নিউইয়র্ক ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জয়-পরাজয়ের পর ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৩৫:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৫৩৮ বার পঠিত

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বীতাকারী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীরা বলেছেন, বাংলাদেশ সোসাইটি প্রবাসী বাংলাদেশীদের ‘আমব্রেলা’ সংগঠন। কমিউনিটিতে এই সংগঠনের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। কমিউনিটি সেবায় সোসাইটি অনেক ভূমিকা রাখতে পারে। আর তাই সোসাইটিকে শক্তিশালী করার মধ্যদিয়ে কমিউনিটিকে শক্তিশালী করতে হবে। প্রার্থীরা সোসাইটির নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের পর ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করে বলেন, আমরা যোগ্য বলেই প্রার্থী হয়েছি। আশা করছি ভোটারগণ ভোট দিয়ে আমাদের নির্বাচিত করবেন। আর নির্বাচিত হতে না পারলে, ভোটারগণ যাকে নির্বাচিত করবেন সোসাইটি ও কমিউনিটির স্বার্থে তাকে সহযোগিতা করবো। তবে প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করেন।
নিউইয়র্কের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল টাইম টেলিভিশন-এর ডিবেট অনুষ্ঠানে সোসাইটির প্রার্থীরা উপরোক্ত কথা বলেন। ৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ডিবেট অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি টাইম টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করে। অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক ছিলেন সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাপ্তাহিক বর্ণমালা’র প্রধান সম্পাদক মাহফুজুর রহমান ও কমিউনিটি অ্যাক্টিাভিষ্ট হাসানুজ্জামান হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা’র সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশন-এর সিইও আবু তাহের। খবর ইউএনএ’র।
ডিবেট অনুষ্ঠানে সভাপতি প্রার্থীদের মধ্যে অংশ নেন আব্দুর রব মিয়া, কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন ও জয়নাল আবেদীন। আর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের মধ্যে অংশ নেন রুহুল আমীন সিদ্দিকী, মোহাম্মদ আলী ও আব্দুল মোমেন সোহেল। প্রার্থীদের মধ্যে আব্দুর রব মিয়া ও রুহুল আমীন সিদ্দিকী ‘রব-রহুল’ প্যানেল থেকে এবং কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন ও মোহাম্মদ আলী ‘আলী-নয়ন) প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপরদিকে জয়নাল আবেদীন ও আব্দুল মোমেন সোহেল স্বতন্ত্রভাবে যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রার্থীরা তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরেন এবং পরবর্তীতে প্যানেলদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এতে সঞ্চালক ও প্যানেলদের বিভিন্ন প্রশ্নে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা, সোসাইটি ভবন প্রতিষ্ঠা, কমিউনিটিতে ঐক্য প্রতিষ্ঠা, নতুন প্রজন্মকে সোসাইটিমুখী করা, মূলধারার সাথে সোসাইটি ও কমিউনিটি সম্পৃক্ত করা এবং সোসাইটিকে মামলা-মোকদ্দমা মুক্ত করা সহ প্রার্থীদের ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ উঠে আসে এবং তারা তার উত্তর দেন।
