নিউইয়র্ক ১২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জিকো-তারেক প্যানেলের পরিচিতি সভায় যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করার আহ্বান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৭:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫
  • / ৯৩২ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (জেবিবিএ) নিউইয়র্ক ইনক’র দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘জিকো-তারেক’ প্যানেলের পরিচিতি সভা গত সোমবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা এই প্যানেলের সাফল্য কামনার পাশাপাশি যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করে জেবিবিএ-কে শক্তিশালী করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ পালকি পার্টি সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘জিকো-তারেক’ প্যানেলের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন এই প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী জাকরিয়া মাসুদ জিকো। এছাড়া নির্বাচনী ইশতেহার পাঠ করেন ‘জিকো-তারেক’ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ তারেক খান। খবর ইউএনএ’র।
ব্যতিক্রমী এই পরিচিতি সভায় কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে জেবিবিএ’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. দেলোয়ার হোসেন, কমিউনিটি নেতা নাসির আলী খান পল, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ, সোইটির ট্রাষ্টি বোর্ড সদস্য আলাউদ্দিন ভুলু, সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহীম হাওলাদার, জেবিবিএ’র সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট শামসুদ্দোহা, জেবিবিএ’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘জিকো-তারেক’ প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান মাকসুদুর রহমান।
অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্ব উপস্থাপনায় ছিলেন ‘জিকো-তারেক’ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ তারেক খান, কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদপ্রার্থী জাকির মিয়া, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ জে আলম জাহাঙ্গীর ও বিশিষ্ট উপস্থাপন আশরাফুল হাসান বুলবুল।
‘জিকো-তারেক’ প্যানেলের নির্বাচনী ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে: জেবিবিএ’র সদস্যদের জন্য জরুরী তহবিল গঠন করা, গঠনতন্ত্র সংরক্ষণ ও অক্ষুন্ন রাখা এবং সংগঠনকে বৃহৎ, গতিশীল ও সর্বজনীন করা, ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের নামাজের ব্যবস্থায় মসজিদ সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ, জেবিবিএ’র স্থায়ী ও নিজস্ব কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা, জেবিবিএ’র সাধারণ সদস্যদের নিয়ে অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটি গঠন ও তা পরবর্তীতে সার্টিফাইড হিসাব রক্ষক (সিপিএ) এর মাধ্যমে পূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশ করা, জেবিবিএ’র আওতাধীন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ও অপরাধ দমনে স্থানীয় পুলিশ ও কমিউনিটি বোর্ডকে সম্পৃক্ত করা, বাংলাদেশী পণ্য বাজারজাতকরণ (মেইড ইন বাংলাদেশ) ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা, জেবিবিএ’র সদস্যদের আইডি (ডিসকাউন্ট) কার্ড প্রদান এবং পার্কিং সমস্যা সমাধানে বাস্তবমুখী জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ।
