নিউইয়র্ক ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আমি কেবল টিকিট বিক্রি করি না, এখানে ব্যবসার সুনাম, রুটি-রুজি, মানুষের আস্থা-বিশ্বাস, ভালবাসা জড়িত : নাজমুল হুদা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৫
  • / ১৪৩১ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশীদের আবেগ-অনুভূতি নিয়ে কতিপয় ট্রাভেল এজেন্সী জোচ্চুরি শুরু করেছে। তাদের পূর্বের কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও সহজ-সরল মানুষের হাজার হাজার ডলার মেরে দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের জুরি নেই। একটু সচেতন হলেই আমাদের চারপাশের এসব জোচ্চোর ট্রাভেল ব্যবসায়ীদের শায়েস্তা করা সম্ভব। বিশেষ করে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে। আক্ষেপের সুরে কথাগুলো একটানে বলে গেলেন নিউইয়র্কের খ্যাতনামা ট্রাভেল এজেন্সী ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এর কর্নধার নাজমুল হুদা। উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশী ট্রাভেলস ব্যবসায়ীদের সংগঠন নর্থ নাটাব-এর সভাপতিও তিনি।
বিগত ২৮ বছর যাবত নিউইয়র্কে সুনামের সাথে ট্রাভেল ব্যবসা করে আসছেন নাজমুল হুদা। প্রতিদিনই তার টিকিট বিক্রির সংখ্যা বাড়ছে। একই সাথে বাড়ছে তার কাছে অভিযোগ আসার সংখ্যাও। প্রায় প্রতিদিনই তার কাছে কেউ না কেউ আসেন প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে। কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সির কাছে প্রতারণার শিকার হয়ে তারা আসেন সমাধান চাইতে। কিন্তু যখন অভিযোগ আসে তখন আর কিছুই করার থাকে না। এসব বিষয় নিয়েই কথা হয় তার সাথে।
ব্যবসা কেমন যাচ্ছে, প্রশ্ন করতেই তড়িৎ উত্তর দেন আড্ডাপ্রিয় এই মানুষ। বলেন, আমার টিকিট বিক্রি আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। প্রতিদিনই তার টিকিট বিক্রির সংখ্যা বাড়ছে বলেও জানান তিনি। আপনার ব্যবসা যেখানে বাড়ছে সেখানে অন্যরা কেনো পারছে না ? কম্পিউটারের স্ক্রিনে চোখ রেখেই বলেন, দেখুন দিন দিন প্রবাসীর সংখ্যা বাড়ছে। এটা সহজ হিসাব, মানুষ বাড়লে টিকিট বিক্রিও বাড়বে। কিন্তু কেউ কেউ হয়তো ব্যবসা বাড়াতে পারছেন না, এটা তাদের দূর্বলতা। কারণ সব ধরনের ব্যবসা করার জন্যই প্রয়োজন অভিজ্ঞতা এবং সততা। এই অভিজ্ঞতা এবং সততা না থাকার কারণে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা মানুষের কষ্টে উপার্জন করা অর্থ মেরে দিয়ে কেটে পড়ছেন। একজন যাত্রী অনেক কষ্ট করে অর্থ জমিয়ে দেশের বাড়ি ঘুরতে যেতে চায় অথবা জীবনের সবচেয়ে বড় আরাধনা হিসেবে একবার হজ্বে যেতে চায়। সুতরাং আমাকে ওই যাত্রীর আবেগ-অনুভূতির মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি হয়তো সব কিছু জানেন না। হয়তো বললো আমি আগামীকালই দেশে যেতে চাই এমিরেটস এয়ারলাইন্স এ। যাত্রীতো জানেন না যে, কাল এমিরেটস এর ফ্লাইট নেই। এই ক্ষেত্রে কি করা উচিত ? হুদা