নিউইয়র্ক ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
ইমিগ্র্যান্টস ইন্টারন্যাশনাল ইনক’র সংবাদ সম্মেলন

ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ভয়কে জয় করতে হবে : এটর্নী মঈন চৌধুরী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:০২:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৫১ বার পঠিত

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন নীতি নিয়ে নানা আতঙ্ক, ভয়-ভীতি আর শঙ্কার কথা শুনা যাচ্ছে। এনিয়ে বাংলাদেশী কমিউনিটি সহ অন্যান্য কমিউনিটিতে নানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এনিয়ে এখনই ততো আতঙ্কের কিছু নেই, ভয়কে জয় করতে হবে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতা ও নব গঠিত ইমিগ্র্যান্টস ইন্টারন্যাশনাল ইনক’র চেয়ারপারসন এটর্নী মঈন চৌধুরী এসব কথা বলেন। এই সংগঠনের মূল শ্লোগান হচ্ছে ‘ভয়েস অব ইমিগ্র্যান্টস’। খবর ইউএনএ’র।
সংবাদ সম্মেলনে ইমিগ্র্যান্টস ইন্টারন্যাশনাল ইনক’র ডাইরেক্টর জহিরুল ইসলাম মিঠু, ইসলামিক সার্কেল অব আমেরিকা (মদিনা মসজিদ)-এর সভাপতি এডভেকেটনাসির উদ্দিন ও বাংলাদেশী আমেরিকান সোসাইটি’র সাধারণ সম্পাদক আমীন মেহেদী বাবু উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এটর্নী মঈন চৌধুরী বলেন, যুক্তরষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ইমগ্রেশন পরিস্থিতি তুলে ধরতেই এই সংবাদ সম্মেলন। তিনি বলেন, ২০২৫ সালে ২০ জানুয়ারী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসডেন্ট হিবে দায়িত্ব নেয়ার পর এই দেশের আইনে যা আছে তাই চলতে থাকবে। তড়িঘনি কোন কিছু হবে না। এটর্নী মঈন চৌধুরী যে কোন সমস্যা আর প্রয়োজনে নিজ নিজ এলাকার নির্বাচিত জন প্রতিনিধির কাছে তুলে ধরার আহŸান জানান। প্রয়োজনে স্থানীয় কংগ্রেসম্যান ও সিনেটরকে চিঠি লিখে সমস্যার কথা জানাতে হবে। এছাড়াও তিনি অভিজ্ঞ এটর্নীর সাথে পরামর্ম নেয়ার কথাও বলেন।
এটর্নী মঈন চৌধুরী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আইনের দেশ। প্রেসিডেন্ট পুত্র আর ট্রাম্পও আইনের উর্ধ্বে নন। তাদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। আইন মেনেই সবাইকে চলতে হবে। তিনি ভয় না পেয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য কমিউনিটির সকলের প্রতি আহŸান জানান। পরে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে এটর্নী মঈন চৌধুরী বলেন, সোস্যাল মিডিয়াতে ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন বিষয়ে নানা কথা আসছে। যা অনেকের মাঝেই বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। তবে সবার মনে রাখতে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ইমিগ্রেশন নীতির বিষয়ে যেসব আইন বলবৎ রয়েছে, সে সব আইনের বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা ট্রাম্পের নেই। আর ট্রাম্প যদি কোন নতুন আইন করতে চান তার জন্য অনেক সময় প্রয়োজন। তবে যাদের বিরুদ্ধে কোন কেস ইমিগ্রেশন কোর্টে পেনডিং আছে, যাদের কোন ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই, বা ডিপোর্টেশন অর্ডার নেই তাদের ভয়ের কোন কারণ নেই। এসময় তিনি বিভিন্ন কেস বিষয়ের পরিস্থিতিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প মানেই অতঙ্ক নয়, তবে দুই বিষয় গুরুত্বপূর্ণ আর তা হলো ইললীগ্যাল ও অনডকুমেন্ট।
অপর এক প্রশ্নে উত্তরে মঈন চৌধুরী বলেন, ডেকা প্রোগ্রাম এখনো চলমান। এই সমস্যারও সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ট্রাম্প চাইলেই সবকিছু করতে পারবে না। কেননা, এই দেশের প্রশাসনের সবাই কিন্তু প্রেসিডেন্টর কথায় চলে না। সকল বিভাগের নিজস্ব নীতি রয়েছে।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইমিগ্র্যান্টস ইন্টারন্যাশনাল ইনক’র সংবাদ সম্মেলন

ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ভয়কে জয় করতে হবে : এটর্নী মঈন চৌধুরী

প্রকাশের সময় : ০২:০২:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন নীতি নিয়ে নানা আতঙ্ক, ভয়-ভীতি আর শঙ্কার কথা শুনা যাচ্ছে। এনিয়ে বাংলাদেশী কমিউনিটি সহ অন্যান্য কমিউনিটিতে নানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এনিয়ে এখনই ততো আতঙ্কের কিছু নেই, ভয়কে জয় করতে হবে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতা ও নব গঠিত ইমিগ্র্যান্টস ইন্টারন্যাশনাল ইনক’র চেয়ারপারসন এটর্নী মঈন চৌধুরী এসব কথা বলেন। এই সংগঠনের মূল শ্লোগান হচ্ছে ‘ভয়েস অব ইমিগ্র্যান্টস’। খবর ইউএনএ’র।
সংবাদ সম্মেলনে ইমিগ্র্যান্টস ইন্টারন্যাশনাল ইনক’র ডাইরেক্টর জহিরুল ইসলাম মিঠু, ইসলামিক সার্কেল অব আমেরিকা (মদিনা মসজিদ)-এর সভাপতি এডভেকেটনাসির উদ্দিন ও বাংলাদেশী আমেরিকান সোসাইটি’র সাধারণ সম্পাদক আমীন মেহেদী বাবু উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এটর্নী মঈন চৌধুরী বলেন, যুক্তরষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ইমগ্রেশন পরিস্থিতি তুলে ধরতেই এই সংবাদ সম্মেলন। তিনি বলেন, ২০২৫ সালে ২০ জানুয়ারী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসডেন্ট হিবে দায়িত্ব নেয়ার পর এই দেশের আইনে যা আছে তাই চলতে থাকবে। তড়িঘনি কোন কিছু হবে না। এটর্নী মঈন চৌধুরী যে কোন সমস্যা আর প্রয়োজনে নিজ নিজ এলাকার নির্বাচিত জন প্রতিনিধির কাছে তুলে ধরার আহŸান জানান। প্রয়োজনে স্থানীয় কংগ্রেসম্যান ও সিনেটরকে চিঠি লিখে সমস্যার কথা জানাতে হবে। এছাড়াও তিনি অভিজ্ঞ এটর্নীর সাথে পরামর্ম নেয়ার কথাও বলেন।
এটর্নী মঈন চৌধুরী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আইনের দেশ। প্রেসিডেন্ট পুত্র আর ট্রাম্পও আইনের উর্ধ্বে নন। তাদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। আইন মেনেই সবাইকে চলতে হবে। তিনি ভয় না পেয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য কমিউনিটির সকলের প্রতি আহŸান জানান। পরে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে এটর্নী মঈন চৌধুরী বলেন, সোস্যাল মিডিয়াতে ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন বিষয়ে নানা কথা আসছে। যা অনেকের মাঝেই বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। তবে সবার মনে রাখতে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ইমিগ্রেশন নীতির বিষয়ে যেসব আইন বলবৎ রয়েছে, সে সব আইনের বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা ট্রাম্পের নেই। আর ট্রাম্প যদি কোন নতুন আইন করতে চান তার জন্য অনেক সময় প্রয়োজন। তবে যাদের বিরুদ্ধে কোন কেস ইমিগ্রেশন কোর্টে পেনডিং আছে, যাদের কোন ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই, বা ডিপোর্টেশন অর্ডার নেই তাদের ভয়ের কোন কারণ নেই। এসময় তিনি বিভিন্ন কেস বিষয়ের পরিস্থিতিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প মানেই অতঙ্ক নয়, তবে দুই বিষয় গুরুত্বপূর্ণ আর তা হলো ইললীগ্যাল ও অনডকুমেন্ট।
অপর এক প্রশ্নে উত্তরে মঈন চৌধুরী বলেন, ডেকা প্রোগ্রাম এখনো চলমান। এই সমস্যারও সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ট্রাম্প চাইলেই সবকিছু করতে পারবে না। কেননা, এই দেশের প্রশাসনের সবাই কিন্তু প্রেসিডেন্টর কথায় চলে না। সকল বিভাগের নিজস্ব নীতি রয়েছে।