নিউইয়র্ক ০৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১২:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১৪৬ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : নীতিমালা প্রণয়ন করা ছাড়া বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন নীতিমালা তৈরি করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আইন সচিব ও সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট তানজিলা রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

এর আগে ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এ রিট করেন। রিটে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন নীতিমালা তৈরি করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিট আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব, সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু এই মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংবিধানের ৩২ ও ৩৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ ছাড়া জাতিসংঘ ঘোষিত ১৯৪৮ সালের মানবাধিকার সনদ, ১৯৬৬ সালের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং ১৯৮৪ সালের নির্যাতনবিরোধী কনভেনশনে মৃত্যুদণ্ডকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ এসব দলিলে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের ১১২ দেশ মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করেছে। রিট আবেদনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণার আবেদন করা হয়েছে। সূত্র : যুগান্তর

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট

প্রকাশের সময় : ০৮:১২:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ ডেস্ক : নীতিমালা প্রণয়ন করা ছাড়া বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন নীতিমালা তৈরি করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আইন সচিব ও সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট তানজিলা রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

এর আগে ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এ রিট করেন। রিটে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন নীতিমালা তৈরি করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিট আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব, সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু এই মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংবিধানের ৩২ ও ৩৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ ছাড়া জাতিসংঘ ঘোষিত ১৯৪৮ সালের মানবাধিকার সনদ, ১৯৬৬ সালের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং ১৯৮৪ সালের নির্যাতনবিরোধী কনভেনশনে মৃত্যুদণ্ডকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ এসব দলিলে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের ১১২ দেশ মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করেছে। রিট আবেদনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণার আবেদন করা হয়েছে। সূত্র : যুগান্তর

হককথা/নাছরিন