জাতিসংঘের সামনে আ’লীগ ও বিএনপির পরস্পর বিরোধী সমাবেশ
- প্রকাশের সময় : ১১:১৪:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬
- / ৭৭৭ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সতর্ক প্রহরার মধ্যে একশত গজের ব্যবধানে পরস্পর বিরোধী কর্মসূচি পালন করলো যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি। ২১ সেপ্টেম্বর বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে শেখ হাসিনার ভাষণের প্রতিবাদে বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ এবং ঐ ভাষণের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেন স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট থেকে ৭টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত। এর ঘন্টাখানেক আগেই বিএনপির বিক্ষোভ এবং আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শেষ হয় বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই। তবে, বিএনপির বিক্ষোভ থেকে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভে পচা ডিম ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ থেকে শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলার ধারাবিবরনী উপস্থাপন করার পাশাপাশি বিএনপির বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দেয়া হয়। ‘বিএনপির দুই গুণ-লুটপাট আর খুন’, ‘যেখানে বিএনপি-সেখানেই প্রতিরোধ’ ইত্যাদি শ্লোগান দেয়া হয়। নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম, আকতার হোসেন, এম এ সালাম, এম এ জলিল, আব্দুস সামাদ আজাদ, আইরিন পারভিন, আব্দুল হাসিব মামুন, আব্দুর রহিম বাদশা, মাহবুবুর রহমান টুকু, মমতাজ শাহানাজ, মোর্শেদা জামান, আশরাফুজ্জামান, খোরশেদ খন্দকার, মিসেস আজাদ, তৈয়বুর রহমান টনি প্রমুখ। এ কর্মসূচিতে বস্টন থেকেও এসেছিলেন নিউইংল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ ইকবাল। ওয়াশিংটন মেট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক খান এবং সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী বাকির নেতৃত্বে একদল নেতা-কর্মী অংশ নেন এই শান্তি সমাবেশে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কোন কমিটি না থাকায় বিবদমান গ্রুপগুলো পৃথক পৃথক ব্যানার ব্যবহার করলেও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেয়া শ্লোগানে সকলেই ঐক্য দেখিয়েছেন। তাদের শ্লোগান ছিল, ‘এই মুহূর্তে দরকার-তত্বাবধায়ক সরকার’, ‘হঠাও হাসিনা বাঁচাও দেশ-খালেদা জিয়ার নির্দেশ’, ‘নো জাস্টিস-নো পিস’ ‘খালেদা-তারেক ভয় নাই-রাজপথ ছাড়ি নাই’ ‘জেল-জুলুম হুলিয়া নিতে হবে তুলিয়া’, ‘বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের নিযার্তন বন্ধ কর’, ‘ডাউন ডাউন হাসিনা’, ‘গো ব্যাক হাসিনা’ ইত্যাদি।
বিএনপি’র সমাবেশে নেতৃত্ব দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা গিয়াস আহমেদ, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, আলহাজ্ব সোলায়মান ভ’ইয়া, মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, তারেক পরিষদ আন্তর্জাতিক কমিটির চেয়ারপার্সন ও মূলধারার রাজনীতিক আকতার হোসেন বাদল, বিএনপি নেতা জসীম ভূইয়া, আলহাজ্ব মাহফুজুল মাওলা নান্নু, এম এ বাতিন, গোলাম ফারুক শাহীন, মাওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সাঈদুর রহমান, পারভেজ সাজ্জাদ, মতিউর রহমান লিটু, আলহাজ্ব আবু তাহের, সোহরাব হোসেন, খলকু রহমান, মোহাম্মদ সাদী মিন্টু, আজাদ বাকির, নাসিম আহমেদ, জাফর তালুকদার, গোলাম হোসেন, ছাত্রদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জনি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি আলহাজ্ব বাবর উদ্দিন প্রমুখ।
বিএনপির এ কর্মসূচিতে ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপির নেতা-কর্মীরাও এসেছিলেন পৃথক ব্যানার নিয়ে। ওয়াশিংটন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ.জে.এম হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক কামালের নেতৃতে বিক্ষোভ সমাবেশে আরো ছিলেন মোখলেছুর রহমান লিটন, তৈয়্যবুর রহমান, মনির হোসেন, মোহাম্মদ আল আমিন, সোহেল আহমেদ, রাসেল আহমেদ, কামাল পাশা, ফরহাদ আজিজ, জিন্নাত উল্লাহ, মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, নূর মোহাম্মদ লিটন, জামাল উদ্দিন, আবুল কাসেম, সানা উল্লাহ, মিয়া হাসেম, কবির আজিজ, ইসমাঈল প্রধান, নাসির উদ্দিন, ফিরোজ আলম, হেলাল আহমেদ, জীবন চৌধুরী, মনির হোসেন, রেজাউল করীম প্রমুখ।
এক শত গজের ব্যবধানে পুলিশের বেষ্টনীর মধ্যে পরস্পর বিরোধী এ কর্মসূচি থেকে আক্রমণাত্মক বক্তব্যও প্রদান করা হয়। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, ১৮ সেপ্টেম্বর রোববার কানাডা থেকে নিউইয়র্কে আসার সময় এয়ারপোর্টে বিএনপির কেউ ছিল না। একারণে আওয়ামী লীগ ধারনা করেছিল যে, জাতিসংঘের সামনেও বিএনপির কোন কর্মসূচি হবে না। কিন্তু বাস্তবে বেশ কয়েকশত নেতা-কর্মীর সমাগম ঘটে। (এনআরবি নিউজ)