নিউইয়র্ক ০১:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

খালেদা জিয়ার মামলা ও রায় পুরো রাজনৈতিক

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • / ১০৮৬ বার পঠিত

 নিউইয়র্ক: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মামলা ও রায় পুরো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আর সরকারের কর্মকান্ডই প্রমান করে দেশে আইনের শাসন নেই, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থির চরম অবনতি ঘটেছে। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার পদত্যাগ, সিনিয়র বিচারপতিকে ডিঙ্গিয়ে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ওয়াহাবের পদত্যাগের ঘটনা স্বাধীর বিচার ব্যবস্থার জন্য হুমকী। তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রাণের দাবী ভোটাধিকার সহ ‘নিউইয়র্ক-ঢাকা-নিউইয়র্ক’ রুটে বিমান চালুর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান। এক সাক্ষাৎকারে এডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল উপরোক্ত কথা বলেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা ও বিধি গেজেট প্রকাশ সংক্রান্তে সুপ্রীম কোর্ট বার্সাস আইন মন্ত্রনায়ের বিতর্ক এবং পদত্যাগে বাধ্য প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার রায়, পরবর্তী ঘটনাবলী এবং বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শাস্তি একই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের পদক্ষেপ। দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা ও দূর্নীতি, লুটপাট বন্ধ করার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়নি। তার মামলা ও রায় পুরো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
জাসদ তথা বাংলাদেশের রাজনীতিতে জড়িত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৭৬-৭৭ সময়ে স্বাধীনতার পতাকা উত্তেলোক প্রখ্যাত ছাত্রনেতা আসম আব্দুর রবের অনুসৃত নীতি ও কর্মসূচীর প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়ের সঙ্কটকালে আসম আব্দুর রবের সাহসী ভূমিকা এবং উপনিবেশিক আমলের আইন-কানুনকে সংস্কার করে স্বাধীন দেশের উপযোগী আইন-কানুন বিধি-কাঠামো প্রণয়নের দাবীতে সংগ্রাম এবং আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত করার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে পদার্পণ।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাসদ-এর জন্ম প্রসঙ্গে সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বলেন, যে লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, স্বাধীনতা পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘বিপ্লবী জাতীয় সরকার’ না করে অওয়ামী লীগের সরকার প্রতিষ্ঠিত করায় এবং বৃটিশের আনি-কানুনকে বলবৎ রেখে দেশ পরিচালনা করায়, স্বাধীন দেশের উপযোগী আইন-কানুন, বিধি-কাঠামো তৈরী না করায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একটি বিশাল জনগোষ্ঠী আশাহত হন। যার কারনেই জাসদ-এর জন্ম এবং রাজনীতি শুরু হয়। জাসদ-এর রাজনীতির আজো প্রয়োজন রয়েছে।
প্রসঙ্গত তিনি আরো বলেন, জেএসডি এখনো তার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়নি, বরং জেএসডি’র লক্ষ্য সম্পর্কে দেশের জনগন অকিবহাল হচ্ছে এবং জেএসডি’র কর্মসূচীর সাথে দেশের বিপুল সংখ্যক সচেতন মানুষ একাত্বতা প্রকাশ করছে এবং কর্মসূচী বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। জেএসডি’র উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে: বাংলাদেশে ৯টি প্রদেশ গঠন করা, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠা, ফেডারেল পদ্ধতির সরকার প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি।