অনুষ্ঠানে নাজমুল আহসানের প্রশ্নের জবাবে জয়নাল আবেদীন বলেন, অতীতে কোন কমিটিই সোসাইটির আয়-বয়ের হিসাব দেয়নি। ২০০৬-২০০৮ সালে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মামলা-মোকদ্দমা করেই সময় ব্যয় করতে হয়েছে। তিনি বলেন, নিজেকে সফল ও দক্ষ সাধারণ সম্পাদক মনে করি বলেই সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছি।
মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের উত্তরে কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন বলেন, প্রবাসীদের সাথে বাংলাদেশের সাথে মেলবন্ধন তৈরী করতেই বাংলাদেশ সোসাইটির জন্ম হয়েছিল। নির্বাচিত হলে প্রবাসীদের অধিকার আদায়ে যা করার তাই করবো। সোসাইটিকে মূলধারায় নিয়ে যাবো। অনেক সমস্যা রয়েছে, তারপরও ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের নির্বাচনী ইশতেহার-এর আলোকে সবাইকে নিয়ে সোসাইটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। বাংলাদেশী হিসেবে সকল প্রবাসী ‘অটোমেটিক্যালী’ সোসাইটির সদস্য হওয়ার কথা, কিন্তু সোসাইটির গঠনতন্ত্রের নিয়মে ভোট দিতে গেলে ২০ ডলার দিয়ে দুই বছরের জন্য ভোটার হতে হয়।
ডা. ওয়াজেদ এ খানের প্রশ্নের উত্তরে আব্দুর রব মিয়া বলেন, সোসাইটি ভবন করা দূরহ ব্যাপার কিন্তু অসাধ্য নয়। সোসাইটির বর্তমান নিজস্ব ভবন কমিউনিটির জন্য যথেষ্ট নয়, তাই নতুন জায়গায়, বড় আকারে ভবন দরকার। নির্বাচিত হলে অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে নোয়াখালী সমিতির সভাপতি হিসেবে ‘লাইফ মেম্বর’ করে যেভাবে অনেক অর্থ যোগ করে নোয়াখালী সমিতির সমস্যা সমাধান করেছি। সেইভাবে সোসাইটির লাইফ মেম্বার, ব্যবসায়ীদের সাহায্য, বিত্তবানদের সহযোগিতায় সোসাইটি ভবন করতে পারবো। প্রয়োজনে এজন্য সকল প্রবাসীর ঘরে ঘরে যেতে হবে।
কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন বলেন, নির্বাচিত হলে কারো কাছে না গিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংখ্যার অনুপাতে সিটির কাছে বাজেট নিয়ে অর্থ আদায় করে সোসাইটি ভবন করবো। এজন্য সিটি আর ফেডারেল সাহায্য নেয়া হবে।
জয়নাল আবেদীন বলেন, ভোটারদের সদস্য রাখতে হবে। ‘নট ফর প্রফিট সংগঠন’ হিসেবে সিটির কাছ থেকে ভবন করার সুযোগ রয়েছে। নির্বাচত হলে এই সুযোগ নেবো।
 টাইম টেলিভিশন-এর সিইও আবু তাহের

হাসানুজ্জামান হাসান-এর প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। নির্বাচিত হলে সোসাইটির গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাধারণ সম্পাদকগণ কাজ করলে সোসাইটি আরো এগিয়ে যাবে। নতুন প্রজন্মকে সোসাইটিমুখী করতে হবে। তাদের সাথে পরামর্শ করেই নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আনতে হবে।
রুহুল আমীন সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচিত হলে নতুন প্রজন্মকে সোসাইটিমূখী করতে হলে বৃত্তি দেয়া সহ তাদেরকে আকৃষ্ট করার নানা উদ্যোগ নেবো।
আব্দুল মোমেন সোহেল বলেন, নির্বাচিত হলে শুধু নতুন প্রজন্ম নয়, সকল প্রবাসীকে সোসাইটির সাথে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেবো।