বলেন, দেখুন আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে তাকে বুঝিয়ে বলি কাল আমিরাতের ফ্লাইট নেই। তখন সে হয়তো অন্য কোনো প্রস্তাব করে। কিন্তু যারা বাটপার ধরণের ট্রাভেল ব্যবসায়ী, সে সত্য কথা না বলে তাকে টিকিট নিয়ে যেতে বলবে। এয়ারপোর্টে গিয়ে দেখবে ওইদিন কোনো ফ্লাইটই নেই। এভাবেই প্রতারিত হচ্ছেন প্রবাসীরা। এক দেড়শ ডলার কমে টিকিট পাওয়ার কথা বলেও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে অফার দেয়া হয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ওই টাকায় টিকিট পাওয়া যায় না। আসলে ওই ধূর্ত ব্যবসায়ীর উদ্দেশ্য হচ্ছে কম অর্থের টোপ দিয়ে টিকিট বিক্রি করে কেটে পড়া। নাজমুল হুদা এজন্য সবাইকে এয়ার টিকিট কেনার আগে আরও সতর্ক হবার পরামর্শ দিয়ে বলেন, কেবল বিজ্ঞাপন দেখে প্রতারণার ফাঁদে পড়া যাবে না। তিনি বলেন, অনেকেই একটা ছোট্ট অফিস ভাড়া নিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে শত শত মানুষের কাছে হজ্বের টিকিট বিক্রি করে কেটে পড়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া যায়, এমন প্রশ্নের জবাবে হুদা বলেন, কেবলমাত্র সাংবাদিক এবং সংবাদপত্রই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে এদের রিুদ্ধে। তাদের অনৈতিক কাজ শুরু করার আগেই যদি খোঁজ-খবর নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করা যায় তাহলে আর এগুলো বাড়তে পারবে না। এসব মৌসুমী ট্রাভেল ব্যবসায়ীরা এসোসিয়েশনভূক্ত হয় না। কারণ তারা জানে এসোসিয়েশনে আসলে জবাবদিহীতা করতে হবে। সে জন্য তারা ভয় পায় এসোসিয়েশনে আসতে।
নাজমুল হুদা বলেন, আমি সব সময় যাত্রীর সুবিধার কথা ভেবে টিকিট বিক্রি করি। আমার এজেন্সির সবাইকে আমি সেভাবেই শিখিয়েছি। যে যাত্রীকে বলা হবে তিনি হোটেল পাবেন সেটা আমরা অবশ্যই নিশ্চিত করি। যাকে যে আসনের কথা বলা হবে আমরা সেই আসনটিই তার জন্য বরাদ্দের ব্যবস্থা করি। টিকিট কাটতে আসলে আমরা স্ক্রিনে দেখিয়ে দেই তাকে কোন আসনটি দেয়া হচ্ছে। আমি কেবল এক টুকরা কাগজ বা টিকিট বিক্রি করি না। এখানে আমার ব্যবসার সুনাম জড়িত, রুটি-রুজি জড়িত, মানুষের আস্থা-বিশ্বাস এবং ভালবাসা জড়িত। তিনি বলেন, অনেকে দেশে গিয়ে আমাকে ফোন করেন, ফিরতি টিকিটের মেয়াদ বাড়িয়ে দিতে। আমি নিজে সেটা করে দেই কোনো প্রশ্ন না করে। কারণ আমি বিশ্বাস করি মানুষ আমার উপরে, আমার ব্যবসার উপরে আস্থা রেখেছে বলেই সে আমার কাছে এসেছে বা বারবার আসে। তাই তার সুবিধার জন্য আমার সাধ্যের মধ্যে যা আছে তার সব টুকুই আমি করার চেষ্টা করি। বিশ্বস্থতা অর্জন করতে পেরেছি বলেই গত ২০-২৫ বছর ধরে আমার কাছ থেকেই টিকিট কিনছেন এমন লোকের সংখ্যা রয়েছে অসংখ্য।
নাজমুল হুদা সবশেষ আবারও টিকিট কেনার আগে সবাইকে ওই ট্রাভেল এজেন্সি সম্পর্কে ভাল করে খোঁজ-খবর নিতে বলেন। একইসাথে, কেবলমাত্র সস্তা দামের টিকিটের পিছনে না ছুটে প্রকৃত ট্রাভেল এজেন্সির কাছে যেতেও অনুরোধ করেন। (জাস্ট নিউজ২৪.কম)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

