নিউইয়র্ক ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জেবিবিএ’র পথমেলার উপর আদালতের ইনজাংশন জারী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:১৪:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুলাই ২০১৮
  • / ৫৮৯ বার পঠিত

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন অব এনওয়াই (জেবিবিএ) সঙ্কট কাটছে না। সংগঠনের বিগত নির্বাচন, নেতৃত্ব আর ব্যবসায়ীদের বিভক্তির কারণে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন সঙ্কট। এদিকে জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন অব এনওয়াই (জেবিবিএ) নামে ২২ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য জ্যাকসন হাইটস মেলা’র উপর আদালত ইনজাংশন জারী করেছে। বিবাদী শাহ নেওয়াজ, জাকারিয়া মাসুদ জিকো, তারেক হাসান খান গংদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রীম কোর্ট অব দ্য ষ্টেট অব নিউইয়র্ক-এর কাউন্টি অব কুইন্স আদালত এই ইনজাংশন জারী করেছে বলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়েছে। মামলার ইনডেক্স নং ২৩০৫/১৮। উল্লেখ্য, জেবিবিএ’র পরিচালক হিসেবে সংগঠনটির দাবীদার আবুল ফজল ইসলাম (দিদার), মোহাম্মদ পিয়ার, মোহাম্মদ মহসিন গংরা পথমেলার আয়োজন করেছেন। সংশ্লিস্ট মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ৮ আগষ্ট। খবর ইউএনএ’র।
জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস কমিউনিটি’র ব্যানারে মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে আদালতের ইনজাংশন জারীর কথা জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে শাহ নেওয়াজ, তারেক হাসান খান, মাহবুবুর রহমান টুকু, মাকসুদুর রহমান, মোল্লা মাসুদুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, খালেদ আখতার, বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তারা বলেন, যেহেতে জেবিবিএ’র বিগত নির্বাচন ঘিরে আদালতে মামলা রয়েছে তাই জেবিবিএ’র নাম ব্যবহার করে কারো কোন কর্মকান্ড পরিচালনার সুযোগ নেই। তারা বলেন, আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই জেবিবিএ’র সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা এবং সদস্য হওয়ার পরও বৃহত্তর স্বার্থে জেবিবিএ’র নাম ব্যবহার করছি না। তাই আমাদেরও প্রত্যাশা থাকবে আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অন্য কোন জেবিবিএ’র নামে কোন কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন না।
মামলার রায়ে বলা হয়েছে: আবুল ফজল ইসলাম, মোহাম্মদ পিয়ার, মোহাম্মদ মহসিন মিয়া গংরা ‘জেবিবিএ স্ট্রীট ফেয়ার’ অর্থাৎ জেবিবিএ’র নামে ২২ জুলাই কোন পথমেলার আয়োজন করতে পারবে না এবং জেবিবিএ’র নাম ও লগো ব্যবহার করতে পারবেন না। এছাড়াও তারা জেবিবিএ’র ডিরেক্টর তথা পরিচালক, কর্মকর্তা ও কার্যকরী পরিষদের কর্মকর্তা/সদস্য পরিচয় দিতে পারবেন না এবং তা জেবিবিএ’র নামে কোন অর্থও সংগ্রহ করতে পারবেন না।
মামলার রায়ে ২৫ জুলাই আগে সংশ্লিস্ট সবার কাছে মঠিকভাবে জানানের কথাও বলা হয়েছে।
নিউইয়র্ক: সাংবাদিক সম্মেলনে জেবিবিসি’র নেতৃবৃন্দ। ছবি: ইউএনএ

সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে শাহ নেওয়াজ বলেন, আমরা এক আর ঐক্যবদ্ধ জেবিবিএ চাই বলেই বিভক্তিতে যাইনি। আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তারেক হাসান খান বলেন, ইনকরপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে যে কারো নাম আলবেনীতে সরকারী খাতায় থাকতে পারে। তার মানে এই নয় যে, তারাই প্রতিষ্ঠানটির মালিক। জেবিবিএ’র সদস্য যারা তারাই জেবিবিএ’র মালিক।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মাহবুবুর রহমান টুকু বলেন, আদালতে দায়েরকৃত মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জেবিবিএ’র নামে পরিচলিত বা আয়োজিত সকল অনুষ্ঠান বা কর্মসূচীই অবৈধ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