হাসানুজ্জামান হাসান-এর প্রশ্নের উত্তরে আব্দুর রব মিয়া বলেন, সোসাইটির সদস্য যত বেশী হবে, মূলধারায় প্রবাসী বাংলাদেশী তথা সোসাইটির গুরুত্ব তত বেশী হবে। সোসাইটির ২৭ হাজার ৫১০ জন সদস্যকে যদি সিটি প্রশাসনের দৃষ্টিতে আনতে পারি তবেই প্রশাসন আমাদের গুরুত্ব দেবে এবং আমরা মূলধারায় যেতে পারবো।
কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন বলেন, সিটি মেয়রের সাথে পরিচয়/সম্পর্ক আছে। সোসাইটিকে মুলধারায় নিতে এই পরিচয়/সম্পর্ক কাজে লাগাবো।
জয়নাল আবেদীন বলেন, সদস্য বেশী করে মূলধারার দৃষ্টি আকর্ষণ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
ডা. ওয়াজেদ এ খানের প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ আলী বলেন, বলতে দ্বিধা নেই আমাদের নেতৃত্বে ব্যর্থতার কারণেই সোসাইটির সাবেক নেতৃবৃন্দ সোসাইটিতে আসছেন না। তবে সময়ে বিবর্তনে অনেক কিছুই পরিবর্তিত হচ্ছে। নতুন-প্রবীণের সমন্বয়ে আমাদের প্যানেল গড়া হয়েছে। আমরা নির্বাচিত হলে ‘রি-ইউনিয়ন অনুষ্ঠান’ করে পুরাতনদের সোসাইটিমুখী করা হবে।
রুহুল আমীন সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচন ঘিরে নতুন-পুরাতন সবার কাছেই যাচ্ছি। বলতে দ্বিধা নেই যে কোন কোন প্রাক্তন নেতৃবৃন্দের ব্যক্তিগত রেশারেশীর কারণে অনেকেই সোসাইটিতে আসছেন না।
নাজমুল আহসানের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে আব্দুর রব মিয়া বলেন, রাজনীতির নামে প্রবাসে পাল্টা-পাল্টি সভা-সমাবেশ কমিউনিটির মান ক্ষুন্ন করে। আর ইমিগ্রেশন সমস্যার সমাধানে আইনজীবিদের সাহায্যে সভা-সমাবেশ আর প্রবাসীদের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।
কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি প্রবাসে দেশের ইমেজকে নষ্ঠ করে। আর ট্রাম্প প্রশাসনের ইমিগ্রেশন আইন মোকাবেলায় কমিউনিটিকে ঐক্যবদ্ধ করে আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে।
জয়নাল আবেদীন বলেন, আমার সময়ে সোসাইটিতে কোন রাজনীতি ছিলো না। কমিউনিটির কল্যাণ করতে হলে সোসাইটিকে রাজনীতিমুক্ত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আসলে তাকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অপমান না করে তাকে সম্মান দিতে হবে। সোসাইটিও প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিতে চয়নি, দলও প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়ার বিষয়টি কুক্ষিগত করে রাখতে চায়। আমরা সোসাইটি থেকে বিদায় নেয়ার পর সোসাইটিতে সিন্ডিকেট ভর করেছে। তারা সিন্ডিকেটের আওতায় ভোটার বানিয়ে নির্বাচন করছে। সোসাইটিকে সিন্ডিকেট মুক্ত করতে হবে। ঐক্যবদ্ধভবে ইমিগ্রেশন সমস্যার সমাধান করতে হবে।
মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ আলী বলেন, ইয়্যূথ ফোরাম গঠন করে নতুন প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। ট্রাষ্টিবোর্ড গঠনে শীর্ষ কর্মকর্তাদের অগ্রনী ভূমিকা নিতে হবে। নেতৃত্ব দূর্বল হলে সিদ্ধান্ত নিতেও দূর্বলতা কাজ করে। নির্বাচিত হলে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ট্রাষ্টিবোর্ড গঠন করা হবে। বাংলা পত্রিকা’য় ২৫জন বাংলাদেশী টেক্সাসে আটক থাকার খবর প্রকাশ করার পর আমরা সোসাইটির পক্ষ থেকে তাদের মুক্ত করার উদ্যোগ নেই।
