নিউইয়র্ক ১২:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আমাদের এখন কথা বলার সময় কম: মির্জা ফখরুল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৪৬:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
  • / ৫২ বার পঠিত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের এখন কথা বলার সময় কম, এখন কাজ করার সময় বেশি। গোটা দেশ ও রাষ্ট্রকে গিলে ফেলেছে সরকার। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা সংগ্রাম ও লড়াই করছি।’ বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় বিদস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ বসে থাকতে পারে না। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতাকামী মানুষ। স্বাধীনভাবে কথা বলতে চায়। এটা বাংলাদেশের মানুষের চরিত্র এবং তারা রাজনৈতিকভাবে সচেতন। গ্রামে-গঞ্জে চায়ের দোকানে বসে তারা রাজনীতির কথা বলে। এটা হচ্ছে বাস্তবতা। এই বাস্তবতাকে সামনে নিয়ে, বিশ্ব প্রেক্ষিত এবং সামগ্রিক অবস্থাকে সামনে নিয়ে আমাদের রাজনীতি ও কৌশল আবারও ঠিক সেইভাবে এগিয়ে নিতে হবে। কারণ সংগ্রাম ও আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার কোনো বিকল্প নেই। সেজন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলে সেই সংগ্রামকে আরও বেশি জোরদার করতে হবে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে। বর্তমান শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই কাজটি করছে। আওয়ামী লীগ সব সময়ই গণতন্ত্রের বিরোধী শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলেছে, কিন্তু সব সময় গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে, দেশে জনগণের অধিকারকে প্রয়োগ করতে দেওয়া হয় না। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে গত ১৫ বছর ধরে নির্বাচনকে তারা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তারা কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বরং আমরা যারা গণতন্ত্র, নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং দেশের অর্থনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করবার কথা বলেছি, তাদের ওপর চরম দমন-পীড়ন ও নির্যাতন নেমে এসেছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, বাংলাদেশ এখন ফ্যাসিস্টদের কবলে পড়েনি। বাংলাদেশ এখন বর্ণবাদীদের কবলে পড়েছে। বিএনপি যারা করে তাদের ঘর-বাড়ি, জমি এবং ব্যবসা পর্যন্ত দখল করে নেওয়া হচ্ছে। তাদের ছেলে-মেয়েদের চাকরির কোনো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি দুঃসম্পর্কের আত্মীয়দের বিএনপি হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। এটা বর্ণবাদ ছাড়া কিছু না। আর দেশকে তারা দুটি ভাগ করেছে। একটা ভাগ হচ্ছে আওয়ামী লীগ, আরেকটি ভাগ হচ্ছে বিরোধীদল। এই অবস্থা তৈরি করে তারা নিজেরাই একটা সাম্প্রদায়িক অবস্থা তৈরি করেছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘স্বাধীনতা উদ্‌যাপন করার মতো পরিস্থিতি বাংলাদেশে নাই। এই আলোচনা সভায় সভাপতি মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ। জাতির বীর বিক্রমকে এই সরকার কারারুদ্ধ করে। এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে? এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনার কথা বলে, সেই চেতনাকে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। কারণ তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এই গণতন্ত্রকে আওয়ামী লীগ সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে।’

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তারা দেশে অলিখিত বাকশাল কায়েম করেছে। সুতরাং এই সরকার একদলীয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমরা কর্মসূচি পালন করেছি। ভবিষ্যতে নতুন কর্মসূচি আসবে। কারণ এদেশের জনগণকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আছি এবং থাকব।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রমের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, ফজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির প্রমুখ।

এ ছাড়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ দলটির সিনিয়র নেতা এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : আমাদের সময়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আমাদের এখন কথা বলার সময় কম: মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০১:৪৬:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের এখন কথা বলার সময় কম, এখন কাজ করার সময় বেশি। গোটা দেশ ও রাষ্ট্রকে গিলে ফেলেছে সরকার। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা সংগ্রাম ও লড়াই করছি।’ বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় বিদস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ বসে থাকতে পারে না। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতাকামী মানুষ। স্বাধীনভাবে কথা বলতে চায়। এটা বাংলাদেশের মানুষের চরিত্র এবং তারা রাজনৈতিকভাবে সচেতন। গ্রামে-গঞ্জে চায়ের দোকানে বসে তারা রাজনীতির কথা বলে। এটা হচ্ছে বাস্তবতা। এই বাস্তবতাকে সামনে নিয়ে, বিশ্ব প্রেক্ষিত এবং সামগ্রিক অবস্থাকে সামনে নিয়ে আমাদের রাজনীতি ও কৌশল আবারও ঠিক সেইভাবে এগিয়ে নিতে হবে। কারণ সংগ্রাম ও আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।’

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার কোনো বিকল্প নেই। সেজন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলে সেই সংগ্রামকে আরও বেশি জোরদার করতে হবে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে। বর্তমান শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই কাজটি করছে। আওয়ামী লীগ সব সময়ই গণতন্ত্রের বিরোধী শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলেছে, কিন্তু সব সময় গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে, দেশে জনগণের অধিকারকে প্রয়োগ করতে দেওয়া হয় না। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে গত ১৫ বছর ধরে নির্বাচনকে তারা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তারা কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বরং আমরা যারা গণতন্ত্র, নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং দেশের অর্থনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করবার কথা বলেছি, তাদের ওপর চরম দমন-পীড়ন ও নির্যাতন নেমে এসেছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, বাংলাদেশ এখন ফ্যাসিস্টদের কবলে পড়েনি। বাংলাদেশ এখন বর্ণবাদীদের কবলে পড়েছে। বিএনপি যারা করে তাদের ঘর-বাড়ি, জমি এবং ব্যবসা পর্যন্ত দখল করে নেওয়া হচ্ছে। তাদের ছেলে-মেয়েদের চাকরির কোনো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি দুঃসম্পর্কের আত্মীয়দের বিএনপি হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। এটা বর্ণবাদ ছাড়া কিছু না। আর দেশকে তারা দুটি ভাগ করেছে। একটা ভাগ হচ্ছে আওয়ামী লীগ, আরেকটি ভাগ হচ্ছে বিরোধীদল। এই অবস্থা তৈরি করে তারা নিজেরাই একটা সাম্প্রদায়িক অবস্থা তৈরি করেছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘স্বাধীনতা উদ্‌যাপন করার মতো পরিস্থিতি বাংলাদেশে নাই। এই আলোচনা সভায় সভাপতি মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ। জাতির বীর বিক্রমকে এই সরকার কারারুদ্ধ করে। এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে? এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনার কথা বলে, সেই চেতনাকে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। কারণ তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এই গণতন্ত্রকে আওয়ামী লীগ সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে।’

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তারা দেশে অলিখিত বাকশাল কায়েম করেছে। সুতরাং এই সরকার একদলীয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমরা কর্মসূচি পালন করেছি। ভবিষ্যতে নতুন কর্মসূচি আসবে। কারণ এদেশের জনগণকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আছি এবং থাকব।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রমের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, ফজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির প্রমুখ।

এ ছাড়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ দলটির সিনিয়র নেতা এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : আমাদের সময়।