গঙ্গার অববাহিকা ভিত্তিক ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিন
- প্রকাশের সময় : ০৬:১০:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০১৯
- / ৪১৮ বার পঠিত
নিউইয়র্ক (ইউএনএ): গঙ্গা পানিবন্টন চুক্তি নবায়ন করে অববাহিকা ভিত্তিক সমন্বিত আঞ্চলিক নদী ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহবান জানিয়েছেন আইএফসি নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই নদীকে জীবিত রেখে তীরবর্তী সকল জনগোষ্টির জন্য তার সুবিধা দেয়া সম্ভব। খবর ইউএনএ’র।
ফারাক্কা লংমার্চের ৪৩তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে আইএফসি (আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি) নেতৃবৃন্দ এই আহবান জানান। যৌথ বিবৃতিদাতারা হলেন- আইএফসি নিউইয়র্ক-এর চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান সালু ও মহাসচিব সৈয়দ টিপু সুলতান, আইএফসি বাংলাদেশ-এর সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ, সিনিয়র সভাপতি ড. এস আই খান, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইরফানুল বারী ও আইএফসি সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল মজুমদার।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এই লংমার্চ আয়োজন করেন। উজানে পানি সরিয়ে নেবার ফলে বাংলাদেশে গঙ্গা/পদ্মা শুকিয়ে যাওয়ায় যে বিশাল বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য তিনি এই লংমার্চ আয়োজন করেন।
বিবৃতিতে আইএফসি নেতৃবৃন্দ বলেন, ৪৩ বছর আগে আয়োজিত এই লংমার্চের যথার্ততা বিভিন্নভাবে প্রমানিত হয়েছে। ভারতের বিহার সরকার সম্প্রতি ফারাক্কা বাঁধ ভেঙ্গে দেবার দাবি তুলেছে। ভারতের পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাঁধ নির্মান করে স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘিœত করায় কাবেরী, সবরমাটি নদী শুকিয়ে গেছে এবং গঙ্গানদীও একই ভাগ্যবরণ করতে চলেছে। তাঁরা বলেন, নদীকে বাচিয়ে রাখতে হলে তার উৎসমুখ থেকে সাগর পর্যন্ত প্রবাহমান থাকতে হবে।
সীমান্তের ১১ মাইল দূরে ফারাক্কা বাঁধ থেকে গঙ্গানদীর গতি পরিবর্তন করায় বাংলাদেশের নদী শুকিয়ে যে বিশাল পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দেয়, ফারাক্কা লংমার্চ ছিল তার বিরুদ্ধে প্রথম সফল গণ প্রতিবাদ। এই লং মার্চ রাজশাহীর মাদ্রাসামাঠ থেকে শুরু হয়ে চাপাইনবাগঞ্জের কানসাটে গিয়ে সমাপ্ত হয়। সেদিন সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ ১০০ মাইল দীর্ঘ এই লংমার্চে অংশ নেন।