আব্দুল মোমেন সোহেল বলেন, ট্রাষ্টিবোর্ড ভেঙ্গে দিয়ে সকল অঞ্চলের যোগ্য প্রতিনিধিদের নিয়ে ট্রাষ্টিবোর্ড গঠন করা হবে। প্রবাসে দেশের রাজনীতি করাকে নিরুৎসাহিত করতে হবে।
রুহুল আমীন হাওলাদার বলেন, সোসাইটির ট্রাষ্টি বোর্ড ‘সেনসেটিভ’ বিষয়। আগের চেয়ে পরিবর্তন এসেছে। নির্বাচিত হলে আরো ভালো কিছু উপহার দেবো। কোয়ানটিটির চেয়ে কোয়ালিটি-কে গুরুত্ব দেয়া হবে।
হাসানুজ্জামান হাসানের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে জয়নাল আবেদীন বলেন, সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা হিসেবে আমাদের কেউ ডাকেন না, কোন সহযোগিতা চান না। তবে আমার প্রতিদ্বন্দ্বি কেউ নির্বাচিত হলে যেকোন সহযোগিতা চাইলে সেব্যাপারে সহযোগিতা দেবো।
কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন বলেন, যিনি সভাপতি হবেন তাকেই সহযোগিতা দেবো। তবে আশা করছি প্রবাসীদের ভোটে আমিই জয়ী হবো।
অব্দুর রব মিয়া বলেন, নেতৃত্ব আল্লাহর কাছ থেকেই আসে। প্রবাসীরা সিদ্ধান্ত নেবেন, তারা কাকে ভোট দেবেন। তিনি বলেন, যিনি নির্বাচিত হবেন তাকে সহযোগিতা দেবো।
আব্দুল মোমেন সোহেল বলেন, নির্বাচিত না হলে ১০০ ডলার দিয়ে ফুল কিনে নির্বাচিতদের বরণ করে নিবো। আর নির্বাচিত হলে সন্দ্বীপবাসীদের নিয়ে একাই সোসাইটি ভবন করবো।
রুহুল আমীন সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচিত না হলে বিজয়ীদের সহযোগিতা করবো। আর বিজয়ী হলে সবার সহযোগিতা চাইবো।
ডা. ওয়াজেদ এ খানের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে রুহুল আমীন সিদ্দিকী বলেন, আইনগতভাবেই সোসাইটির মামলা মোকাবেলা করা হবে। আব্দুল মোমেন সোহেল বলেন, যারা মামলা-মোকদ্দমায় নিয়োজিত তাদের হাতে-পায়ে ধরি সোসাইটিকে মামলা-মোকদ্দমায় জড়াবেন না।
মাহফুজুর রহমানের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে রুহুল আমীন সিদ্দিকী বলেন, সোসাইটিতে ‘গড ফাদার’ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আব্দুল মোমেন সোহেল বলেন, আমি গড ফাদার হিসেবে কিছু বিশ্বাস করি না।
আব্দুর রব মিয়া বলেন, আমরা গড ফাদার নিয়ে কোন কথা বলিনি। তবে আমাদের নির্বাচনী সভায় কোন বক্তা কিছু বলে থাকলে তার জন্য দু:খিত। কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন বলেন, আমি গড ফাদারে বিশ্বাসী নই। জয়নাল আবেদীন বলেন, রাস্তা-ঘাটে গড ফাদারের কথা শুনি। আমি এসবের বিরুদ্ধে।
সবশেষে নাজমুল আহসান বলেন, সোসাইটি আগামী নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিরপেক্ষ নির্বাচন করবেন এটাই কাম্য।
ডা. ওয়াজেদ এ খান বলেন, মামলা-মোকদ্দমায় না গিয়ে সবাই মিলে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে এটাই কমিউনিটির কাম্য।
মাহফুজুর রহমান বলেন, ডিবেটে ভোটাররা সঠিকভাবে ভোট দিতে পারবেন বলে আশা করছি।
হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, টাইম টেলিভিশন’র ডিবেটে সোসাইটির জয় হয়েছে।
উল্লেখ্য, মনোজ্ঞ ও আকর্ষণীয় টাইম টেলিভিশন’র ডিবেট অনুষ্ঠানের স্পন্সর ছিলো ফামাক্যাশ, এটনী মঈন চৌধুরী, এটর্নী ব্রুস ফিসার, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী মইনুল ইসলাম, ওমনি মর্টগেজ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

