নিউইয়র্ক ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আবৃত্তিকার কাজী আরিফের ইন্তেকাল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২৭:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০১৭
  • / ১১১৩ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বাংলা ভাষার অন্যতম সেরা আবৃত্তিকার, স্থপতি ও মুক্তিযোদ্ধা কাজী আরিফ (৬৫) আর নেই। গত ২৯ এপ্রিল শনিবার নিউইয়র্ক সময় দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলা হয়। ম্যানহাটনের মাউন্ট সিনাই সেন্ট লিওক্স হাসপাতালে ওপেন হার্ট সার্জারির পর তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। গত ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় তার হার্ট সার্জারী করা হয়। তার ইন্তেকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বার্তায় গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলে সহ বহু আতœীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্খী রেখে যান।
উল্লেখ্য, কাজী আরিফের জন্ম ১৯৫২ সালের ৩১ অক্টোবর, রাজবাড়ী জেলায়। তবে তাঁর শিক্ষা ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রামেই তার শিল্প-সাহিত্যের চর্চার হাতেখড়ি। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে তিনি স্থাপত্য বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন। কাজী আরিফ ১৯৭১ সালে ১ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। বাংলাদেশে আবৃত্তিচর্চা এবং আবৃত্তিকে আধুনিক সংগঠিত রূপ দিতে তিনি আশির দশকে অন্যতম ভূমিকা পালন করেন। খবর ইউএনএ’র।
দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর কাজী আরিফের হার্টের ভাল্ব অকেজো হলে তাকে লিওক্স হাসপাতালে ভর্তি এবং পরবর্তীতে বাল্ব পুনঃস্থাপন এবং আর্টারিতে বাইপাস সার্জারি করা হয়। অপারেশনের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় এবং তার জ্ঞান ফেরায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এদিকে কাজী আরিফের অবস্থার অবনতির খবর শোনার পর কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও প্রবাসী বাংলাদেশী সাংস্কৃতিক কর্মীরা হাসপাতালের সামনে ভিড় জমান। পাশাপাশি নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের পক্ষে ডেপুটি কন্সাল জেনারেল শাহেদুল ইসলাম তাঁর খোজখবর নেন এবং হাসপাতালে দেখতে যান।

নিউইয়র্ক: প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের স্যালুট প্রদর্শণ