আমি কেবল টিকিট বিক্রি করি না, এখানে ব্যবসার সুনাম, রুটি-রুজি, মানুষের আস্থা-বিশ্বাস, ভালবাসা জড়িত : নাজমুল হুদা

প্রকাশের সময় : ০৯:১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৫

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশীদের আবেগ-অনুভূতি নিয়ে কতিপয় ট্রাভেল এজেন্সী জোচ্চুরি শুরু করেছে। তাদের পূর্বের কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও সহজ-সরল মানুষের হাজার হাজার ডলার মেরে দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের জুরি নেই। একটু সচেতন হলেই আমাদের চারপাশের এসব জোচ্চোর ট্রাভেল ব্যবসায়ীদের শায়েস্তা করা সম্ভব। বিশেষ করে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে। আক্ষেপের সুরে কথাগুলো একটানে বলে গেলেন নিউইয়র্কের খ্যাতনামা ট্রাভেল এজেন্সী ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এর কর্নধার নাজমুল হুদা। উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশী ট্রাভেলস ব্যবসায়ীদের সংগঠন নর্থ নাটাব-এর সভাপতিও তিনি।
বিগত ২৮ বছর যাবত নিউইয়র্কে সুনামের সাথে ট্রাভেল ব্যবসা করে আসছেন নাজমুল হুদা। প্রতিদিনই তার টিকিট বিক্রির সংখ্যা বাড়ছে। একই সাথে বাড়ছে তার কাছে অভিযোগ আসার সংখ্যাও। প্রায় প্রতিদিনই তার কাছে কেউ না কেউ আসেন প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে। কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সির কাছে প্রতারণার শিকার হয়ে তারা আসেন সমাধান চাইতে। কিন্তু যখন অভিযোগ আসে তখন আর কিছুই করার থাকে না। এসব বিষয় নিয়েই কথা হয় তার সাথে।
ব্যবসা কেমন যাচ্ছে, প্রশ্ন করতেই তড়িৎ উত্তর দেন আড্ডাপ্রিয় এই মানুষ। বলেন, আমার টিকিট বিক্রি আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। প্রতিদিনই তার টিকিট বিক্রির সংখ্যা বাড়ছে বলেও জানান তিনি। আপনার ব্যবসা যেখানে বাড়ছে সেখানে অন্যরা কেনো পারছে না ? কম্পিউটারের স্ক্রিনে চোখ রেখেই বলেন, দেখুন দিন দিন প্রবাসীর সংখ্যা বাড়ছে। এটা সহজ হিসাব, মানুষ বাড়লে টিকিট বিক্রিও বাড়বে। কিন্তু কেউ কেউ হয়তো ব্যবসা বাড়াতে পারছেন না, এটা তাদের দূর্বলতা। কারণ সব ধরনের ব্যবসা করার জন্যই প্রয়োজন অভিজ্ঞতা এবং সততা। এই অভিজ্ঞতা এবং সততা না থাকার কারণে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা মানুষের কষ্টে উপার্জন করা অর্থ মেরে দিয়ে কেটে পড়ছেন। একজন যাত্রী অনেক কষ্ট করে অর্থ জমিয়ে দেশের বাড়ি ঘুরতে যেতে চায় অথবা জীবনের সবচেয়ে বড় আরাধনা হিসেবে একবার হজ্বে যেতে চায়। সুতরাং আমাকে ওই যাত্রীর আবেগ-অনুভূতির মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি হয়তো সব কিছু জানেন না। হয়তো বললো আমি আগামীকালই দেশে যেতে চাই এমিরেটস এয়ারলাইন্স এ। যাত্রীতো জানেন না যে, কাল এমিরেটস এর ফ্লাইট নেই। এই ক্ষেত্রে কি করা উচিত ? হুদা