জয়-পরাজয়ের পর ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৫:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ অক্টোবর ২০১৮

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বীতাকারী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীরা বলেছেন, বাংলাদেশ সোসাইটি প্রবাসী বাংলাদেশীদের ‘আমব্রেলা’ সংগঠন। কমিউনিটিতে এই সংগঠনের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। কমিউনিটি সেবায় সোসাইটি অনেক ভূমিকা রাখতে পারে। আর তাই সোসাইটিকে শক্তিশালী করার মধ্যদিয়ে কমিউনিটিকে শক্তিশালী করতে হবে। প্রার্থীরা সোসাইটির নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের পর ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করে বলেন, আমরা যোগ্য বলেই প্রার্থী হয়েছি। আশা করছি ভোটারগণ ভোট দিয়ে আমাদের নির্বাচিত করবেন। আর নির্বাচিত হতে না পারলে, ভোটারগণ যাকে নির্বাচিত করবেন সোসাইটি ও কমিউনিটির স্বার্থে তাকে সহযোগিতা করবো। তবে প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করেন।
নিউইয়র্কের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল টাইম টেলিভিশন-এর ডিবেট অনুষ্ঠানে সোসাইটির প্রার্থীরা উপরোক্ত কথা বলেন। ৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ডিবেট অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি টাইম টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করে। অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক ছিলেন সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাপ্তাহিক বর্ণমালা’র প্রধান সম্পাদক মাহফুজুর রহমান ও কমিউনিটি অ্যাক্টিাভিষ্ট হাসানুজ্জামান হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা’র সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশন-এর সিইও আবু তাহের। খবর ইউএনএ’র।
ডিবেট অনুষ্ঠানে সভাপতি প্রার্থীদের মধ্যে অংশ নেন আব্দুর রব মিয়া, কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন ও জয়নাল আবেদীন। আর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের মধ্যে অংশ নেন রুহুল আমীন সিদ্দিকী, মোহাম্মদ আলী ও আব্দুল মোমেন সোহেল। প্রার্থীদের মধ্যে আব্দুর রব মিয়া ও রুহুল আমীন সিদ্দিকী ‘রব-রহুল’ প্যানেল থেকে এবং কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন ও মোহাম্মদ আলী ‘আলী-নয়ন) প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপরদিকে জয়নাল আবেদীন ও আব্দুল মোমেন সোহেল স্বতন্ত্রভাবে যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রার্থীরা তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরেন এবং পরবর্তীতে প্যানেলদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এতে সঞ্চালক ও প্যানেলদের বিভিন্ন প্রশ্নে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা, সোসাইটি ভবন প্রতিষ্ঠা, কমিউনিটিতে ঐক্য প্রতিষ্ঠা, নতুন প্রজন্মকে সোসাইটিমুখী করা, মূলধারার সাথে সোসাইটি ও কমিউনিটি সম্পৃক্ত করা এবং সোসাইটিকে মামলা-মোকদ্দমা মুক্ত করা সহ প্রার্থীদের ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ উঠে আসে এবং তারা তার উত্তর দেন।
