নিউইয়র্ক ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জেএমসিতে নিউইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেমস : সিটির শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৯:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৮৪৭ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক সিটির শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের কমিশনার জেমস ও’নীল সকল নাগরিকের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। ম্যানহাটানে ‘সন্ত্রাসী ঘটনা’র সহ যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত অপরাধমূলক কর্মকান্ডের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট উদ্ভুত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সিটিবাসী বিশেষ করে মুসলিম কমিউনিটিকে আশ্বস্থ করতেই সিটির পুলিশ প্রধান শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) জুম্মার নামাজের পর জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার (জেএমসি)-এ এসে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাকালে এই কথা বলেন।
এনওয়াইপিডি পুলিশ প্রধান জেমস ও’নীল শুক্রবার দুপুরে ঐতিহ্যবাহী জ্যামাইকার মুসলিম সেন্টারে আসার পর জেএমসি পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ তাকে স্বাগত জানান এবং মতবিনিময় করেন। পরে পুলিশ প্রধান জুম্মার নামাজের পর পরই মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। এসময় জেএমসি পরিচালনা কমিটির সভাপতি খাজা মিজান হাসান শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এই পর্ব পরিচালনা করেন জেএমসি’র সেক্রেটারী মনজুর আহমেদ চৌধুরী। এসময় জেএমসি’র ট্রাষ্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক সভাপতি ড. এম এম বিল্লাহ, ডা. মোহাম্মদ এম রহমান, মূলধারার রাজনীতিক সেবুল উদ্দিন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার সহ জেএমসি’র অন্যান্য কর্মকর্তা এবং স্থানীয় পুলিশ প্রিসেন্টের শীর্ষ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, নিউইয়র্কে সিটিতে বাংলাদেশী অধ্যুষিত কুইন্সের জ্যামাইকায় প্রতিষ্ঠিত ‘জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার’ সিটির অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। খবর ইউএনএ’র।
সিটি পুলিশ প্রধান জেমস ও’নীল তার বক্তব্যে সিটির সকল ধর্ম-বর্ণের শান্তিপূর্ণ সহবস্থানের কথা উল্লেখ এবং সিটির সার্বিক পরিস্থিতি সংক্ষেপে তুলে ধরে বলেন, নিউইয়র্ক সিটি আমাদের সবার সিটি। সবার সহযোগিতা ছাড়া সিটির শান্তি বজায় রাখা সম্ভব নয়। পুলিশ সদস্যরাও সিটির বাসিন্দা। সবাইকে মিলেই সিটির শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।
জেমস ও’নীল তার বক্তব্যে সম্প্রতি ম্যানহাটনের ‘ডাউন-টাউনে’ মুসলিম নামধারীর হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, এর ফলে সিটিবাসীর মধ্যে ভয় আর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে কোন একজনের হামলার দায় পুরো জাতির ওপর বর্তাতে পারেনা। তিনি বাংলাদেশী মুসলিম কমিউনিটিকে শান্তিপ্রিয় আখ্যা দিয়ে বলেন, তাদের সুরক্ষায় সিটি প্রশাসনের পাশাপাশি এনওয়াইপিডি সদা সচেষ্ট রয়েছে। তিনি বলেন, মুসলমানদের নিয়মিত প্রর্থনার স্থান মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারগুলোতে স্থানীয় পুলিশ প্রিসেন্টগুলো সার্বক্ষনিক নিরাপত্তায় সচেষ্ট রয়েছে। যেকোন সমস্যায় তিনি ৯১১ ও ৩১১ এর মাধ্যমে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশের সহযোগিতা নেয়ার অনুরোধ জানান।
পুলিশ কমিশনার তার বক্তব্যের পর উপস্থিত সাংবাদিক ও কয়েকজন মুসল্লীর কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেন। এই পর্বে নিউইয়র্কে আদালত চত্তর থেকে ইমিগ্র্যান্টদের আটক বৃদ্ধি, সিটির বিভিন্ন স্থানে হেইট ক্রাইম, ভোর ও সন্ধ্যায় বিভিন্ন সড়কে পুলিশী টহল জোরদার, পুলিশের নাম ব্যবহার করে অর্থ দাবী ও বাসা-বাড়ীতে প্রবেশ প্রভৃতি ঘটনার কথা প্রশ্ন কর্তারা তুলে ধরলে পুলিশ কমিশনার তার জবাব দেন।
এর আগে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের দু’টির জুমার প্রথম খুতবায় বিশেষ বয়ান রাখেন জেএমসি’র ইমাম হাফেজ সালাহ মাহমুদ। উল্লেখ্য, সিটির পুলিশ কমিশনারের আগমন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশী বিপুল সংখ্যক মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