জেবিবিএ’র পথমেলার উপর আদালতের ইনজাংশন জারী

প্রকাশের সময় : ০৭:১৪:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুলাই ২০১৮

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন অব এনওয়াই (জেবিবিএ) সঙ্কট কাটছে না। সংগঠনের বিগত নির্বাচন, নেতৃত্ব আর ব্যবসায়ীদের বিভক্তির কারণে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন সঙ্কট। এদিকে জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন অব এনওয়াই (জেবিবিএ) নামে ২২ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য জ্যাকসন হাইটস মেলা’র উপর আদালত ইনজাংশন জারী করেছে। বিবাদী শাহ নেওয়াজ, জাকারিয়া মাসুদ জিকো, তারেক হাসান খান গংদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রীম কোর্ট অব দ্য ষ্টেট অব নিউইয়র্ক-এর কাউন্টি অব কুইন্স আদালত এই ইনজাংশন জারী করেছে বলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়েছে। মামলার ইনডেক্স নং ২৩০৫/১৮। উল্লেখ্য, জেবিবিএ’র পরিচালক হিসেবে সংগঠনটির দাবীদার আবুল ফজল ইসলাম (দিদার), মোহাম্মদ পিয়ার, মোহাম্মদ মহসিন গংরা পথমেলার আয়োজন করেছেন। সংশ্লিস্ট মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ৮ আগষ্ট। খবর ইউএনএ’র।
জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস কমিউনিটি’র ব্যানারে মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে আদালতের ইনজাংশন জারীর কথা জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে শাহ নেওয়াজ, তারেক হাসান খান, মাহবুবুর রহমান টুকু, মাকসুদুর রহমান, মোল্লা মাসুদুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, খালেদ আখতার, বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তারা বলেন, যেহেতে জেবিবিএ’র বিগত নির্বাচন ঘিরে আদালতে মামলা রয়েছে তাই জেবিবিএ’র নাম ব্যবহার করে কারো কোন কর্মকান্ড পরিচালনার সুযোগ নেই। তারা বলেন, আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই জেবিবিএ’র সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা এবং সদস্য হওয়ার পরও বৃহত্তর স্বার্থে জেবিবিএ’র নাম ব্যবহার করছি না। তাই আমাদেরও প্রত্যাশা থাকবে আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অন্য কোন জেবিবিএ’র নামে কোন কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন না।
মামলার রায়ে বলা হয়েছে: আবুল ফজল ইসলাম, মোহাম্মদ পিয়ার, মোহাম্মদ মহসিন মিয়া গংরা ‘জেবিবিএ স্ট্রীট ফেয়ার’ অর্থাৎ জেবিবিএ’র নামে ২২ জুলাই কোন পথমেলার আয়োজন করতে পারবে না এবং জেবিবিএ’র নাম ও লগো ব্যবহার করতে পারবেন না। এছাড়াও তারা জেবিবিএ’র ডিরেক্টর তথা পরিচালক, কর্মকর্তা ও কার্যকরী পরিষদের কর্মকর্তা/সদস্য পরিচয় দিতে পারবেন না এবং তা জেবিবিএ’র নামে কোন অর্থও সংগ্রহ করতে পারবেন না।
মামলার রায়ে ২৫ জুলাই আগে সংশ্লিস্ট সবার কাছে মঠিকভাবে জানানের কথাও বলা হয়েছে।
নিউইয়র্ক: সাংবাদিক সম্মেলনে জেবিবিসি’র নেতৃবৃন্দ। ছবি: ইউএনএ

সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে শাহ নেওয়াজ বলেন, আমরা এক আর ঐক্যবদ্ধ জেবিবিএ চাই বলেই বিভক্তিতে যাইনি। আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তারেক হাসান খান বলেন, ইনকরপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে যে কারো নাম আলবেনীতে সরকারী খাতায় থাকতে পারে। তার মানে এই নয় যে, তারাই প্রতিষ্ঠানটির মালিক। জেবিবিএ’র সদস্য যারা তারাই জেবিবিএ’র মালিক।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মাহবুবুর রহমান টুকু বলেন, আদালতে দায়েরকৃত মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জেবিবিএ’র নামে পরিচলিত বা আয়োজিত সকল অনুষ্ঠান বা কর্মসূচীই অবৈধ।