অনুষ্ঠানে নাজমুল আহসানের প্রশ্নের জবাবে জয়নাল আবেদীন বলেন, অতীতে কোন কমিটিই সোসাইটির আয়-বয়ের হিসাব দেয়নি। ২০০৬-২০০৮ সালে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মামলা-মোকদ্দমা করেই সময় ব্যয় করতে হয়েছে। তিনি বলেন, নিজেকে সফল ও দক্ষ সাধারণ সম্পাদক মনে করি বলেই সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছি।
মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের উত্তরে কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন বলেন, প্রবাসীদের সাথে বাংলাদেশের সাথে মেলবন্ধন তৈরী করতেই বাংলাদেশ সোসাইটির জন্ম হয়েছিল। নির্বাচিত হলে প্রবাসীদের অধিকার আদায়ে যা করার তাই করবো। সোসাইটিকে মূলধারায় নিয়ে যাবো। অনেক সমস্যা রয়েছে, তারপরও ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের নির্বাচনী ইশতেহার-এর আলোকে সবাইকে নিয়ে সোসাইটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। বাংলাদেশী হিসেবে সকল প্রবাসী ‘অটোমেটিক্যালী’ সোসাইটির সদস্য হওয়ার কথা, কিন্তু সোসাইটির গঠনতন্ত্রের নিয়মে ভোট দিতে গেলে ২০ ডলার দিয়ে দুই বছরের জন্য ভোটার হতে হয়।
ডা. ওয়াজেদ এ খানের প্রশ্নের উত্তরে আব্দুর রব মিয়া বলেন, সোসাইটি ভবন করা দূরহ ব্যাপার কিন্তু অসাধ্য নয়। সোসাইটির বর্তমান নিজস্ব ভবন কমিউনিটির জন্য যথেষ্ট নয়, তাই নতুন জায়গায়, বড় আকারে ভবন দরকার। নির্বাচিত হলে অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে নোয়াখালী সমিতির সভাপতি হিসেবে ‘লাইফ মেম্বর’ করে যেভাবে অনেক অর্থ যোগ করে নোয়াখালী সমিতির সমস্যা সমাধান করেছি। সেইভাবে সোসাইটির লাইফ মেম্বার, ব্যবসায়ীদের সাহায্য, বিত্তবানদের সহযোগিতায় সোসাইটি ভবন করতে পারবো। প্রয়োজনে এজন্য সকল প্রবাসীর ঘরে ঘরে যেতে হবে।
কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন বলেন, নির্বাচিত হলে কারো কাছে না গিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংখ্যার অনুপাতে সিটির কাছে বাজেট নিয়ে অর্থ আদায় করে সোসাইটি ভবন করবো। এজন্য সিটি আর ফেডারেল সাহায্য নেয়া হবে।
জয়নাল আবেদীন বলেন, ভোটারদের সদস্য রাখতে হবে। ‘নট ফর প্রফিট সংগঠন’ হিসেবে সিটির কাছ থেকে ভবন করার সুযোগ রয়েছে। নির্বাচত হলে এই সুযোগ নেবো।
 টাইম টেলিভিশন-এর সিইও আবু তাহের

হাসানুজ্জামান হাসান-এর প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। নির্বাচিত হলে সোসাইটির গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাধারণ সম্পাদকগণ কাজ করলে সোসাইটি আরো এগিয়ে যাবে। নতুন প্রজন্মকে সোসাইটিমুখী করতে হবে। তাদের সাথে পরামর্শ করেই নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আনতে হবে।
রুহুল আমীন সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচিত হলে নতুন প্রজন্মকে সোসাইটিমূখী করতে হলে বৃত্তি দেয়া সহ তাদেরকে আকৃষ্ট করার নানা উদ্যোগ নেবো।
আব্দুল মোমেন সোহেল বলেন, নির্বাচিত হলে শুধু নতুন প্রজন্ম নয়, সকল প্রবাসীকে সোসাইটির সাথে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেবো।