নিউইয়র্ক: কাজী আরিফের কফিনে প্রবাসীদের শ্রদ্ধা ও শেষে দেখা
কাজী আরিফের মৃত্যুর পর তার মরদেহ জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে (জেএমসি) আনা হয়। সেখানে শনিবার বাদ মাগবির মরহুমের জানাজা শেষে স্থানীয় ফিউনেরাল হোমে রাখা হয়। জেএমসিতে প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে জাতীয় পতাকায় কফিনবন্দি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আরিফকে সালাম ও শ্রদ্ধা জানানো হয়। জানাজায় দলমত নির্বিশেষে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনসহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে একুশে পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় নাট্যাভিনেতা জামাল উদ্দিন আহমেদ, প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, ডেপুটি কনসাল শাহেদুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, উপদেষ্টা ডা. মাসুদুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সরাফ সরকার, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ড. এম এ বাতেন ও আব্দুল মুকিত চৌধুরী, সেক্টর কমান্ডার ফোরামের যুক্তরাষ্ট্র ইউনিটের আহ্বায়ক রাশেদ আহমেদ, যুগ্ম আহবায়ক লাবলু আনসার ও সদস্যসচিব রেজাউল বারী চলচ্চিত্র নির্মাতা কবীর আনোয়ার, বাংলাদেশ আবৃত্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ, সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, কবি এবিএম সালেউদ্দিন, সাংবাদিক ফাহিম রেজা নূর, সাংবাদিক আকবর হায়দার কিরণ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার সভাপতি মিথুন আহমেদ, আবৃত্তিকার গোপন সাহা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী সদস্য শাহানারা রহমান ও খোরশেদ খন্দকার, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট দরুদ মিয়া রনেল প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার আগে কাজী আরিফের ভগ্নিপতি আব্দুল করিম সবার কাছে দোয়া চেয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। কাজী আরিফের মেয়ে অনুসূয়া এসময় উপস্থিত ছিলেন। জানাজার পর কাজী আরিফের কফিন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সামনে রাখা হলে সেখানে অনেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। কাজী আরিফকে একনজর দেখার জন্য সেখানে প্রবাসীদের ভীড় জমে। তাকে শেষবারের মতো দেখতে গিয়ে অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সার্বিক সহযোগিতায় ৩০ এপ্রিল রোববার আমিরাত এয়ারলাইন্সের রাতের একটি ফ্লাইটে কাজী আরিফের মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টায় তার মরদেহ ঢাকায় পৌছার কথা।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের ডেপুটি কনসাল জেনারেল শাহেদ আহমেদ জানান, রাষ্ট্রীয় খরচে কাজী আরিফের মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দেশে দাফন করা হবে।
এদিকে কাজী আরিফের ছোট মেয়ে আনুসূয়া (২৭) মিডিয়ার কাছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা দেশে-বিদেশে আমার বাবার সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছেন। আমি কৃতজ্ঞ। শুধু একটাই কথা বলবো, আমার বাবাকে ভুলে যাবেন না…।’
আরো উল্লেখ্য, আনুসূয়া বিনতে আরিফ। কাজী আরিফ ও প্রজ্ঞা লাবনী দম্পতির ছোট মেয়ে। পড়াশোনা করছেন নিউইয়র্ক সিটি কলেজে। বাবার মৃত্যুটা খুব কাছ থেকে দেখতে হয়েছে তাকে। হাসপাতালে তার ফুপুরাও ছিলেন, নিউইয়র্কের সংস্কৃতিসেবী মানুষেরা ছিলেন।
শোক প্রকাশ: প্রখ্যাত ও জনপ্রিয় আবৃত্তিকার কাজী আরিফের ইন্তেকালে সাবেক ছাত্রনেতা ও আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান ইউসুফজাই সালু, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাধারণ সম্পাদক ও টাইম টিভি’র বিশেষ প্রতিনিধি শিবলী চৌধুরী কায়েস, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা ও টাইম টেলিভিশন-এর সিইও আবু তাহের, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং হককথা ও বার্তা সংস্থা ইউএনএ সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান পৃথক পৃথক বার্তায় গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করা করেছেন।


নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কের অনুষ্ঠানে কাজী আরিফের সাথে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

আবৃত্তিকার কাজী আরিফের ইন্তেকাল

প্রকাশের সময় : ০৩:২৭:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০১৭

নিউইয়র্ক: বাংলা ভাষার অন্যতম সেরা আবৃত্তিকার, স্থপতি ও মুক্তিযোদ্ধা কাজী আরিফ (৬৫) আর নেই। গত ২৯ এপ্রিল শনিবার নিউইয়র্ক সময় দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলা হয়। ম্যানহাটনের মাউন্ট সিনাই সেন্ট লিওক্স হাসপাতালে ওপেন হার্ট সার্জারির পর তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। গত ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় তার হার্ট সার্জারী করা হয়। তার ইন্তেকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বার্তায় গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলে সহ বহু আতœীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্খী রেখে যান।
উল্লেখ্য, কাজী আরিফের জন্ম ১৯৫২ সালের ৩১ অক্টোবর, রাজবাড়ী জেলায়। তবে তাঁর শিক্ষা ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রামেই তার শিল্প-সাহিত্যের চর্চার হাতেখড়ি। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে তিনি স্থাপত্য বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন। কাজী আরিফ ১৯৭১ সালে ১ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। বাংলাদেশে আবৃত্তিচর্চা এবং আবৃত্তিকে আধুনিক সংগঠিত রূপ দিতে তিনি আশির দশকে অন্যতম ভূমিকা পালন করেন। খবর ইউএনএ’র।
দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর কাজী আরিফের হার্টের ভাল্ব অকেজো হলে তাকে লিওক্স হাসপাতালে ভর্তি এবং পরবর্তীতে বাল্ব পুনঃস্থাপন এবং আর্টারিতে বাইপাস সার্জারি করা হয়। অপারেশনের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় এবং তার জ্ঞান ফেরায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এদিকে কাজী আরিফের অবস্থার অবনতির খবর শোনার পর কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও প্রবাসী বাংলাদেশী সাংস্কৃতিক কর্মীরা হাসপাতালের সামনে ভিড় জমান। পাশাপাশি নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের পক্ষে ডেপুটি কন্সাল জেনারেল শাহেদুল ইসলাম তাঁর খোজখবর নেন এবং হাসপাতালে দেখতে যান।

