নিউইয়র্ক: ‘জাতিসংঘ পুলিশ (টঘচঙখ) এর গর্বিত সদস্য হিসেবে, টেকসই শান্তি ও উন্নয়নের জন্য এর যেকোনো উদ্যোগে অবদান রাখতে আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি’। গত ১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক¯’ জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে জাতিসংঘ পুলিশ প্রধানদের সম্মেলন (টঘঈঙচঝ ২০২২) উপলক্ষে আয়োজিত ‘জাতিসংঘ পুলিশ এর অংশগ্রহণে টেকসই শান্তি ও উন্নয়ন’ শীর্ষক উ”চ পর্যায়ের বৈঠকে একথা বলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি।
নিরাপত্তা ও উন্নয়ন পরস্পর নির্ভরশীল এবং এটি পারস্পরিকভাবেই শক্তিশালী, একথা উল্লেখ কওে তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন কর্মকান্ডের সুবিধার্থে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা কার্যক্রমকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও সুসংগত দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে”।
সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ভঙ্গুরতার মূল কারণ চিহ্নিত করে ঐ সকল দেশে মৌলিক সেবা প্রদান, অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সংস্কার বাস্তবায়নে দেশসমূহের সরকারি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে জাতিসংঘকে সহায়তা প্রদানের আহবান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ পুলিশ, জাতিসংঘের কান্ট্রিটিম ও সংবাদ এবং জাতীয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে একটি সুসংগত ও সমন্বিত ব্যাবস্হাপনার প্রয়োজন’।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিরাপত্তা খাত সংস্কারে জাতিসংঘ পুলিশিং এর ভূমিকা এবং ম্যান্ডেট অনুযায়ী আইনের শাসন জোরদার ও বিশেষায়িত পুলিশ টিমের (এসপিটি) উপর গুরুত্বরোপ করেন। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষায় মাঠ পর্যায়ে আরও অধিক নারী পুলিশ মোতায়েন এবং সিনিয়র পদে নারী পুলিশ কর্মকর্তা বৃদ্ধির প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে দক্ষ নারী পুলিশ অফিসার এবং সুসজ্জিত পুলিশ ইউনিটগুলোতে অবদান রাখতে বাংলাদেশ পুলিশের প্র¯‘তির কথা উল্লেখ করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে পরিবেশগত ঝুঁকি কমাতে নবায়নযোগ্য শক্তি এবং প্রাকৃতিক আঁশ-ভিত্তিক পণ্য ব্যবহারের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘শান্তিরক্ষীগণ মোতায়েন রয়েছে এমন দেশগুলোতে এই পদক্ষেপ টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি ইতিবাচক ভূমিকা রেখে যাবে’। বাংলাদেশ ইতালীর সাথে এমন একটি গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস এর নেতৃত্ব দেয় যারা জাতিসংঘের পরিবেশগত কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবেশগত নেতিবাচক দিক হ্রাস করার পক্ষে কাজ করে যাচেছ মর্মে উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
পুলিশ প্রধানদের সম্মলেন উপলক্ষে আয়োজিত এই ইভেন্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের ¯স্হায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।
এদিকে একই দিন বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ¯স্হায়ী মিশনে ইউএন উইমেন এর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মিজ অনিতা ভাটিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকে নারী শান্তি ও নিরাপত্তা এজেন্ডা এবং লিঙ্গ সংবেদনশীল বাজেট পপ্রর্তনের ক্ষেত্রে নারী উন্নয়নে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মিজ ভাটিয়া বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইউএন উইমেন এর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উভয়েই সক্ষমতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মসূচির মাধ্যমে সাইবার সহিংসতাসহ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সম্ভাব্য সহযোগিতা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
হককথা/এমউএ