বলেন, দেখুন আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে তাকে বুঝিয়ে বলি কাল আমিরাতের ফ্লাইট নেই। তখন সে হয়তো অন্য কোনো প্রস্তাব করে। কিন্তু যারা বাটপার ধরণের ট্রাভেল ব্যবসায়ী, সে সত্য কথা না বলে তাকে টিকিট নিয়ে যেতে বলবে। এয়ারপোর্টে গিয়ে দেখবে ওইদিন কোনো ফ্লাইটই নেই। এভাবেই প্রতারিত হচ্ছেন প্রবাসীরা। এক দেড়শ ডলার কমে টিকিট পাওয়ার কথা বলেও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে অফার দেয়া হয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ওই টাকায় টিকিট পাওয়া যায় না। আসলে ওই ধূর্ত ব্যবসায়ীর উদ্দেশ্য হচ্ছে কম অর্থের টোপ দিয়ে টিকিট বিক্রি করে কেটে পড়া। নাজমুল হুদা এজন্য সবাইকে এয়ার টিকিট কেনার আগে আরও সতর্ক হবার পরামর্শ দিয়ে বলেন, কেবল বিজ্ঞাপন দেখে প্রতারণার ফাঁদে পড়া যাবে না। তিনি বলেন, অনেকেই একটা ছোট্ট অফিস ভাড়া নিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে শত শত মানুষের কাছে হজ্বের টিকিট বিক্রি করে কেটে পড়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া যায়, এমন প্রশ্নের জবাবে হুদা বলেন, কেবলমাত্র সাংবাদিক এবং সংবাদপত্রই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে এদের রিুদ্ধে। তাদের অনৈতিক কাজ শুরু করার আগেই যদি খোঁজ-খবর নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করা যায় তাহলে আর এগুলো বাড়তে পারবে না। এসব মৌসুমী ট্রাভেল ব্যবসায়ীরা এসোসিয়েশনভূক্ত হয় না। কারণ তারা জানে এসোসিয়েশনে আসলে জবাবদিহীতা করতে হবে। সে জন্য তারা ভয় পায় এসোসিয়েশনে আসতে।
নাজমুল হুদা বলেন, আমি সব সময় যাত্রীর সুবিধার কথা ভেবে টিকিট বিক্রি করি। আমার এজেন্সির সবাইকে আমি সেভাবেই শিখিয়েছি। যে যাত্রীকে বলা হবে তিনি হোটেল পাবেন সেটা আমরা অবশ্যই নিশ্চিত করি। যাকে যে আসনের কথা বলা হবে আমরা সেই আসনটিই তার জন্য বরাদ্দের ব্যবস্থা করি। টিকিট কাটতে আসলে আমরা স্ক্রিনে দেখিয়ে দেই তাকে কোন আসনটি দেয়া হচ্ছে। আমি কেবল এক টুকরা কাগজ বা টিকিট বিক্রি করি না। এখানে আমার ব্যবসার সুনাম জড়িত, রুটি-রুজি জড়িত, মানুষের আস্থা-বিশ্বাস এবং ভালবাসা জড়িত। তিনি বলেন, অনেকে দেশে গিয়ে আমাকে ফোন করেন, ফিরতি টিকিটের মেয়াদ বাড়িয়ে দিতে। আমি নিজে সেটা করে দেই কোনো প্রশ্ন না করে। কারণ আমি বিশ্বাস করি মানুষ আমার উপরে, আমার ব্যবসার উপরে আস্থা রেখেছে বলেই সে আমার কাছে এসেছে বা বারবার আসে। তাই তার সুবিধার জন্য আমার সাধ্যের মধ্যে যা আছে তার সব টুকুই আমি করার চেষ্টা করি। বিশ্বস্থতা অর্জন করতে পেরেছি বলেই গত ২০-২৫ বছর ধরে আমার কাছ থেকেই টিকিট কিনছেন এমন লোকের সংখ্যা রয়েছে অসংখ্য।
নাজমুল হুদা সবশেষ আবারও টিকিট কেনার আগে সবাইকে ওই ট্রাভেল এজেন্সি সম্পর্কে ভাল করে খোঁজ-খবর নিতে বলেন। একইসাথে, কেবলমাত্র সস্তা দামের টিকিটের পিছনে না ছুটে প্রকৃত ট্রাভেল এজেন্সির কাছে যেতেও অনুরোধ করেন। (জাস্ট নিউজ২৪.কম)