নিউইয়র্ক ০২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কেউ অনিয়ম করলে আমাদের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে : নিউইয়র্কে সংবর্ধনা সভায় প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:০০:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / ৪৪৭ বার পঠিত

সালাহউদ্দিন আহমেদ: প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত থাকলে রাজনৈতিক সম্পর্ক নির্বিশেষে সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, ‘আমি একটা কথা স্পষ্ট বলতে চাই, কেউ অসৎ পথে উপার্জন করলে, অনিয়ম, উচ্ছৃঙ্খলতা বা অসৎ কাজে জড়িত থাকলে, যদি ধরা পড়ে, তবে সে যেই হোক না কেন, আমার দলের হলেও ছাড় হবে না, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।’ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে নিউইয়র্কের বিলাশবহুল ম্যারিয়ট মারকুইজ হোটেলের বলরুমে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ইতিহাসে ব্যতিক্রমী এই সংবর্ধনা সভার একমাত্র বক্তা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মঞ্চে ছিলো মাত্র দু’টি আসন। বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সংবর্ধনা স্থলে আসার পর মঞ্চে দাঁড়িয়ে দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপের সাথে কথা বলার পরই একটি আসনে বসেন। অপর আসনে বসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। এরপর জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন সভার কাজ শুরু ও সঞ্চালনা করেন। রাষ্ট্রদূত এসময় প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফরের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকান্ড সংক্ষেপে তুলে ধরেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে তাঁর ভাষণ শুরু করেন এবং ৪টা ৩৫ মিনিটে ভাষণ শেষ করেন। এর আগে দলীয় নেতা-কর্মীরা বিপুল করতালি মাধ্যমে তাঁকে স্বাগত এবং প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ সেপ্টেম্বর ৭৩ বছরে পা রাখলেন। প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর এক ঘন্টা ৫ মিনিটের ভাষণে তার সরকারের কর্মকান্ড তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশে প্রবাসীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণের শুরুতে ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, আর বাংলা ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধ সহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ভাষণে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘যারা সৎভাবে জীবনযাপন করতে চায়, তাদের জন্য বা তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য সৎভাবে জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে যায়। আর যারা অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন করে তারা ব্যয়-বহুল ব্র্যান্ড এবং বিলাসবহুল জীবনযাপনে সেই অর্থ ব্যয় করতে পারে। এর ফলে একজন অসৎ মানুষের দৌরাত্মে যারা সৎভাবে জীবনযাপন করতে চায় তাদের জীবনযাত্রাটাই কঠিন হয়ে পড়ে। সমাজের এই বৈষম্য দূর করার জন্য সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী মন্ত্রী পরিষদের একাধিক সদস্য, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ দর্শক সারিতে উপবিষ্ট ছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

কেউ অনিয়ম করলে আমাদের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে : নিউইয়র্কে সংবর্ধনা সভায় প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:০০:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সালাহউদ্দিন আহমেদ: প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত থাকলে রাজনৈতিক সম্পর্ক নির্বিশেষে সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, ‘আমি একটা কথা স্পষ্ট বলতে চাই, কেউ অসৎ পথে উপার্জন করলে, অনিয়ম, উচ্ছৃঙ্খলতা বা অসৎ কাজে জড়িত থাকলে, যদি ধরা পড়ে, তবে সে যেই হোক না কেন, আমার দলের হলেও ছাড় হবে না, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।’ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে নিউইয়র্কের বিলাশবহুল ম্যারিয়ট মারকুইজ হোটেলের বলরুমে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ইতিহাসে ব্যতিক্রমী এই সংবর্ধনা সভার একমাত্র বক্তা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মঞ্চে ছিলো মাত্র দু’টি আসন। বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সংবর্ধনা স্থলে আসার পর মঞ্চে দাঁড়িয়ে দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপের সাথে কথা বলার পরই একটি আসনে বসেন। অপর আসনে বসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। এরপর জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন সভার কাজ শুরু ও সঞ্চালনা করেন। রাষ্ট্রদূত এসময় প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফরের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকান্ড সংক্ষেপে তুলে ধরেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে তাঁর ভাষণ শুরু করেন এবং ৪টা ৩৫ মিনিটে ভাষণ শেষ করেন। এর আগে দলীয় নেতা-কর্মীরা বিপুল করতালি মাধ্যমে তাঁকে স্বাগত এবং প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ সেপ্টেম্বর ৭৩ বছরে পা রাখলেন। প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর এক ঘন্টা ৫ মিনিটের ভাষণে তার সরকারের কর্মকান্ড তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশে প্রবাসীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণের শুরুতে ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, আর বাংলা ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধ সহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ভাষণে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘যারা সৎভাবে জীবনযাপন করতে চায়, তাদের জন্য বা তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য সৎভাবে জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে যায়। আর যারা অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন করে তারা ব্যয়-বহুল ব্র্যান্ড এবং বিলাসবহুল জীবনযাপনে সেই অর্থ ব্যয় করতে পারে। এর ফলে একজন অসৎ মানুষের দৌরাত্মে যারা সৎভাবে জীবনযাপন করতে চায় তাদের জীবনযাত্রাটাই কঠিন হয়ে পড়ে। সমাজের এই বৈষম্য দূর করার জন্য সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী মন্ত্রী পরিষদের একাধিক সদস্য, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ দর্শক সারিতে উপবিষ্ট ছিলেন।