নিউইয়র্ক ০১:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

একজনের ১৫ বছরের জেল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০১৯
  • / ২৫৭ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: নিউইয়র্কে বাংলাদেশী অধ্যুষিত এস্টোরিয়ার ৩৬ এভিনিউর ‘বনফুল গ্রোসরী’তে ডাকাতির ঘটনায় একজনের ১৫ বছরের জেল দিয়েছে কুইন্স সুপ্রীম কোর্ট। নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ গ্রোসারীর ভিডিও ক্যামেরা ফুটেজ দেখে অপরাধীদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করে। ওই ঘটনায় ব্রঙ্কসের বাসিন্দা আসামী হান্নিবল আলীর বিরুদ্ধে ‘ফার্ষ্ট ডিগ্রি’ অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক জোয়ান ওয়াটার্স তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৫ বছরের জেল দিয়েছেন। কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট এ্যাটর্নি অফিস এই রায়ের কথা জানায়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশী অধ্যুষিত লং আইল্যান্ড সিটিতে বাংলাদেশী মালিকানাধীন গ্রোসারী স্টোর ‘বনফুল গ্রোসারী’-তে গত বছরের ১৭ নভেম্বর শনিবার ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এতে মোহাম্মদ রাসেল নামে একজন বাংলাদেশী গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ডাকাতদের ধাওয়া করতে গেলে পলায়রত একজন তার পায়ে গুলি করে। ঘটনাটি কমিউনিটিতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। বনফুল গ্রোসারী বাংলাদেশী মালিকানাধীন পুরনো একটি গ্রোসারী প্রতিষ্ঠান। এই গ্রোসারীর সামনেই ৩৬ এভিনিউর উপর সবার পরিচিত আলাদীন ও বৈশাখী রেষ্টুরেন্ট সহ আরো একাধিক বাংলাদেশী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বনফুল গ্রোসারীতে ঘটনার দিন শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হান্নিবলসহ ৩ মুখোশধারী ডাকাত হানা দেয় গ্রোসারীতে। তাদের দু’জন প্রথমে গ্রোসারীতে প্রবেশ করে একজন নিজেকে পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেয় এবং জাল ডলার রয়েছে বলে অভিযোগ তোলে। এরপর একজন ক্যাশ রেজিষ্টারে থাকা জাকারিয়া হোসেন শিবলু নামের একজনকে আঘাত করে ক্যাশ রেজিষ্টারে হানা দেয় এবং অপর দু’জন ভিতরে-বাইরে পজিশন নেয়। পরে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে তারা রেজিষ্টারের ক্যাশে রাখা অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় গ্রোসারীতে আসা ক্রেতারা ভয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। সেই সাথে বাইরেও ছুটাছুটি শুরু হয়। ওই ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ আসামীদের শনাক্ত করে এবং প্রায় এক বছরের আইনী প্রক্রিয়া শেষে ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী হান্নিবল আলীকে ফার্ষ্ট ডিগ্রি এবং সহযোগী দুইজনের বিরুদ্ধে সেকেন্ডে ডিগ্রি চার্জ দিলো কুইন্স সুপ্রিম কোর্ট।
বনফুল গ্রোসারীতে ডাকাতির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ রাসেল পরবর্তীতে এলমহার্স্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। বর্তমানে সে সম্পূর্ণ সুস্থ্য।
এদিকে বনফুল গ্রোসারীতে ডাকাতির ঘটনার পর কমিউনিটির উদ্যোগে গ্রোসারীর সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবী করা হয়। এই সমাবেশের অন্যতম আয়োজক ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপালনকালী জাবেদ উদ্দিন উপরোক্ত রায়ে স্বস্তি প্রকাশ করে সংশ্লিস্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন, আমরা বাংলাদেশী কমিউনিটির সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে যেকোন সমস্যায় ভালো ফল পাবো ইনশাল্লাহ। (বাংলা পত্রিকা )