নিউইয়র্ক: প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের স্যালুট প্রদর্শণ

নিউইয়র্ক: কাজী আরিফের কফিনে প্রবাসীদের শ্রদ্ধা ও শেষে দেখা
কাজী আরিফের মৃত্যুর পর তার মরদেহ জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে (জেএমসি) আনা হয়। সেখানে শনিবার বাদ মাগবির মরহুমের জানাজা শেষে স্থানীয় ফিউনেরাল হোমে রাখা হয়। জেএমসিতে প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে জাতীয় পতাকায় কফিনবন্দি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আরিফকে সালাম ও শ্রদ্ধা জানানো হয়। জানাজায় দলমত নির্বিশেষে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনসহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে একুশে পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় নাট্যাভিনেতা জামাল উদ্দিন আহমেদ, প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, ডেপুটি কনসাল শাহেদুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, উপদেষ্টা ডা. মাসুদুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সরাফ সরকার, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ড. এম এ বাতেন ও আব্দুল মুকিত চৌধুরী, সেক্টর কমান্ডার ফোরামের যুক্তরাষ্ট্র ইউনিটের আহ্বায়ক রাশেদ আহমেদ, যুগ্ম আহবায়ক লাবলু আনসার ও সদস্যসচিব রেজাউল বারী চলচ্চিত্র নির্মাতা কবীর আনোয়ার, বাংলাদেশ আবৃত্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ, সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, কবি এবিএম সালেউদ্দিন, সাংবাদিক ফাহিম রেজা নূর, সাংবাদিক আকবর হায়দার কিরণ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার সভাপতি মিথুন আহমেদ, আবৃত্তিকার গোপন সাহা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী সদস্য শাহানারা রহমান ও খোরশেদ খন্দকার, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট দরুদ মিয়া রনেল প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার আগে কাজী আরিফের ভগ্নিপতি আব্দুল করিম সবার কাছে দোয়া চেয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। কাজী আরিফের মেয়ে অনুসূয়া এসময় উপস্থিত ছিলেন। জানাজার পর কাজী আরিফের কফিন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সামনে রাখা হলে সেখানে অনেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। কাজী আরিফকে একনজর দেখার জন্য সেখানে প্রবাসীদের ভীড় জমে। তাকে শেষবারের মতো দেখতে গিয়ে অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সার্বিক সহযোগিতায় ৩০ এপ্রিল রোববার আমিরাত এয়ারলাইন্সের রাতের একটি ফ্লাইটে কাজী আরিফের মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টায় তার মরদেহ ঢাকায় পৌছার কথা।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের ডেপুটি কনসাল জেনারেল শাহেদ আহমেদ জানান, রাষ্ট্রীয় খরচে কাজী আরিফের মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দেশে দাফন করা হবে।
এদিকে কাজী আরিফের ছোট মেয়ে আনুসূয়া (২৭) মিডিয়ার কাছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা দেশে-বিদেশে আমার বাবার সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছেন। আমি কৃতজ্ঞ। শুধু একটাই কথা বলবো, আমার বাবাকে ভুলে যাবেন না…।’
আরো উল্লেখ্য, আনুসূয়া বিনতে আরিফ। কাজী আরিফ ও প্রজ্ঞা লাবনী দম্পতির ছোট মেয়ে। পড়াশোনা করছেন নিউইয়র্ক সিটি কলেজে। বাবার মৃত্যুটা খুব কাছ থেকে দেখতে হয়েছে তাকে। হাসপাতালে তার ফুপুরাও ছিলেন, নিউইয়র্কের সংস্কৃতিসেবী মানুষেরা ছিলেন।
শোক প্রকাশ: প্রখ্যাত ও জনপ্রিয় আবৃত্তিকার কাজী আরিফের ইন্তেকালে সাবেক ছাত্রনেতা ও আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান ইউসুফজাই সালু, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাধারণ সম্পাদক ও টাইম টিভি’র বিশেষ প্রতিনিধি শিবলী চৌধুরী কায়েস, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা ও টাইম টেলিভিশন-এর সিইও আবু তাহের, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং হককথা ও বার্তা সংস্থা ইউএনএ সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান পৃথক পৃথক বার্তায় গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করা করেছেন।


নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কের অনুষ্ঠানে কাজী আরিফের সাথে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।