আ.লীগ নেতা মিঠুর মৃত্যুবার্ষিকীতে জ্যামাইকায় স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত
- প্রকাশের সময় : ০৮:০১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
- / ৪২৯ বার পঠিত
নিউইয়র্ক (ইউএনএ): যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য, বিশিষ্ট সংগঠক, কমিউনিটির পরিচিত মুখ জসিম উদ্দিন মিঠুর মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ সভা হয়েছে। এই ফেব্রুয়ারী মাসেই মিঠু ইন্তেকাল করেন এবং তার ছিলো মিঠুর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী। মিঠু ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী জ্যামাইকায় নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। ধারনা করা হয় কয়েকদিন আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সে একাকী নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন। মিঠুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গত ২২ ফেব্রুয়ারী, শুক্রবার সন্ধ্যায় জ্যামাইকাবাসীর উদ্যোগে হিলসাইড এভিনিউর স্টার কাবাব রেষ্টুরেন্টে দোয়া ও স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। খবর ইউএনএ’র।
মঞ্চবিহীন ব্যতিক্রমী এই সভায় সভা পরিচারলনা করেন মুক্তিযোদ্ধা শরাফ সরকার। সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, ফার্মাসিস্ট আব্দুল অওয়াল সিদ্দিকী, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সভাপতি সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, এডভোকেট মুজিবুর রহমান, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা এবং মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আহ্বায়ক তারিকুল হায়দার চৌধুরী, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট খান শওকত, শাহানারা রহমান প্রমুখ।
আলোচনায় বক্তারা মরহুম জসিম উদ্দিন মিঠুর স্মৃতিচারণ করে বলেন, ব্যক্তি জীবনে মিঠু সামাজিক আর পরপোকারী ছিলেন। ছিলেন নিবেদিত রাজনৈতিক কর্মী। তার অকাল মৃত্যুতে আমরা ব্যথিত, মর্মাহত। বক্তার তার বিদেহী আতœার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, মুত্যুকালে মিঠুর বয়স হয়েছিল ৩৮ বছর। ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুযারী রোববার দুপুরে জ্যামাইকার বাসা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মিঠুর আকস্মিক আর অকাল মৃত্যুতে নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসা।
ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা শহরের মেড্ডা এলাকার সন্তান মিঠু ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র আসেন। সেই থেকে বসবাস করছিলেন জ্যামাইকায়। স্থানীয় ১৭৭-৪০ ১০৫ এভিনিউ ঠিকানায় এক বেডরুমের বাসায় একাকী বাস করছিলেন। মুজিব আদর্শের সৈনিক মিঠু ব্রাক্ষণবাড়িয়া সরকারী কলেজের নির্বাচিত জিএস ছিলেন। প্রবাসী জীবনে সক্রিয়ভাবে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছাড়াও জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি, বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিল অব আমেরিকার সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। ছিলেন জ্যামাইকা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তার মৃত্যুর আগে ৪/৫দিন ধরে মিঠুর কোন খবর পাওয়া যাচ্ছিলো না। ফোনেও তার হদিস মিলছিলো না। তার ফোনে কল করেও তাকে মিলেনি। ৮ ফেব্রুয়ারী দুপুরে তার বাসায় এসে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করার পর বিছানায় তার মহদেহ পাওয়া যায়। কখন, কবে, কিভাবে মৃত্যুর শিকার হন তা জানা যায়নি। মিঠু দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন।