নিউইয়র্ক ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ঘরে ঘরে বাংলা ভাষা চর্চার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৪৫:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • / ৯৮৭ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: ভাষা শহীদদের স্মরণে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ সহ নানা অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে অমর একুশে মহান শহীদ দিবস তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলার সমন্বয়ে গঠিত প্রবাসের অন্যতম বৃহৎ সামাজিক সংগঠন নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইনক। অমর একুশে উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা উত্তর আমেরিকার সকল বাংলাদেশীর ঘরে ঘরে বাংলা ভাষা চর্চার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রবাসের মিশ্র সংস্কৃতিতে ভাষা টিকিয়ে রাখা সহজ কাজ নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশী-আমেরিকান নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষা তুলে ধরতে না পারলে একদিন এই ভাষাও বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এজন্য সামাজিক সংগঠনগুলোর পাশাপাশি অভিভাবকদের ভূমিকা গুরুত্ব সর্বাধিক।
অমর একুশে পালন উপলক্ষ্যে নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ২০ ফেব্রুয়ারী সোমবার সন্ধ্যায় জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউস্থ এক্সিট রিয়েলটি মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্থবক অর্পণ করেন নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে নিযুক্ত ভাইস কনসাল শাহেদুল হক। খবর ইউএনএ’র।
NBF_21_Koran Telawatপবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে একুশের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর বায়ান্নর ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. মোহাম্মদ অঅব্দুল লতিফ। উদ্বোধনী পর্বে আরো বক্তব্য রাখেন একুশ পালন কমিটির চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান হাসান, ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাকিবুজ্জামান খান তনু, আহ্বাবয়ক মোহাম্মদ আবু তাহের, প্রধান সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার এইচ এম শহীদ ও সদস্য সচিব এম এ মজিদ আকন্দ।
অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো একক ও সমবেত সঙ্গীত, শিশু-কিশোর-কিশোরীদের জন্য আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার পুরষ্কার বিতরণ, আলোচনা, একুশের কবিতা পাঠ ও শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ।
NBF_21_Masud bin Momen & Othersঅনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বিশ্বের সকল ভাষাবাষীর সাথে আমাদের পারষ্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলা ভাষা সহ সকল ভাষাকে বিশ্বেও বুকে বআচিয়ে রাখতে হবে। এজন্য সামাজিক সংগঠনগুলো বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, জাতিসংঘের মাধ্যমে আমরা সকল ভাষা বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছি।
NBF_21_Nrew Genaretionসঙ্গীতানুষ্ঠান: একুশ ও দেশাত্ত্ববোধক সঙ্গীতানুষ্ঠানে সুরবানী মিউজিক স্কুল ও চারুকন্ঠ স্কুলে শিল্পীরা ছাড়াও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী শহীদ হাসান সহ প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীদের মধ্যে চন্দন চৌধুরী, শাহ মাহবুব, তাজ, প্রমি, লেমন চৌধুরী, ডা. নার্গিস রহমান, চম্পাকলি, আবুল কালাম আজাদ, মোহর খান, সেলিম ইব্রাহীম, ন্যান্সি খান, রুবিনা মানিক, তুলি ফারহানা, শাহনাজ বেগম, সুলতানা, আফিয়া, মোহাম্মদ রহমান ও শামীমা খানম অংশ নেন। এই পর্ব পরিচালনা করেন ডা. নার্গিস রহমান ও কামনা হাসান।
NBF_21_Dr. Wajed A Khanপুরষ্কার বিতরনী: শিশু-কিশোর-কিশোরীদের জন্য আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার পুরষ্কার বিতরনী পর্বে বিজয়ী সহ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা নাসির আলী খান পল, সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, ফার্মাসিষ্ট আব্দুল আওয়াল সিদ্দিকী, সংগঠনের সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, সাবেক উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মিজানুল হাসান ও সমন্বয়কারী শাহ এম নওরোজ।
NBF_21_Ekus er Kabitaএকুশের কবিতা পাঠ: চমৎকার মঞ্চে আয়োজিত এই পর্বে অংশ নেন প্রবাসের জনপ্রিয় আবৃত্তিকার শ্যামা লিপি শ্যামা, কবীর কিরণ, হাসানুল কবীর ডাবলু, শাহানা বেগম রিনা ও নতুন প্রজন্মেও কাব্য। এসময় সঙ্গীতে ছিলেন শিল্পী চন্দন চৌধুরী। শিল্পীদের পরিবেনা উপস্থিত সকল দর্শক-শ্রোতাকে মুগ্ধ করে।
NBF_21_Hasanuzzaman Hasanআলোচনা: ‘একুশ এবং নতুন প্রজন্মের ভাবনা’ শীর্ষক বিশেষ একুশের আলোচনার সঞ্চালক ছিলেন ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা নাসির আলী খান পল। আলোচনায় অংশ নেন সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান ও ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসানুজ্জামান হাসান।
একুশের আলোচনায় অংশ নিয়ে কৌশিক আহমেদ প্রবাসে বাংলা ভাষা চর্চার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, যারা বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় অংশ নিয়েছেন তারা যেমন ভাষা সৈনিক তেমনী এই প্রবাসের সকল বাংলাদেশীও এক একজন ভাষা সৈনিক। কেননা, প্রবাসের প্রতিকূল পরিবেশে যুদ্ধ করেই আমাদেরকে বাংলা ভাষার চর্চা করতে হচ্ছে। অপ্রিয় হলেও সত্য আমাদের নতুন প্রজন্মকে আমরা যথাযথভাবে বাংলা ভাষা শিখার ব্যাপারে আগ্রহী করে গড়ে তুলতে পারছি না। তারপরও আমাদেরকে ঘরে ঘরে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। তা না হলে ৩০/৪০ বছর পর প্রবাস থেকে বাংলা ভাষা হারিয়ে যাবে।
ডা. ওয়াজেদ এ খান তার আলোচনায় সংক্ষেপে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, সম্মিলিত উদ্যোগেই প্রবাসে বাংলা ভাষা, বাংলা সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ঘরে ঘরে নতুন প্রজন্মকে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত করে তুলতে হবে। তিনি বলেন, প্রবাসে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চায় আমাদের উদ্যোগ যথাযথ নয়। এজন্য সবাইকে আরো সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। তবে তিনি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে উচ্চ বিত্ত ঘরের সন্তানরা ইংরেজী মিডিয়াম স্কুলে পড়ছে। তারা বাংলা সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। দেশে মিশ্র সংস্কৃতির বিকাশ জাতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ এব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি নেই। বিষয়গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাবতে হবে।
হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের যথাযথভাবে বাংলা ভাষা চর্চায় ব্যর্থ হচ্ছি। আমার সন্তানদের একুশের অনুষ্ঠানে আনতে পারিনি। আমার মতো অনেক অভিভাবকই তাদের সন্তারদের একুশের অনুষ্ঠানে আনতে পারেনি। আমাদের সন্তানরা বাংলা ভাষা বুঝলেও উত্তর দেয় ইরেজীতে। এটা আমাদেও ব্যর্থতা। তিনি প্রবাসের ঘরে ঘরে ব্ংালা ভাষা চর্চার (বাংলা ভাষা লিখতে না পারলেও অন্তত বলতে যাতে পারে) আন্দোলন ঘরে তোলার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে অনুষ্ঠিত অপর আলোচনায় অংশ নেন ফার্মাসিষ্ট আব্দুল আওয়াল সিদ্দিকী, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সেক্রেটারী মনজুর আহমেদ চৌধুরী, ফাউন্ডেশনের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মতিন তালুকদার, সাবেক উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মিজানুল হাসান, উপদেষ্টা মঞ্জরুল আলম রবিন, এডভোকেট রুবাইয়া রহমান, সেবুল উদ্দিন, মোতাহের হোসেন, মোহর খান প্রমুখ। এই পর্ব পরিচালনা করেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাকিবুজ্জামান খান তনু।
NBF_21 Pic-1অনুষ্ঠানমালার শেষ পর্বে ছিলো একুশের প্রথম প্রহরে অর্থাৎ ২০ ফেব্রুয়ারী সোমবার দিবাগত রাত ১২টা এক মিনিটে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ। একুশের অমর সঙ্গীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি……’ সঙ্গীত পরিবেশের মধ্যদিয়ে এই পর্বের শুরুতে জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনের পক্ষে সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাসুদুল হাসান এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেটের পক্ষে ভাইস কনসাল শাহেদুল হক পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইনকের পক্ষে সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাকিবুজ্জামান তনু সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার পর বৃহত্তর রাজশাহী সমিতি ইনক, রংপুর জেলা এসোসিয়েশন ইনক, দিনাজপুর জেলা সমিতি ইউএসএ ইনক, রাজশাহী জেলা সমিতি ইনক, পাবনা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইনক, বগুড়া জেলা সমিতি অব নর্থ আমেরিকা, ঠাকুরগাও ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ইনক, প্রবাসী সিরাজগঞ্জ জেলা সমিতি ইউএসএ ইনক, উল্লাপাড়া সোসাইটি অব ইউএসএ ইনক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এসোসিয়েশন ইনক, গোবিন্দগঞ্জ ফাউন্ডেশন ইনক, নীলফামারী ডিষ্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন অব নিউআয়ির্ক ইনক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন ইনক, বৃহত্তর রংপুর কল্যাণ সমিতি, লালমনিরহাট জেলা সমিতি, পঞ্চগঞ্জ জেলা সমিতি, নওগাঁ ডিষ্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন ইউএসএ, বাংলাদেশ আমেরিকা কল্যাণ সমিতি, এসবি ফাউন্ডেশন, ট্যালেন্টেক ইন্ক, জ্যামাইকা থিয়েটার, নিরাপদ সড়ক চাই, পদ্মা সুপার মার্কেট, চারুকন্ঠ মিউজিক স্কুল, সুরবাহার মিউজিক স্কুল, সুরবানী মিউজিক স্কুল-এর নেতৃবৃন্দ স্ব স্ব ব্যানার নিয়ে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। NBF_21_Coummiunity Leadersএর আগে সংগঠনগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিনিধিদের পরিচয় করিয়ে দেন একুশ পালন কমিটির সদস্য সচিব এম এ মজিদ আকন্দ। এসময় ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ ও উপদেষ্টা ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
সাপ্তাহিক ঠিকানা’র প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা’র সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশনে-এর সিইও আবু তাহের, হককথা ও ইউএনএ সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, ড. রুহুল কদ্দুস, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট চিকিৎসক চৌধুরী মনজুরুল হাসান সহ উপদেষ্টা যথাক্রমে দবিরুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম বর্ষণ, হুসনে আরা বেগম, মোহাম্মদ আজিজুল হক মুন্না, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জহিরুল ইসলাম টুকু সহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
উল্লেখ্য, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন-এর একুশ পালন উপলক্ষে মোহাম্মদ আবু তাহেরকে আহ্বায়ক, ইঞ্জিনিয়ার এইচ এম শহীদকে প্রধান সমন্বয়কারী, এম এ মজিদ আকন্দকে সদস্য সচিব, মোজাফফর হোসেকে যুগ্ম আহ্বায়ক, মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, শাহ এম নওরোজ ও বিধান চন্দ্র পালকে সমন্বয়কারী এবং মোস্তফা কামাল মিল্টন, মোহাম্মদ শমসের আলী ও মোহাম্মদ শফিউল আলমকে যুগ্ম সদস্য সচিব করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সহযোগিতায় ছিলেন- ওয়াকিল আহমেদ, মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বাচ্চু, এডভোকেট আব্দুর রশীদ, রাজীব এ চৌধুরী, আশরাফুল হোসেন (রতন), আরিফ চৌধুরী, সাদ্দাম হোসেন, মোহাম্মদ আক্কাস আলী, মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন, মোহাম্মদ এলাহী বক্স তালুকদার, এডভোকেট সুরাইয়া বি মনিরা, হাবিবুল হক, আফরোজা বেগম, মোহাম্মদ আশরাফুল আলম, ইসমাইল হোসেন স্বপন, তাজুল ইসলাম প্রমুখ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

ঘরে ঘরে বাংলা ভাষা চর্চার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান

প্রকাশের সময় : ০১:৪৫:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

নিউইয়র্ক: ভাষা শহীদদের স্মরণে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ সহ নানা অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে অমর একুশে মহান শহীদ দিবস তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলার সমন্বয়ে গঠিত প্রবাসের অন্যতম বৃহৎ সামাজিক সংগঠন নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইনক। অমর একুশে উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা উত্তর আমেরিকার সকল বাংলাদেশীর ঘরে ঘরে বাংলা ভাষা চর্চার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রবাসের মিশ্র সংস্কৃতিতে ভাষা টিকিয়ে রাখা সহজ কাজ নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশী-আমেরিকান নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষা তুলে ধরতে না পারলে একদিন এই ভাষাও বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এজন্য সামাজিক সংগঠনগুলোর পাশাপাশি অভিভাবকদের ভূমিকা গুরুত্ব সর্বাধিক।
অমর একুশে পালন উপলক্ষ্যে নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ২০ ফেব্রুয়ারী সোমবার সন্ধ্যায় জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউস্থ এক্সিট রিয়েলটি মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্থবক অর্পণ করেন নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে নিযুক্ত ভাইস কনসাল শাহেদুল হক। খবর ইউএনএ’র।
NBF_21_Koran Telawatপবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে একুশের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর বায়ান্নর ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. মোহাম্মদ অঅব্দুল লতিফ। উদ্বোধনী পর্বে আরো বক্তব্য রাখেন একুশ পালন কমিটির চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান হাসান, ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাকিবুজ্জামান খান তনু, আহ্বাবয়ক মোহাম্মদ আবু তাহের, প্রধান সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার এইচ এম শহীদ ও সদস্য সচিব এম এ মজিদ আকন্দ।
অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো একক ও সমবেত সঙ্গীত, শিশু-কিশোর-কিশোরীদের জন্য আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার পুরষ্কার বিতরণ, আলোচনা, একুশের কবিতা পাঠ ও শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ।
NBF_21_Masud bin Momen & Othersঅনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বিশ্বের সকল ভাষাবাষীর সাথে আমাদের পারষ্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলা ভাষা সহ সকল ভাষাকে বিশ্বেও বুকে বআচিয়ে রাখতে হবে। এজন্য সামাজিক সংগঠনগুলো বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, জাতিসংঘের মাধ্যমে আমরা সকল ভাষা বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছি।
NBF_21_Nrew Genaretionসঙ্গীতানুষ্ঠান: একুশ ও দেশাত্ত্ববোধক সঙ্গীতানুষ্ঠানে সুরবানী মিউজিক স্কুল ও চারুকন্ঠ স্কুলে শিল্পীরা ছাড়াও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী শহীদ হাসান সহ প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীদের মধ্যে চন্দন চৌধুরী, শাহ মাহবুব, তাজ, প্রমি, লেমন চৌধুরী, ডা. নার্গিস রহমান, চম্পাকলি, আবুল কালাম আজাদ, মোহর খান, সেলিম ইব্রাহীম, ন্যান্সি খান, রুবিনা মানিক, তুলি ফারহানা, শাহনাজ বেগম, সুলতানা, আফিয়া, মোহাম্মদ রহমান ও শামীমা খানম অংশ নেন। এই পর্ব পরিচালনা করেন ডা. নার্গিস রহমান ও কামনা হাসান।
NBF_21_Dr. Wajed A Khanপুরষ্কার বিতরনী: শিশু-কিশোর-কিশোরীদের জন্য আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার পুরষ্কার বিতরনী পর্বে বিজয়ী সহ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা নাসির আলী খান পল, সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, ফার্মাসিষ্ট আব্দুল আওয়াল সিদ্দিকী, সংগঠনের সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, সাবেক উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মিজানুল হাসান ও সমন্বয়কারী শাহ এম নওরোজ।
NBF_21_Ekus er Kabitaএকুশের কবিতা পাঠ: চমৎকার মঞ্চে আয়োজিত এই পর্বে অংশ নেন প্রবাসের জনপ্রিয় আবৃত্তিকার শ্যামা লিপি শ্যামা, কবীর কিরণ, হাসানুল কবীর ডাবলু, শাহানা বেগম রিনা ও নতুন প্রজন্মেও কাব্য। এসময় সঙ্গীতে ছিলেন শিল্পী চন্দন চৌধুরী। শিল্পীদের পরিবেনা উপস্থিত সকল দর্শক-শ্রোতাকে মুগ্ধ করে।
NBF_21_Hasanuzzaman Hasanআলোচনা: ‘একুশ এবং নতুন প্রজন্মের ভাবনা’ শীর্ষক বিশেষ একুশের আলোচনার সঞ্চালক ছিলেন ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা নাসির আলী খান পল। আলোচনায় অংশ নেন সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান ও ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসানুজ্জামান হাসান।
একুশের আলোচনায় অংশ নিয়ে কৌশিক আহমেদ প্রবাসে বাংলা ভাষা চর্চার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, যারা বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় অংশ নিয়েছেন তারা যেমন ভাষা সৈনিক তেমনী এই প্রবাসের সকল বাংলাদেশীও এক একজন ভাষা সৈনিক। কেননা, প্রবাসের প্রতিকূল পরিবেশে যুদ্ধ করেই আমাদেরকে বাংলা ভাষার চর্চা করতে হচ্ছে। অপ্রিয় হলেও সত্য আমাদের নতুন প্রজন্মকে আমরা যথাযথভাবে বাংলা ভাষা শিখার ব্যাপারে আগ্রহী করে গড়ে তুলতে পারছি না। তারপরও আমাদেরকে ঘরে ঘরে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। তা না হলে ৩০/৪০ বছর পর প্রবাস থেকে বাংলা ভাষা হারিয়ে যাবে।
ডা. ওয়াজেদ এ খান তার আলোচনায় সংক্ষেপে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, সম্মিলিত উদ্যোগেই প্রবাসে বাংলা ভাষা, বাংলা সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ঘরে ঘরে নতুন প্রজন্মকে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত করে তুলতে হবে। তিনি বলেন, প্রবাসে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চায় আমাদের উদ্যোগ যথাযথ নয়। এজন্য সবাইকে আরো সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। তবে তিনি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে উচ্চ বিত্ত ঘরের সন্তানরা ইংরেজী মিডিয়াম স্কুলে পড়ছে। তারা বাংলা সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। দেশে মিশ্র সংস্কৃতির বিকাশ জাতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ এব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি নেই। বিষয়গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাবতে হবে।
হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের যথাযথভাবে বাংলা ভাষা চর্চায় ব্যর্থ হচ্ছি। আমার সন্তানদের একুশের অনুষ্ঠানে আনতে পারিনি। আমার মতো অনেক অভিভাবকই তাদের সন্তারদের একুশের অনুষ্ঠানে আনতে পারেনি। আমাদের সন্তানরা বাংলা ভাষা বুঝলেও উত্তর দেয় ইরেজীতে। এটা আমাদেও ব্যর্থতা। তিনি প্রবাসের ঘরে ঘরে ব্ংালা ভাষা চর্চার (বাংলা ভাষা লিখতে না পারলেও অন্তত বলতে যাতে পারে) আন্দোলন ঘরে তোলার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে অনুষ্ঠিত অপর আলোচনায় অংশ নেন ফার্মাসিষ্ট আব্দুল আওয়াল সিদ্দিকী, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সেক্রেটারী মনজুর আহমেদ চৌধুরী, ফাউন্ডেশনের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মতিন তালুকদার, সাবেক উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মিজানুল হাসান, উপদেষ্টা মঞ্জরুল আলম রবিন, এডভোকেট রুবাইয়া রহমান, সেবুল উদ্দিন, মোতাহের হোসেন, মোহর খান প্রমুখ। এই পর্ব পরিচালনা করেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাকিবুজ্জামান খান তনু।