বাংলাদেশের বিতর্কিত ও বহুল আলোচিত ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিগত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী নির্বাচন বাঙালী জাতির জন্য বিষফোঁড়া। ঐ নির্বাচনে যে পদ্ধতিতে যে প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ এবং নির্বাচনী কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সহায়তায় যেভাবে সরকার গঠন করা হয়েছে, যা দেশের জনগণ মেনে নেয়নি। ভোটার বিহীন নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বরং শেখ হাসিনার সরকার দেশে উন্নয়নের জোয়ার নয়, লুটপাট ও দূর্নীতির জোয়ারে দেশকে ভাসিয়ে দিচ্ছেন।
বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, সত্যি কথা বললে বলতে হবে- দেশে আইনের শাসন নেই, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থির চরম অবনতি ঘটেছে দেশে চাকুরী ক্ষেত্রে প্রমোশন ও লোভনীয় পোস্টিং, গুম, খুম ও ক্রস ফায়ারে কোন পুলিশ অফিসার কত পারদর্শী তার উপর নির্ভর করছে।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বলেন, সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়ার ক্ষেত্রে আন্তরিক হলে, নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হলে, দেশের জনগণ নির্ভিঘেœ, নিশ্চিন্তে, নির্ভয়ে স্বাধীনভাবে ভোট প্রয়োগ করতে পারলে এবং সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহনে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের দিকে পথচলা শুরু করলে সুদূর পরাহত একটি সুষ্ঠু নির্বাচন জাতির ভাগ্যে আসতে পারে।
উল্লেখ্য, সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলালের স্থায়ী বসবাস লক্ষীপুর জেলা সদর পৌরসভায়। জাসদ ছাত্রলীগের মাধ্যমে তার ছাত্র রাজনীতি শুরু। জাসদ ছাত্রলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৮১ সালে তিনি লক্ষীপুর সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। বিগত ৩৭ বছর ধরে তিরি রাজনীতির জাসদ ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনীতির সাথে জড়িত এবং নির্বাহী পদের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি সৌদী আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে কানাডা হয়ে সস্ত্রীক কোহিনুর আক্তার রুমা-কে সাথে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বেড়াতে আসেন ৫ ফেব্রুয়ারী। তার স্ত্রী শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থাকালে তিনি যুক্তরাষ্ট্র জেএসডি’র নেতা-কর্মী ছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থধানরত যুক্তফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ এবং প্রবাসী লক্ষীপুরবাসীদের সাথে মতবিনিময় করবেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারী তার ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগের কথা।
জেএসডি, যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন ও সাধারণ সম্পাদক শাসুদ্দীন আহমেদ শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জনিয়ার মীর মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন খান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলালকে জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান।(বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