উল্লেখ্য, ‘জিকো-তারেক’ প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন: সভাপতি- জাকারিয়া মাসুদ জিকো, সহ সভাপতি- মোহাম্মদ সুরুজ্জামান ও মোল্লা মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক- তারেক হাসান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- আব্দুল কাইয়ুম খান, কোষাধ্যক্ষ- মোহাম্মদ হোসেন মনিরের, সাংগঠনিক সম্পাদক- আতিকুল ইসলাম জাকির, দপ্তর সম্পাদক- শেখ আলী হাসান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক- মোস্তাফিজুর রহমান মুস্তাফিজ, সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক- হাসান জিলানী। কার্যকরী পরিষদ সদস্য- জাকির মিয়া, আব্দুল আলীম, ঋশীধাম চৌধুরী, এম এ হক ও মোহাম্মদ লিয়াকত আলী।
আরো উল্লেখ্য, জেবিবিএ’র কার্যকরী পরিষদের দ্বি-বার্ষিক (২০১৬-২০১৭) নির্বাচন আগামী ২০ ডিসেম্বর রোববার। এদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।
এনআরবি নিউজ জানায়, ‘জিকো-তারেক’ প্যানেলের পরিচিতি সভায় বক্তারা বলেন, হিন্দি অথবা উর্দূ না জানলে এক সময় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে কাজ পাওয়া যেত না, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা তো দূরের কথা। এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে বাঙালীদের মুক্তি পেতে সময় লেগেছে ৩ বছর। এখন এই জ্যাকসন হাইটসকে উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশীদের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেদিনের জ্যাকসন হাইটসকে আজকের জ্যাকসন হাইটসে পরিণত করতে অনেককেই নিরলসভাবে কাজ করতে হয়। ত্যাগ স্বীকারও করতে হয়েছে। কুইন্সের এই জ্যাকসন হাইটসে বাংলাদেশী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সংগঠন হচ্ছে ‘জেবিবিএ’ (জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন)। এর সদস্য সংখ্যা ২৫৭। এর বাইরেও রয়েছেন অনেক। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে তারা এবার ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে সক্ষম হননি। ব্যবসার প্রসারের কারণে জেবিবিএ’র গুরুত্বও বেড়েছে। এই গুরুত্ব আরো সুসংহত করতে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন সকলে।
অনুষ্ঠানে এডভোকেট শামসুদ্দোহা বলেন, ‘প্রতারণা আর জালিয়াতিসহ অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত লোকজনকে জেবিবিএর নেতৃত্বে কোনভাবেই অধিষ্ঠিত করা যাবে না। ব্যবসায়ীগণের স্বার্থে কাজ করবেন এমন স্মার্ট লোকদের জয়ী করতে হবে। মূলধারায় সম্পর্ক জোরদার ব্যতিত জ্যাকসন হাইটস ঘিরে প্রবাসীদের যে স্বপ্ন আর প্রত্যাশা রয়েছে তার বাস্তবায়ন ঘটানো সম্ভব হবে না বলেই যোগ্য ব্যক্তিদের জয়ী করার বিকল্প নেই। এজন্যে মার্কিন শিক্ষায় শিক্ষিত এবং সকলের সাথে কথাবলার মত যোগ্যতা ও সামর্থ্য রয়েছে এমন প্যানেলের কথা ভাবছি আমরা।’ এডভোকেট শামসুদ্দোহা সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বলেন, ‘বিবেক-বিবেচনা করে ভোট দেবেন। আমরা জেবিবিএকে সম্মুখে এগিয়ে নিতে চাই কম্যুনিটির সামগ্রিক স্বার্থে।’
স্বাগত বক্তব্যে এই প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান মাকসুদুর রহমান। তিনি অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে বলেন, ‘ক্রাইম করে জেলখাটা লোকজনের ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। জেবিবিএর গঠনতন্ত্রে এ বিষয়টি ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেটি ডিলিট করা হয়েছে কার স্বার্থে-তা ভেবে দেখেই আসন্ন নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে। জেবিবিএ হচ্ছে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। এর মর্যাদা অটুট রাখতে হলে যোগ্য লোকদের ভোট দিতে হবে। সে জন্যেই আজ আমরা এখানে সমবেত হয়েছি।’
জেবিবিএর সাবেক নেতা আলাউদ্দিন ভুলু বলেন, ‘আরেকটি প্যানেল থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, তাদেরটাই প্রকৃত ব্যবসায়ীদের প্যানেল। এটি কেমন কথা? তাহলে যাদের নেতৃত্বে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে তারা সদস্যগণের যে তালিকা প্রকাশ করেছেন, সেখানেও কী বৈষম্য রয়েছে? প্রকৃত বলতে তারা কী বুঝাচ্ছেন। এহেন মনোভাবাপন্ন লোকজন জেবিবিএর নেতৃত্বে এলে ব্যবসার প্রসার ঘটবে না। তাই জিকো-তারেক প্যানেল জয়ী করে এই সংগঠনের ইমেজ আরো উঁচুতে নেয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে হবে।’
হোসেন রানা জেবিবিএর প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট এবং নানা সমস্যার আলোকপাত করে বলেন, ‘এখানে একটি মসজিদ ও মন্দির চাই। ঢাকার নামী-দামী শিল্পীর পেছনে জেবিবিএর অর্থ ব্যয়ের দরকার নেই। স্যান্ডির সময় আমরা ৩৫ হাজার ডলার দান করেছি। বাংলাদেশের দুর্যোগেও অর্থ দেয়া হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে তেমন কিছুই ঘটেনি। জেবিবিএকে প্রবাসীদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটানোর পথে হাঁটতে হবে। এ জন্যেই যোগ্যদের নির্বাচিত করার অনুরোধ আমারও। ব্যালটের মধ্য দিয়েই ইতিপূর্বেকার অন্যায়-অবিচারে লিপ্তদের প্রত্যাখান করতে হবে।’
নাসির আলী খান পল বলেন, ‘ঘষাঘষি, ধাক্কা-ধাক্কি আর পায়ে বেড়িওয়ালাদের জবাব দিতে হবে ব্যালটের মধ্য দিয়ে। যোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে জেবিবিএ অধিষ্ঠিত হলেই কমিউনিটির কল্যাণ হবে।’
জেবিবিএর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মার্কিন প্রশাসনে ব্যাপক প্রভাব রয়েছে ইউএস চেম্বার অব কমার্সের। জেবিবিএ-কে তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরী করতে হবে কম্যুনিটির দাবি আদায়ের জন্যে। সেজন্যে দরকার উপযুক্ত নেতৃত্ব।’
‘সৎ ও উদ্ভাবনী নেতৃত্বের বিকল্প নাই’-এই আমেজে নির্বাচনের দিনও সকলকে ভোটকেন্দ্রে আসার অনুরোধ এবং জেবিবিএকে গতিশীল করার জন্যে এই প্যানেলকে ভোট প্রদানের আহবান জানান জেবিবিএর প্রথম নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি জিকো। স্টেট ইউসিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী জিকো সকলকে অবহিত করেন, ‘আমার প্যানেলের সকল প্রার্থীই সাংগঠনিক ভাবে দক্ষ এবং সকলের কাছে সমানভাবে সমাদৃত। এই প্যানেলের মাধ্যমেই সম্ভব জেবিবিএর ঐতিহ্য অটুট রাখা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

জিকো-তারেক প্যানেলের পরিচিতি সভায় যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করার আহ্বান

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৭:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫

নিউইয়র্ক: জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (জেবিবিএ) নিউইয়র্ক ইনক’র দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘জিকো-তারেক’ প্যানেলের পরিচিতি সভা গত সোমবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা এই প্যানেলের সাফল্য কামনার পাশাপাশি যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করে জেবিবিএ-কে শক্তিশালী করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ পালকি পার্টি সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘জিকো-তারেক’ প্যানেলের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন এই প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী জাকরিয়া মাসুদ জিকো। এছাড়া নির্বাচনী ইশতেহার পাঠ করেন ‘জিকো-তারেক’ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ তারেক খান। খবর ইউএনএ’র।
ব্যতিক্রমী এই পরিচিতি সভায় কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে জেবিবিএ’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. দেলোয়ার হোসেন, কমিউনিটি নেতা নাসির আলী খান পল, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ, সোইটির ট্রাষ্টি বোর্ড সদস্য আলাউদ্দিন ভুলু, সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহীম হাওলাদার, জেবিবিএ’র সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট শামসুদ্দোহা, জেবিবিএ’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘জিকো-তারেক’ প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান মাকসুদুর রহমান।
অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্ব উপস্থাপনায় ছিলেন ‘জিকো-তারেক’ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ তারেক খান, কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদপ্রার্থী জাকির মিয়া, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ জে আলম জাহাঙ্গীর ও বিশিষ্ট উপস্থাপন আশরাফুল হাসান বুলবুল।
‘জিকো-তারেক’ প্যানেলের নির্বাচনী ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে: জেবিবিএ’র সদস্যদের জন্য জরুরী তহবিল গঠন করা, গঠনতন্ত্র সংরক্ষণ ও অক্ষুন্ন রাখা এবং সংগঠনকে বৃহৎ, গতিশীল ও সর্বজনীন করা, ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের নামাজের ব্যবস্থায় মসজিদ সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ, জেবিবিএ’র স্থায়ী ও নিজস্ব কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা, জেবিবিএ’র সাধারণ সদস্যদের নিয়ে অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটি গঠন ও তা পরবর্তীতে সার্টিফাইড হিসাব রক্ষক (সিপিএ) এর মাধ্যমে পূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশ করা, জেবিবিএ’র আওতাধীন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ও অপরাধ দমনে স্থানীয় পুলিশ ও কমিউনিটি বোর্ডকে সম্পৃক্ত করা, বাংলাদেশী পণ্য বাজারজাতকরণ (মেইড ইন বাংলাদেশ) ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা, জেবিবিএ’র সদস্যদের আইডি (ডিসকাউন্ট) কার্ড প্রদান এবং পার্কিং সমস্যা সমাধানে বাস্তবমুখী জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ।
উল্লেখ্য, ‘জিকো-তারেক’ প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন: সভাপতি- জাকারিয়া মাসুদ জিকো, সহ সভাপতি- মোহাম্মদ সুরুজ্জামান ও মোল্লা মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক- তারেক হাসান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- আব্দুল কাইয়ুম খান, কোষাধ্যক্ষ- মোহাম্মদ হোসেন মনিরের, সাংগঠনিক সম্পাদক- আতিকুল ইসলাম জাকির, দপ্তর সম্পাদক- শেখ আলী হাসান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক- মোস্তাফিজুর রহমান মুস্তাফিজ, সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক- হাসান জিলানী। কার্যকরী পরিষদ সদস্য- জাকির মিয়া, আব্দুল আলীম, ঋশীধাম চৌধুরী, এম এ হক ও মোহাম্মদ লিয়াকত আলী।
আরো উল্লেখ্য, জেবিবিএ’র কার্যকরী পরিষদের দ্বি-বার্ষিক (২০১৬-২০১৭) নির্বাচন আগামী ২০ ডিসেম্বর রোববার। এদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।
এনআরবি নিউজ জানায়, ‘জিকো-তারেক’ প্যানেলের পরিচিতি সভায় বক্তারা বলেন, হিন্দি অথবা উর্দূ না জানলে এক সময় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে কাজ পাওয়া যেত না, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা তো দূরের কথা। এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে বাঙালীদের মুক্তি পেতে সময় লেগেছে ৩ বছর। এখন এই জ্যাকসন হাইটসকে উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশীদের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেদিনের জ্যাকসন হাইটসকে আজকের জ্যাকসন হাইটসে পরিণত করতে অনেককেই নিরলসভাবে কাজ করতে হয়। ত্যাগ স্বীকারও করতে হয়েছে। কুইন্সের এই জ্যাকসন হাইটসে বাংলাদেশী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সংগঠন হচ্ছে ‘জেবিবিএ’ (জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন)। এর সদস্য সংখ্যা ২৫৭। এর বাইরেও রয়েছেন অনেক। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে তারা এবার ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে সক্ষম হননি। ব্যবসার প্রসারের কারণে জেবিবিএ’র গুরুত্বও বেড়েছে। এই গুরুত্ব আরো সুসংহত করতে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন সকলে।
অনুষ্ঠানে এডভোকেট শামসুদ্দোহা বলেন, ‘প্রতারণা আর জালিয়াতিসহ অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত লোকজনকে জেবিবিএর নেতৃত্বে কোনভাবেই অধিষ্ঠিত করা যাবে না। ব্যবসায়ীগণের স্বার্থে কাজ করবেন এমন স্মার্ট লোকদের জয়ী করতে হবে। মূলধারায় সম্পর্ক জোরদার ব্যতিত জ্যাকসন হাইটস ঘিরে প্রবাসীদের যে স্বপ্ন আর প্রত্যাশা রয়েছে তার বাস্তবায়ন ঘটানো সম্ভব হবে না বলেই যোগ্য ব্যক্তিদের জয়ী করার বিকল্প নেই। এজন্যে মার্কিন শিক্ষায় শিক্ষিত এবং সকলের সাথে কথাবলার মত যোগ্যতা ও সামর্থ্য রয়েছে এমন প্যানেলের কথা ভাবছি আমরা।’ এডভোকেট শামসুদ্দোহা সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বলেন, ‘বিবেক-বিবেচনা করে ভোট দেবেন। আমরা জেবিবিএকে সম্মুখে এগিয়ে নিতে চাই কম্যুনিটির সামগ্রিক স্বার্থে।’
স্বাগত বক্তব্যে এই প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান মাকসুদুর রহমান। তিনি অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে বলেন, ‘ক্রাইম করে জেলখাটা লোকজনের ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। জেবিবিএর গঠনতন্ত্রে এ বিষয়টি ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেটি ডিলিট করা হয়েছে কার স্বার্থে-তা ভেবে দেখেই আসন্ন নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে। জেবিবিএ হচ্ছে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। এর মর্যাদা অটুট রাখতে হলে যোগ্য লোকদের ভোট দিতে হবে। সে জন্যেই আজ আমরা এখানে সমবেত হয়েছি।’
জেবিবিএর সাবেক নেতা আলাউদ্দিন ভুলু বলেন, ‘আরেকটি প্যানেল থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, তাদেরটাই প্রকৃত ব্যবসায়ীদের প্যানেল। এটি কেমন কথা? তাহলে যাদের নেতৃত্বে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে তারা সদস্যগণের যে তালিকা প্রকাশ করেছেন, সেখানেও কী বৈষম্য রয়েছে? প্রকৃত বলতে তারা কী বুঝাচ্ছেন। এহেন মনোভাবাপন্ন লোকজন জেবিবিএর নেতৃত্বে এলে ব্যবসার প্রসার ঘটবে না। তাই জিকো-তারেক প্যানেল জয়ী করে এই সংগঠনের ইমেজ আরো উঁচুতে নেয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে হবে।’
হোসেন রানা জেবিবিএর প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট এবং নানা সমস্যার আলোকপাত করে বলেন, ‘এখানে একটি মসজিদ ও মন্দির চাই। ঢাকার নামী-দামী শিল্পীর পেছনে জেবিবিএর অর্থ ব্যয়ের দরকার নেই। স্যান্ডির সময় আমরা ৩৫ হাজার ডলার দান করেছি। বাংলাদেশের দুর্যোগেও অর্থ দেয়া হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে তেমন কিছুই ঘটেনি। জেবিবিএকে প্রবাসীদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটানোর পথে হাঁটতে হবে। এ জন্যেই যোগ্যদের নির্বাচিত করার অনুরোধ আমারও। ব্যালটের মধ্য দিয়েই ইতিপূর্বেকার অন্যায়-অবিচারে লিপ্তদের প্রত্যাখান করতে হবে।’
নাসির আলী খান পল বলেন, ‘ঘষাঘষি, ধাক্কা-ধাক্কি আর পায়ে বেড়িওয়ালাদের জবাব দিতে হবে ব্যালটের মধ্য দিয়ে। যোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে জেবিবিএ অধিষ্ঠিত হলেই কমিউনিটির কল্যাণ হবে।’
জেবিবিএর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মার্কিন প্রশাসনে ব্যাপক প্রভাব রয়েছে ইউএস চেম্বার অব কমার্সের। জেবিবিএ-কে তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরী করতে হবে কম্যুনিটির দাবি আদায়ের জন্যে। সেজন্যে দরকার উপযুক্ত নেতৃত্ব।’
‘সৎ ও উদ্ভাবনী নেতৃত্বের বিকল্প নাই’-এই আমেজে নির্বাচনের দিনও সকলকে ভোটকেন্দ্রে আসার অনুরোধ এবং জেবিবিএকে গতিশীল করার জন্যে এই প্যানেলকে ভোট প্রদানের আহবান জানান জেবিবিএর প্রথম নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি জিকো। স্টেট ইউসিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী জিকো সকলকে অবহিত করেন, ‘আমার প্যানেলের সকল প্রার্থীই সাংগঠনিক ভাবে দক্ষ এবং সকলের কাছে সমানভাবে সমাদৃত। এই প্যানেলের মাধ্যমেই সম্ভব জেবিবিএর ঐতিহ্য অটুট রাখা।