হাসানুজ্জামান হাসান-এর প্রশ্নের উত্তরে আব্দুর রব মিয়া বলেন, সোসাইটির সদস্য যত বেশী হবে, মূলধারায় প্রবাসী বাংলাদেশী তথা সোসাইটির গুরুত্ব তত বেশী হবে। সোসাইটির ২৭ হাজার ৫১০ জন সদস্যকে যদি সিটি প্রশাসনের দৃষ্টিতে আনতে পারি তবেই প্রশাসন আমাদের গুরুত্ব দেবে এবং আমরা মূলধারায় যেতে পারবো।
কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন বলেন, সিটি মেয়রের সাথে পরিচয়/সম্পর্ক আছে। সোসাইটিকে মুলধারায় নিতে এই পরিচয়/সম্পর্ক কাজে লাগাবো।
জয়নাল আবেদীন বলেন, সদস্য বেশী করে মূলধারার দৃষ্টি আকর্ষণ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
ডা. ওয়াজেদ এ খানের প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ আলী বলেন, বলতে দ্বিধা নেই আমাদের নেতৃত্বে ব্যর্থতার কারণেই সোসাইটির সাবেক নেতৃবৃন্দ সোসাইটিতে আসছেন না। তবে সময়ে বিবর্তনে অনেক কিছুই পরিবর্তিত হচ্ছে। নতুন-প্রবীণের সমন্বয়ে আমাদের প্যানেল গড়া হয়েছে। আমরা নির্বাচিত হলে ‘রি-ইউনিয়ন অনুষ্ঠান’ করে পুরাতনদের সোসাইটিমুখী করা হবে।
রুহুল আমীন সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচন ঘিরে নতুন-পুরাতন সবার কাছেই যাচ্ছি। বলতে দ্বিধা নেই যে কোন কোন প্রাক্তন নেতৃবৃন্দের ব্যক্তিগত রেশারেশীর কারণে অনেকেই সোসাইটিতে আসছেন না।
নাজমুল আহসানের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে আব্দুর রব মিয়া বলেন, রাজনীতির নামে প্রবাসে পাল্টা-পাল্টি সভা-সমাবেশ কমিউনিটির মান ক্ষুন্ন করে। আর ইমিগ্রেশন সমস্যার সমাধানে আইনজীবিদের সাহায্যে সভা-সমাবেশ আর প্রবাসীদের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।
কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি প্রবাসে দেশের ইমেজকে নষ্ঠ করে। আর ট্রাম্প প্রশাসনের ইমিগ্রেশন আইন মোকাবেলায় কমিউনিটিকে ঐক্যবদ্ধ করে আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে।
জয়নাল আবেদীন বলেন, আমার সময়ে সোসাইটিতে কোন রাজনীতি ছিলো না। কমিউনিটির কল্যাণ করতে হলে সোসাইটিকে রাজনীতিমুক্ত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আসলে তাকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অপমান না করে তাকে সম্মান দিতে হবে। সোসাইটিও প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিতে চয়নি, দলও প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়ার বিষয়টি কুক্ষিগত করে রাখতে চায়। আমরা সোসাইটি থেকে বিদায় নেয়ার পর সোসাইটিতে সিন্ডিকেট ভর করেছে। তারা সিন্ডিকেটের আওতায় ভোটার বানিয়ে নির্বাচন করছে। সোসাইটিকে সিন্ডিকেট মুক্ত করতে হবে। ঐক্যবদ্ধভবে ইমিগ্রেশন সমস্যার সমাধান করতে হবে।
মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ আলী বলেন, ইয়্যূথ ফোরাম গঠন করে নতুন প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। ট্রাষ্টিবোর্ড গঠনে শীর্ষ কর্মকর্তাদের অগ্রনী ভূমিকা নিতে হবে। নেতৃত্ব দূর্বল হলে সিদ্ধান্ত নিতেও দূর্বলতা কাজ করে। নির্বাচিত হলে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ট্রাষ্টিবোর্ড গঠন করা হবে। বাংলা পত্রিকা’য় ২৫জন বাংলাদেশী টেক্সাসে আটক থাকার খবর প্রকাশ করার পর আমরা সোসাইটির পক্ষ থেকে তাদের মুক্ত করার উদ্যোগ নেই।
