ্রন্থ। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ড. খসরুজ্জামান চৌধুরী জীবদ্দশায় নিউইয়র্কের বিভিন্ন বাংলা সংবাদপত্রে নিয়মিত লিখতেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী অধ্যাপিকা তাহমিনা জামান, পুত্র, কন্যা, পুত্রবধূ, জামাতা, নাতী-নাতনী এবং বহু শুভাকাংখী রেখে যান।
ড.খসরুজ্জামান চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর বিদেহী আতœার মাগফেরাত কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসী ও প্রবাসীদের দোয়া কামনা করা হয়েছে।