নিউইয়র্ক ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ঘাতক অস্কার মোরেলকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৫৬:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুন ২০১৮
  • / ৭২০ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: নিউইয়র্কের ওজনপার্কের আলোচিত দুই বাংলাদেশীর নির্মম মৃত্যুর চূড়ান্ত সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। ইমাম আকুনজি ও তার সহযোগী তারা-মিয়া হত্যাকারীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়া হয়েছে। এছাড়া খুনির আরো ৫০ বছর সাজা ভোগের রায় দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৬ জুন) কুইন্স ক্রিমিনাল কোর্টের বিচারক এ রায় দেন। এর আগে গেল ২৩ মার্চ শনিবার শুনানি শেষে হত্যাকারি অস্কার মোরেলকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত। জোড়া খুন মামলায় ওই সময়ে তাকে ‘ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড ও ফোর্থ ডিগ্রি মার্ডারার হিসাবে রায় দেয়া হয়। চূড়ান্ত সাজা সন্তোষ প্রকাশ করে খুনির সর্বোচ্চ সাজার পাশাপাশি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এমন দাবি করেছেন কমিউনিটি’সহ নিহতের পরিবার।
২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট  ওজন পার্কে নিজ বাড়ি ফেরার পথেই এক দুর্বৃত্তের হাতে নির্মমভাবে খুন হন ইমাম আলউদ্দিন আকুনজি ও তার সহযোগী তারা মিয়া। ওই ঘটনার পর, কমিউনিটির জোরালো দাবী আর অব্যাহত প্রতিবাদের মুখে দ্রুত গ্রেফতার করা হয় সন্দেহভাজন এ হত্যাকারীকে। অভিযোগ উঠে মুসলিম বিদ্বেষ তথা ‘হেইট-ক্রাইমের’ শিকার হয়েছিলেন বাংলাদেশী ইমাম ও তার সহযোগী। ফলে, খুনিকে গ্রেফতারের পাশাপাশি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার দাবীতে সোচ্চার ছিলেন সবাই। মূলধারার গণমাধ্যম’সহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং কমিউনিটির জোরালো অবস্থানের ফলে দ্রুত গ্রেফতার হয় ঘাতক অস্কার-মোরেলকে।
টানা দুই বছর তদন্ত শেষে চলতি বছরের মার্চ মাসে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। কয়েকটি শুনানি ও যুক্তি-তর্ক শেষে গেল ২২ মার্চ শুক্রবার ১২জন জুরি বোর্ডের সমন্বয়ে গঠিত প্যানেল মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। একদিন পর ২৩ মার্চ আদেশ দেন কুইন্স ক্রিমিনাল কোর্টের বিচার গেগরি ল্যাসাক।
ওই রায় বাস্তবায়নের দিন ধার্য ছিল ৬ জুন। এদিন কুইন্স ক্রিমিনাল কোর্টে হাজির ছিলেন উভয়পক্ষের আইনজীবীরা। এছাড়া নির্মম হত্যার শিকার দুই বাংলাদেশীর পক্ষে কমিউনিটি’সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি ছিলেন পরিবারের সদস্যরাও।
রায়-বাস্তবায়নের চূড়ান্ত ঘোষণায় হত্যাকারী অস্কার মোরেলকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড’সহ আরো ৫০ বছরের জেল দেয়া হয়েছে। প্রায় দুই বছর পর ইমাম আকুনজি ও তারা মিয়া পরিবার ন্যায় বিচার পাওয়ায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বলে মনে করছেন, আদালতে উপস্থিত অনেকে। এ সাজার ফলে, হত্যাকারী ‘অস্কার-মোরেল’র কারাগার থেকে বের হওয়ার আর কোন সুযোগ নেই। এমনটিও জানান আইনজীবী’সহ সংশ্লিষ্টরা।
দু’জন বাংলাদেশী ইমাম হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাজায় ঘোষণার দিন নিউইয়র্ক সিটি প্রশাসনেরও সজাগ দৃষ্টি ছিল। সাজা ঘিরে জনপ্রতিনিধি, মানবাধিকার সংগঠন এবং মূলধারার গণমাধ্যমের উপস্থিতিও ছিল বেশ লক্ষ্যনীয়। -টাইম টেলিভিশন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