আব্দুল মোমেন সোহেল বলেন, ট্রাষ্টিবোর্ড ভেঙ্গে দিয়ে সকল অঞ্চলের যোগ্য প্রতিনিধিদের নিয়ে ট্রাষ্টিবোর্ড গঠন করা হবে। প্রবাসে দেশের রাজনীতি করাকে নিরুৎসাহিত করতে হবে।
রুহুল আমীন হাওলাদার বলেন, সোসাইটির ট্রাষ্টি বোর্ড ‘সেনসেটিভ’ বিষয়। আগের চেয়ে পরিবর্তন এসেছে। নির্বাচিত হলে আরো ভালো কিছু উপহার দেবো। কোয়ানটিটির চেয়ে কোয়ালিটি-কে গুরুত্ব দেয়া হবে।
হাসানুজ্জামান হাসানের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে জয়নাল আবেদীন বলেন, সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা হিসেবে আমাদের কেউ ডাকেন না, কোন সহযোগিতা চান না। তবে আমার প্রতিদ্বন্দ্বি কেউ নির্বাচিত হলে যেকোন সহযোগিতা চাইলে সেব্যাপারে সহযোগিতা দেবো।
কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন বলেন, যিনি সভাপতি হবেন তাকেই সহযোগিতা দেবো। তবে আশা করছি প্রবাসীদের ভোটে আমিই জয়ী হবো।
অব্দুর রব মিয়া বলেন, নেতৃত্ব আল্লাহর কাছ থেকেই আসে। প্রবাসীরা সিদ্ধান্ত নেবেন, তারা কাকে ভোট দেবেন। তিনি বলেন, যিনি নির্বাচিত হবেন তাকে সহযোগিতা দেবো।
আব্দুল মোমেন সোহেল বলেন, নির্বাচিত না হলে ১০০ ডলার দিয়ে ফুল কিনে নির্বাচিতদের বরণ করে নিবো। আর নির্বাচিত হলে সন্দ্বীপবাসীদের নিয়ে একাই সোসাইটি ভবন করবো।
রুহুল আমীন সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচিত না হলে বিজয়ীদের সহযোগিতা করবো। আর বিজয়ী হলে সবার সহযোগিতা চাইবো।
ডা. ওয়াজেদ এ খানের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে রুহুল আমীন সিদ্দিকী বলেন, আইনগতভাবেই সোসাইটির মামলা মোকাবেলা করা হবে। আব্দুল মোমেন সোহেল বলেন, যারা মামলা-মোকদ্দমায় নিয়োজিত তাদের হাতে-পায়ে ধরি সোসাইটিকে মামলা-মোকদ্দমায় জড়াবেন না।
মাহফুজুর রহমানের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে রুহুল আমীন সিদ্দিকী বলেন, সোসাইটিতে ‘গড ফাদার’ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আব্দুল মোমেন সোহেল বলেন, আমি গড ফাদার হিসেবে কিছু বিশ্বাস করি না।
আব্দুর রব মিয়া বলেন, আমরা গড ফাদার নিয়ে কোন কথা বলিনি। তবে আমাদের নির্বাচনী সভায় কোন বক্তা কিছু বলে থাকলে তার জন্য দু:খিত। কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন বলেন, আমি গড ফাদারে বিশ্বাসী নই। জয়নাল আবেদীন বলেন, রাস্তা-ঘাটে গড ফাদারের কথা শুনি। আমি এসবের বিরুদ্ধে।
সবশেষে নাজমুল আহসান বলেন, সোসাইটি আগামী নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিরপেক্ষ নির্বাচন করবেন এটাই কাম্য।
ডা. ওয়াজেদ এ খান বলেন, মামলা-মোকদ্দমায় না গিয়ে সবাই মিলে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে এটাই কমিউনিটির কাম্য।
মাহফুজুর রহমান বলেন, ডিবেটে ভোটাররা সঠিকভাবে ভোট দিতে পারবেন বলে আশা করছি।
হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, টাইম টেলিভিশন’র ডিবেটে সোসাইটির জয় হয়েছে।
উল্লেখ্য, মনোজ্ঞ ও আকর্ষণীয় টাইম টেলিভিশন’র ডিবেট অনুষ্ঠানের স্পন্সর ছিলো ফামাক্যাশ, এটনী মঈন চৌধুরী, এটর্নী ব্রুস ফিসার, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী মইনুল ইসলাম, ওমনি মর্টগেজ।