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

একজনের ১৫ বছরের জেল

প্রকাশের সময় : ০১:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০১৯

হককথা ডেস্ক: নিউইয়র্কে বাংলাদেশী অধ্যুষিত এস্টোরিয়ার ৩৬ এভিনিউর ‘বনফুল গ্রোসরী’তে ডাকাতির ঘটনায় একজনের ১৫ বছরের জেল দিয়েছে কুইন্স সুপ্রীম কোর্ট। নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ গ্রোসারীর ভিডিও ক্যামেরা ফুটেজ দেখে অপরাধীদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করে। ওই ঘটনায় ব্রঙ্কসের বাসিন্দা আসামী হান্নিবল আলীর বিরুদ্ধে ‘ফার্ষ্ট ডিগ্রি’ অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক জোয়ান ওয়াটার্স তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৫ বছরের জেল দিয়েছেন। কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট এ্যাটর্নি অফিস এই রায়ের কথা জানায়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশী অধ্যুষিত লং আইল্যান্ড সিটিতে বাংলাদেশী মালিকানাধীন গ্রোসারী স্টোর ‘বনফুল গ্রোসারী’-তে গত বছরের ১৭ নভেম্বর শনিবার ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এতে মোহাম্মদ রাসেল নামে একজন বাংলাদেশী গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ডাকাতদের ধাওয়া করতে গেলে পলায়রত একজন তার পায়ে গুলি করে। ঘটনাটি কমিউনিটিতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। বনফুল গ্রোসারী বাংলাদেশী মালিকানাধীন পুরনো একটি গ্রোসারী প্রতিষ্ঠান। এই গ্রোসারীর সামনেই ৩৬ এভিনিউর উপর সবার পরিচিত আলাদীন ও বৈশাখী রেষ্টুরেন্ট সহ আরো একাধিক বাংলাদেশী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বনফুল গ্রোসারীতে ঘটনার দিন শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হান্নিবলসহ ৩ মুখোশধারী ডাকাত হানা দেয় গ্রোসারীতে। তাদের দু’জন প্রথমে গ্রোসারীতে প্রবেশ করে একজন নিজেকে পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেয় এবং জাল ডলার রয়েছে বলে অভিযোগ তোলে। এরপর একজন ক্যাশ রেজিষ্টারে থাকা জাকারিয়া হোসেন শিবলু নামের একজনকে আঘাত করে ক্যাশ রেজিষ্টারে হানা দেয় এবং অপর দু’জন ভিতরে-বাইরে পজিশন নেয়। পরে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে তারা রেজিষ্টারের ক্যাশে রাখা অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় গ্রোসারীতে আসা ক্রেতারা ভয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। সেই সাথে বাইরেও ছুটাছুটি শুরু হয়। ওই ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ আসামীদের শনাক্ত করে এবং প্রায় এক বছরের আইনী প্রক্রিয়া শেষে ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী হান্নিবল আলীকে ফার্ষ্ট ডিগ্রি এবং সহযোগী দুইজনের বিরুদ্ধে সেকেন্ডে ডিগ্রি চার্জ দিলো কুইন্স সুপ্রিম কোর্ট।
বনফুল গ্রোসারীতে ডাকাতির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ রাসেল পরবর্তীতে এলমহার্স্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। বর্তমানে সে সম্পূর্ণ সুস্থ্য।
এদিকে বনফুল গ্রোসারীতে ডাকাতির ঘটনার পর কমিউনিটির উদ্যোগে গ্রোসারীর সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবী করা হয়। এই সমাবেশের অন্যতম আয়োজক ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপালনকালী জাবেদ উদ্দিন উপরোক্ত রায়ে স্বস্তি প্রকাশ করে সংশ্লিস্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন, আমরা বাংলাদেশী কমিউনিটির সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে যেকোন সমস্যায় ভালো ফল পাবো ইনশাল্লাহ। (বাংলা পত্রিকা )