ঘাতক অস্কার মোরেলকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৬:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুন ২০১৮

হককথা ডেস্ক: নিউইয়র্কের ওজনপার্কের আলোচিত দুই বাংলাদেশীর নির্মম মৃত্যুর চূড়ান্ত সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। ইমাম আকুনজি ও তার সহযোগী তারা-মিয়া হত্যাকারীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়া হয়েছে। এছাড়া খুনির আরো ৫০ বছর সাজা ভোগের রায় দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৬ জুন) কুইন্স ক্রিমিনাল কোর্টের বিচারক এ রায় দেন। এর আগে গেল ২৩ মার্চ শনিবার শুনানি শেষে হত্যাকারি অস্কার মোরেলকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত। জোড়া খুন মামলায় ওই সময়ে তাকে ‘ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড ও ফোর্থ ডিগ্রি মার্ডারার হিসাবে রায় দেয়া হয়। চূড়ান্ত সাজা সন্তোষ প্রকাশ করে খুনির সর্বোচ্চ সাজার পাশাপাশি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এমন দাবি করেছেন কমিউনিটি’সহ নিহতের পরিবার।
২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট  ওজন পার্কে নিজ বাড়ি ফেরার পথেই এক দুর্বৃত্তের হাতে নির্মমভাবে খুন হন ইমাম আলউদ্দিন আকুনজি ও তার সহযোগী তারা মিয়া। ওই ঘটনার পর, কমিউনিটির জোরালো দাবী আর অব্যাহত প্রতিবাদের মুখে দ্রুত গ্রেফতার করা হয় সন্দেহভাজন এ হত্যাকারীকে। অভিযোগ উঠে মুসলিম বিদ্বেষ তথা ‘হেইট-ক্রাইমের’ শিকার হয়েছিলেন বাংলাদেশী ইমাম ও তার সহযোগী। ফলে, খুনিকে গ্রেফতারের পাশাপাশি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার দাবীতে সোচ্চার ছিলেন সবাই। মূলধারার গণমাধ্যম’সহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং কমিউনিটির জোরালো অবস্থানের ফলে দ্রুত গ্রেফতার হয় ঘাতক অস্কার-মোরেলকে।
টানা দুই বছর তদন্ত শেষে চলতি বছরের মার্চ মাসে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। কয়েকটি শুনানি ও যুক্তি-তর্ক শেষে গেল ২২ মার্চ শুক্রবার ১২জন জুরি বোর্ডের সমন্বয়ে গঠিত প্যানেল মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। একদিন পর ২৩ মার্চ আদেশ দেন কুইন্স ক্রিমিনাল কোর্টের বিচার গেগরি ল্যাসাক।
ওই রায় বাস্তবায়নের দিন ধার্য ছিল ৬ জুন। এদিন কুইন্স ক্রিমিনাল কোর্টে হাজির ছিলেন উভয়পক্ষের আইনজীবীরা। এছাড়া নির্মম হত্যার শিকার দুই বাংলাদেশীর পক্ষে কমিউনিটি’সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি ছিলেন পরিবারের সদস্যরাও।
রায়-বাস্তবায়নের চূড়ান্ত ঘোষণায় হত্যাকারী অস্কার মোরেলকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড’সহ আরো ৫০ বছরের জেল দেয়া হয়েছে। প্রায় দুই বছর পর ইমাম আকুনজি ও তারা মিয়া পরিবার ন্যায় বিচার পাওয়ায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বলে মনে করছেন, আদালতে উপস্থিত অনেকে। এ সাজার ফলে, হত্যাকারী ‘অস্কার-মোরেল’র কারাগার থেকে বের হওয়ার আর কোন সুযোগ নেই। এমনটিও জানান আইনজীবী’সহ সংশ্লিষ্টরা।
দু’জন বাংলাদেশী ইমাম হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাজায় ঘোষণার দিন নিউইয়র্ক সিটি প্রশাসনেরও সজাগ দৃষ্টি ছিল। সাজা ঘিরে জনপ্রতিনিধি, মানবাধিকার সংগঠন এবং মূলধারার গণমাধ্যমের উপস্থিতিও ছিল বেশ লক্ষ্যনীয়। -টাইম টেলিভিশন