আজ ৪ জুন এনামুল মালিকের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী
- প্রকাশের সময় : ০৫:৩৫:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জুন ২০১৮
- / ৯৫৫ বার পঠিত
নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্কের বিশিষ্ট শিল্পপতি, কুমিল্লার কৃতি সন্তান, সমাজসেবক ও বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র সাবেক সভাপতি ফার্মাসিস্ট এনামুল মালিক-এর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৪ জুন সোমবার। কমিউনিটিতে দানবীর খ্যাত এনামুল মালিক ২০১৮ সালের এই দিন ভোরে তিনি প্রেসবাইটেরিয়ান হাসপাতালে শেষ নিশ্বাঃস ত্যাগ করেন। তিনি বাংলাদেশী-আমেরিকান জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন। এদিকে এনামুল মালিকের বিদেহী আতœার শান্তি কামনায় সকল প্রবাসীর দোয়া কামনা করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা ও জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম। খবর ইউএনএ’র।
কমিউনিটির আলোকিত মানুষ হিসেবে এনামুল মালিক ছিলেন বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারি। পেশাগত জীবনে একজন সফল শিল্পপতি ও ফার্মাসিস্ট। যিনি জীবদ্দশায় তার দু’হাত ভরে কমিউনিটিকে দিয়ে গেছেন অসংখ্য সহানুভূতি। বিনিময়ে পেয়েছেন মানুষের ভালবাসা। সব সময় দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাতে চেয়েছেন। দান করতেন অকাতরে। ডান হাত দিয়ে দান করলে তাঁর বাম হাত টের পেতনা। এমন কথাই সবার মুখে। এমনিভাবেই তিনি মানুষকে সহায়তা করে গেছেন আমৃত্যু। অনেক মসজিদ, মাদরাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। আজ তিনি নেই। রয়ে গেছে তাঁর অমর কীর্তিগাথা। ক’জন অমন হয়। অনেকেইতো সফল ব্যবসায়ী হন। কিন্তু সমাজকে কি দিয়ে যান। এ ক্ষেত্রে এনামুল মালিক হতে পারেন প্রবাসী সমাজ তথা কমিউনিটির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
সত্তরের দশকের দিকে একজন ফার্মাসিস্ট হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এনামুল মালিক। এরই ধারাবাহিকতায় নিউইয়র্কের ফার্মিংডেলে সিন্থ ফার্মাসিউটিক্যালস নামে একটি ওষুধ কারখানা গড়ে তোলেন। ২০০৫-২০০৬ সালে বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ছিলেন সংগঠনটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য। ৬৯ বছর বয়স্ক এনামুল মালিক দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। মারা যাওয়ার তিন সপ্তাহ আগে বাসার গ্যারেজে পড়ে গিয়ে কোমর ও পীঠে প্রচন্ড আঘাত পান তিনি। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গিলে চিকিৎসকরা লাইফ সাপোর্টে রাখেন প্রিয় মুখ এনামুল মালিককে। সেখান থেকেই চলে যান মৃত্যু যবনিকার ওপারে। ২০১৪ সালের ৪ জুন বৃহস্পতিবার সকালে লং আল্যান্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল মুসলিম কবরস্থানে চির নিন্দ্রায় শায়িত করা হয় তাকে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও একমাত্র কন্যা সন্তান’সহ অসংখ্য গুনগ্রাহীদের জন্য রেখে যান।