কবীর’স বেকারীর প্রতিষ্ঠাতা হুমায়ুন কবীর নেই
- প্রকাশের সময় : ০৯:০৮:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ নভেম্বর ২০১৮
- / ৪৯৫ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী মালিকানাধীন ব্যবসার প্রসারে অন্যতম সফল ও পুরোধা ব্যক্তিত্ব কম্যুনিটির সকলের পরিচিত কবীর’স বেকারীর প্রতিষ্ঠাতা হুমায়ুন কবীর আর নেই। গত ৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের কিছু পুর্বে দীর্ঘ প্রায় ২২ দিন ‘লাইফ সাপোর্টে’ থাকার পর ব্রুকলীনের মেথোডিষ্ট হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি…………..রাজেউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। তিনি শোকাহত স্ত্রী ও দুই কন্যা রেখে গেছেন। শুক্রবার বাদ জুমা ব্রুকলীনের একটি মসজিদে তাঁর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। তাঁকে নিউজার্সীর মুসলিম কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। অত্যন্ত প্রচারবিমুখ হুমায়ুন কবীরের মৃত্যুর খবরে প্রবাসে তাঁর দীর্ঘদিনের পরিচিতজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
পারিবারিকে সুত্রে জানা গেছে, গত ১৮ অক্টোবর সকাল আটটার দিকে তিনি তাঁর ব্রুকলীনের বাসার বাথরুমে তীব্র হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়ে মেঝেতে পড়ে যান। দ্রুত তাঁকে তাঁর বাসার নিকটস্থ মেথোডিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ডাক্তররা তাঁকে সাথে সাথে লাইফ সাপোর্টে নিয়ে যান। তারপর থেকে তিনি আর কখনোই জ্ঞান ফিরে পান নি। হার্ট অ্যাটাকের সাথে সাথে তার মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নিতে হয় বলে জানা যায়।
জার্মান বেকারী কাজে অভিজ্ঞ হুমায়ুন কবীর ১৯৮৩ সালে জার্মানী থেকে নিউইয়র্কে এসে ম্যানহাটানের একটি বেকারীতে চাকুরী শুরু করেন। পরে নব্বইয়ের দশকের শেষদিকে তিনি ব্রুকলীনে কবীর’স বেকারীর যাত্রা শুরু করেন। এবং খুবই অল্প সময়ে তিনি ব্রুকলীনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড, কুইন্সের জ্যাকসন হাইটস, এষ্টোরিয়া ও জ্যামাইকা, ব্রঙ্কস ও লং আইল্যান্ডে সুসজ্জিত কবীর’স বেকারীর সেলস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনটি অত্যাধুনিক বেকারী স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে ধীরে ধীরে তিনি সমগ্র নিউইয়র্কে বেকারী ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য ‘বেকারী উদ্যোক্তা’ হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। মূলধারার একাধিক এয়ারলাইন্স, বেকারী সামগ্রীর চেইন বিক্রেতারা নিয়মিত তাঁর মালিকানাধীন কবীর’স ও সানশাইন বেকারীর সামগ্রী সর্বত্র সরবরাহ করতো। অল্পভাষী, সদালাপী হুমায়ুন কবীর তাঁর বাংলাদেশের বাড়ী বরিশাল ও ঢাকায় বেশ দাতব্য প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত সাহায্য পাঠাতেন। সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসানের সাথে দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠতা থাকায় তাঁর এ ধরনের কাজকর্ম কখোনই যেন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ না পায়, জীবিতকালে সে বিষয়ে তিনি কঠোর দৃষ্টি রাখতেন। (সাপ্তাহিক পরিচয়)