‘কমেমোরেটিভ গার্ডেন এন্ড প্ল্যাক’ নির্মাণের খবরে কমিউনিটিতে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ
- প্রকাশের সময় : ১১:০০:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
- / ১১৪৬ বার পঠিত
নিউইয়র্ক (ইউএনএ): জ্যামাইকার ক্যাপটেন টিলি পার্কে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মানের দাবীতে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন নিউইয়র্কে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা। এই দাবীতে কমিউনিটিকে ঐক্যদ্ধ হয়ে কুইন্স বরো ও সিটি প্রশাসনের কাছে দাবী জানানোর উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এদিকে ক্যাপ্টেন টিলি পার্কে প্রবাসীদের প্রাণের দাবী ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে ‘স্থায়ী শহীদ মিনার’ নির্মাণ না হয়ে ‘কমেমোরেটিভ গার্ডেন এন্ড প্ল্যাক’ নির্মাণের খবরে কমিউনিটিতে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে প্রস্তাবিত ‘কমেমোরেটিভ গার্ডেন এন্ড প্ল্যাক’ নির্মাণের জন্য সিটি প্রশাসন ১.৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে।
জ্যামাইকায় স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিং-এ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ বিস্তারিত তুলে ধরেন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারী সোমবার অপরাহ্নে হিলসাউড এভিনিউস্থ স্মার্ট একাডেমী মিলনায়তে আয়োজিত জনাকীর্ণ প্রেস ব্রিফিং-এ স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম। এরপর সংক্ষিপ্ত লিখিত বক্তব্যে বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন অ্যাসাল-এর সভাপতি মাফ মিসবাহ উদ্দিন। এরপর বক্তব্য রাখেন মূলধারার রাজনীতিক মোর্শেদ আল ও দীলিপ নাথ এবং বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ। খবর ইউএনএ’র।
প্রেস ব্রিফিং-এ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রবাসের বুকে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের অঙ্গীকার করেন। তারা জানান, জ্যামাইকার ক্যাপটেন টিলি পার্কে যে সংস্কার কাজ হবার কথা আছে, সেখানে কোনো শহীদ মিনার নির্মাণের কথা উল্লেখ নেই। যা বাংলাদেশী কমিউনিটির হতাশার কারণ।
প্রেস ব্রিফিং-এ উপস্থিত অনেকেই কুইন্স বোরো প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি প্রেরীত বার্তা ‘কমেমোরেটিভ গার্ডেন এন্ড প্ল্যাক’ নট এ ‘মনুমেন্ট’ পড়ে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, যে কোনো উপায়ে পার্কটিতে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণে কুইন্স বরো অফিসকে রাজী করাতে হবে।
পরবর্তীতে প্রেস ব্রিফিং-এ উপস্থিত কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ বিষয়টি পরার্শমূলক আলোচনায় অংশ নেন। এসময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটর সাবেক সহ সভাপতি কাজী আজহারুল হক মিলন, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুর রহীম হাওলাদার, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী মনজুর আহমেদ চৌধুরী, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর আনোয়ার হোসেন, মূলধারার রাজনীতিক সাবুল উদ্দীন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট আহসান হাবীব, মাজেদা উদ্দিন, শাহ ফরিদ, এ এফ মিসবাহউজ্জামান, সাইফুল্লাহ ভূঁইয়া, স্বীকৃতি বড়–য়া, শাহানা বেগম, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি শেখ হায়দার আলী ও যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট কামরুজ্জামান বাবু, বাংলাদেশ সোসাইটির সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা মনিকা রায় প্রমুখ।
প্রেস ব্রিফিং-এ কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক কবীর আনোয়ার, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা এবিএম ওসমান গনি, উপদেষ্টা হুসনে আরা বেগম, কমিউনিটি নেতা একেএম সফিকুল ইসলাম, বাপাফ-এর সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট সালেহা আলম, রোকেয়া আক্তার প্রমুখ।