খালেদা জিয়ার মামলা ও রায় পুরো রাজনৈতিক

প্রকাশের সময় : ১০:৫০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

 নিউইয়র্ক: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মামলা ও রায় পুরো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আর সরকারের কর্মকান্ডই প্রমান করে দেশে আইনের শাসন নেই, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থির চরম অবনতি ঘটেছে। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার পদত্যাগ, সিনিয়র বিচারপতিকে ডিঙ্গিয়ে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ওয়াহাবের পদত্যাগের ঘটনা স্বাধীর বিচার ব্যবস্থার জন্য হুমকী। তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রাণের দাবী ভোটাধিকার সহ ‘নিউইয়র্ক-ঢাকা-নিউইয়র্ক’ রুটে বিমান চালুর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান। এক সাক্ষাৎকারে এডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল উপরোক্ত কথা বলেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা ও বিধি গেজেট প্রকাশ সংক্রান্তে সুপ্রীম কোর্ট বার্সাস আইন মন্ত্রনায়ের বিতর্ক এবং পদত্যাগে বাধ্য প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার রায়, পরবর্তী ঘটনাবলী এবং বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শাস্তি একই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের পদক্ষেপ। দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা ও দূর্নীতি, লুটপাট বন্ধ করার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়নি। তার মামলা ও রায় পুরো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
জাসদ তথা বাংলাদেশের রাজনীতিতে জড়িত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৭৬-৭৭ সময়ে স্বাধীনতার পতাকা উত্তেলোক প্রখ্যাত ছাত্রনেতা আসম আব্দুর রবের অনুসৃত নীতি ও কর্মসূচীর প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়ের সঙ্কটকালে আসম আব্দুর রবের সাহসী ভূমিকা এবং উপনিবেশিক আমলের আইন-কানুনকে সংস্কার করে স্বাধীন দেশের উপযোগী আইন-কানুন বিধি-কাঠামো প্রণয়নের দাবীতে সংগ্রাম এবং আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত করার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে পদার্পণ।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাসদ-এর জন্ম প্রসঙ্গে সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বলেন, যে লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, স্বাধীনতা পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘বিপ্লবী জাতীয় সরকার’ না করে অওয়ামী লীগের সরকার প্রতিষ্ঠিত করায় এবং বৃটিশের আনি-কানুনকে বলবৎ রেখে দেশ পরিচালনা করায়, স্বাধীন দেশের উপযোগী আইন-কানুন, বিধি-কাঠামো তৈরী না করায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একটি বিশাল জনগোষ্ঠী আশাহত হন। যার কারনেই জাসদ-এর জন্ম এবং রাজনীতি শুরু হয়। জাসদ-এর রাজনীতির আজো প্রয়োজন রয়েছে।
প্রসঙ্গত তিনি আরো বলেন, জেএসডি এখনো তার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়নি, বরং জেএসডি’র লক্ষ্য সম্পর্কে দেশের জনগন অকিবহাল হচ্ছে এবং জেএসডি’র কর্মসূচীর সাথে দেশের বিপুল সংখ্যক সচেতন মানুষ একাত্বতা প্রকাশ করছে এবং কর্মসূচী বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। জেএসডি’র উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে: বাংলাদেশে ৯টি প্রদেশ গঠন করা, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠা, ফেডারেল পদ্ধতির সরকার প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি।
বাংলাদেশের বিতর্কিত ও বহুল আলোচিত ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিগত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী নির্বাচন বাঙালী জাতির জন্য বিষফোঁড়া। ঐ নির্বাচনে যে পদ্ধতিতে যে প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ এবং নির্বাচনী কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সহায়তায় যেভাবে সরকার গঠন করা হয়েছে, যা দেশের জনগণ মেনে নেয়নি। ভোটার বিহীন নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বরং শেখ হাসিনার সরকার দেশে উন্নয়নের জোয়ার নয়, লুটপাট ও দূর্নীতির জোয়ারে দেশকে ভাসিয়ে দিচ্ছেন।
বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, সত্যি কথা বললে বলতে হবে- দেশে আইনের শাসন নেই, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থির চরম অবনতি ঘটেছে দেশে চাকুরী ক্ষেত্রে প্রমোশন ও লোভনীয় পোস্টিং, গুম, খুম ও ক্রস ফায়ারে কোন পুলিশ অফিসার কত পারদর্শী তার উপর নির্ভর করছে।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বলেন, সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়ার ক্ষেত্রে আন্তরিক হলে, নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হলে, দেশের জনগণ নির্ভিঘেœ, নিশ্চিন্তে, নির্ভয়ে স্বাধীনভাবে ভোট প্রয়োগ করতে পারলে এবং সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহনে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের দিকে পথচলা শুরু করলে সুদূর পরাহত একটি সুষ্ঠু নির্বাচন জাতির ভাগ্যে আসতে পারে।
উল্লেখ্য, সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলালের স্থায়ী বসবাস লক্ষীপুর জেলা সদর পৌরসভায়। জাসদ ছাত্রলীগের মাধ্যমে তার ছাত্র রাজনীতি শুরু। জাসদ ছাত্রলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৮১ সালে তিনি লক্ষীপুর সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। বিগত ৩৭ বছর ধরে তিরি রাজনীতির জাসদ ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনীতির সাথে জড়িত এবং নির্বাহী পদের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি সৌদী আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে কানাডা হয়ে সস্ত্রীক কোহিনুর আক্তার রুমা-কে সাথে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বেড়াতে আসেন ৫ ফেব্রুয়ারী। তার স্ত্রী শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থাকালে তিনি যুক্তরাষ্ট্র জেএসডি’র নেতা-কর্মী ছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থধানরত যুক্তফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ এবং প্রবাসী লক্ষীপুরবাসীদের সাথে মতবিনিময় করবেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারী তার ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগের কথা।
জেএসডি, যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন ও সাধারণ সম্পাদক শাসুদ্দীন আহমেদ শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জনিয়ার মীর মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন খান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলালকে জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান।(বাংলা পত্রিকা)