NBF_21 Pic-1অনুষ্ঠানমালার শেষ পর্বে ছিলো একুশের প্রথম প্রহরে অর্থাৎ ২০ ফেব্রুয়ারী সোমবার দিবাগত রাত ১২টা এক মিনিটে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ। একুশের অমর সঙ্গীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি……’ সঙ্গীত পরিবেশের মধ্যদিয়ে এই পর্বের শুরুতে জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনের পক্ষে সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাসুদুল হাসান এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেটের পক্ষে ভাইস কনসাল শাহেদুল হক পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইনকের পক্ষে সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাকিবুজ্জামান তনু সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার পর বৃহত্তর রাজশাহী সমিতি ইনক, রংপুর জেলা এসোসিয়েশন ইনক, দিনাজপুর জেলা সমিতি ইউএসএ ইনক, রাজশাহী জেলা সমিতি ইনক, পাবনা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইনক, বগুড়া জেলা সমিতি অব নর্থ আমেরিকা, ঠাকুরগাও ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ইনক, প্রবাসী সিরাজগঞ্জ জেলা সমিতি ইউএসএ ইনক, উল্লাপাড়া সোসাইটি অব ইউএসএ ইনক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এসোসিয়েশন ইনক, গোবিন্দগঞ্জ ফাউন্ডেশন ইনক, নীলফামারী ডিষ্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন অব নিউআয়ির্ক ইনক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন ইনক, বৃহত্তর রংপুর কল্যাণ সমিতি, লালমনিরহাট জেলা সমিতি, পঞ্চগঞ্জ জেলা সমিতি, নওগাঁ ডিষ্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন ইউএসএ, বাংলাদেশ আমেরিকা কল্যাণ সমিতি, এসবি ফাউন্ডেশন, ট্যালেন্টেক ইন্ক, জ্যামাইকা থিয়েটার, নিরাপদ সড়ক চাই, পদ্মা সুপার মার্কেট, চারুকন্ঠ মিউজিক স্কুল, সুরবাহার মিউজিক স্কুল, সুরবানী মিউজিক স্কুল-এর নেতৃবৃন্দ স্ব স্ব ব্যানার নিয়ে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। NBF_21_Coummiunity Leadersএর আগে সংগঠনগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিনিধিদের পরিচয় করিয়ে দেন একুশ পালন কমিটির সদস্য সচিব এম এ মজিদ আকন্দ। এসময় ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ ও উপদেষ্টা ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
সাপ্তাহিক ঠিকানা’র প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা’র সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশনে-এর সিইও আবু তাহের, হককথা ও ইউএনএ সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, ড. রুহুল কদ্দুস, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট চিকিৎসক চৌধুরী মনজুরুল হাসান সহ উপদেষ্টা যথাক্রমে দবিরুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম বর্ষণ, হুসনে আরা বেগম, মোহাম্মদ আজিজুল হক মুন্না, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জহিরুল ইসলাম টুকু সহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
উল্লেখ্য, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন-এর একুশ পালন উপলক্ষে মোহাম্মদ আবু তাহেরকে আহ্বায়ক, ইঞ্জিনিয়ার এইচ এম শহীদকে প্রধান সমন্বয়কারী, এম এ মজিদ আকন্দকে সদস্য সচিব, মোজাফফর হোসেকে যুগ্ম আহ্বায়ক, মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, শাহ এম নওরোজ ও বিধান চন্দ্র পালকে সমন্বয়কারী এবং মোস্তফা কামাল মিল্টন, মোহাম্মদ শমসের আলী ও মোহাম্মদ শফিউল আলমকে যুগ্ম সদস্য সচিব করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সহযোগিতায় ছিলেন- ওয়াকিল আহমেদ, মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বাচ্চু, এডভোকেট আব্দুর রশীদ, রাজীব এ চৌধুরী, আশরাফুল হোসেন (রতন), আরিফ চৌধুরী, সাদ্দাম হোসেন, মোহাম্মদ আক্কাস আলী, মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন, মোহাম্মদ এলাহী বক্স তালুকদার, এডভোকেট সুরাইয়া বি মনিরা, হাবিবুল হক, আফরোজা বেগম, মোহাম্মদ আশরাফুল আলম, ইসমাইল হোসেন স্বপন, তাজুল ইসলাম প্রমুখ।