জেএমসিতে নিউইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেমস : সিটির শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা

প্রকাশের সময় : ০৯:২৯:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৭

নিউইয়র্ক: বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক সিটির শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের কমিশনার জেমস ও’নীল সকল নাগরিকের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। ম্যানহাটানে ‘সন্ত্রাসী ঘটনা’র সহ যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত অপরাধমূলক কর্মকান্ডের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট উদ্ভুত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সিটিবাসী বিশেষ করে মুসলিম কমিউনিটিকে আশ্বস্থ করতেই সিটির পুলিশ প্রধান শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) জুম্মার নামাজের পর জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার (জেএমসি)-এ এসে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাকালে এই কথা বলেন।
এনওয়াইপিডি পুলিশ প্রধান জেমস ও’নীল শুক্রবার দুপুরে ঐতিহ্যবাহী জ্যামাইকার মুসলিম সেন্টারে আসার পর জেএমসি পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ তাকে স্বাগত জানান এবং মতবিনিময় করেন। পরে পুলিশ প্রধান জুম্মার নামাজের পর পরই মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। এসময় জেএমসি পরিচালনা কমিটির সভাপতি খাজা মিজান হাসান শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এই পর্ব পরিচালনা করেন জেএমসি’র সেক্রেটারী মনজুর আহমেদ চৌধুরী। এসময় জেএমসি’র ট্রাষ্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক সভাপতি ড. এম এম বিল্লাহ, ডা. মোহাম্মদ এম রহমান, মূলধারার রাজনীতিক সেবুল উদ্দিন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার সহ জেএমসি’র অন্যান্য কর্মকর্তা এবং স্থানীয় পুলিশ প্রিসেন্টের শীর্ষ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, নিউইয়র্কে সিটিতে বাংলাদেশী অধ্যুষিত কুইন্সের জ্যামাইকায় প্রতিষ্ঠিত ‘জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার’ সিটির অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। খবর ইউএনএ’র।
সিটি পুলিশ প্রধান জেমস ও’নীল তার বক্তব্যে সিটির সকল ধর্ম-বর্ণের শান্তিপূর্ণ সহবস্থানের কথা উল্লেখ এবং সিটির সার্বিক পরিস্থিতি সংক্ষেপে তুলে ধরে বলেন, নিউইয়র্ক সিটি আমাদের সবার সিটি। সবার সহযোগিতা ছাড়া সিটির শান্তি বজায় রাখা সম্ভব নয়। পুলিশ সদস্যরাও সিটির বাসিন্দা। সবাইকে মিলেই সিটির শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।
জেমস ও’নীল তার বক্তব্যে সম্প্রতি ম্যানহাটনের ‘ডাউন-টাউনে’ মুসলিম নামধারীর হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, এর ফলে সিটিবাসীর মধ্যে ভয় আর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে কোন একজনের হামলার দায় পুরো জাতির ওপর বর্তাতে পারেনা। তিনি বাংলাদেশী মুসলিম কমিউনিটিকে শান্তিপ্রিয় আখ্যা দিয়ে বলেন, তাদের সুরক্ষায় সিটি প্রশাসনের পাশাপাশি এনওয়াইপিডি সদা সচেষ্ট রয়েছে। তিনি বলেন, মুসলমানদের নিয়মিত প্রর্থনার স্থান মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারগুলোতে স্থানীয় পুলিশ প্রিসেন্টগুলো সার্বক্ষনিক নিরাপত্তায় সচেষ্ট রয়েছে। যেকোন সমস্যায় তিনি ৯১১ ও ৩১১ এর মাধ্যমে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশের সহযোগিতা নেয়ার অনুরোধ জানান।
পুলিশ কমিশনার তার বক্তব্যের পর উপস্থিত সাংবাদিক ও কয়েকজন মুসল্লীর কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেন। এই পর্বে নিউইয়র্কে আদালত চত্তর থেকে ইমিগ্র্যান্টদের আটক বৃদ্ধি, সিটির বিভিন্ন স্থানে হেইট ক্রাইম, ভোর ও সন্ধ্যায় বিভিন্ন সড়কে পুলিশী টহল জোরদার, পুলিশের নাম ব্যবহার করে অর্থ দাবী ও বাসা-বাড়ীতে প্রবেশ প্রভৃতি ঘটনার কথা প্রশ্ন কর্তারা তুলে ধরলে পুলিশ কমিশনার তার জবাব দেন।
এর আগে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের দু’টির জুমার প্রথম খুতবায় বিশেষ বয়ান রাখেন জেএমসি’র ইমাম হাফেজ সালাহ মাহমুদ। উল্লেখ্য, সিটির পুলিশ কমিশনারের আগমন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশী বিপুল সংখ্যক মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়।