নিউইয়র্ক ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আমরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী : ইইউ রাষ্ট্রদূত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৯:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ২৮ বার পঠিত

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ডেস্ক :  বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপের ২৪ বিলিয়ন ইউরোর বাণিজ্য থাকার কথা জানিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, আমরা বাংলাদেশে ইউরোপীয় বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। তাছাড়া ইইউতে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি বাড়ুক, আমরা তা চাই।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন চার্লস হোয়াইটলি।

বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এটি ছিল মূলত সৌজন্য সাক্ষাত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেছি।

ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, সামাজিক সুরক্ষাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছি। সেসব ক্ষেত্রে বাজেট সহায়তা নিয়েও কথা বলেছি আমরা। বাণিজ্য ও ব্যবসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৪ বিলিয়ন ইউরোর বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে আমরা খুবই আগ্রহী। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা চাই ইইউতে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি বাড়ুক।

এ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পরপরই তার পরিকল্পনা জানতে পেরে বেশ আশাবাদ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে কাজ করার বিষয়ে আমাদের প্রত্যাশা বেড়েছে।

২০২৬ সালের পরিকল্পনা নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ সহজ হোক, আমরা সেটিই চাচ্ছি। আমরাও এ বিষয়ে জোর দিচ্ছি। কারণ এটি বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অবশ্যই, জিএসপি প্লাসে সহজ রূপান্তর চাচ্ছি। এটিই আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় ভিত্তি। ২০২৬ সালের প্রক্রিয়ার জন্যই এটি গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় চেম্বারস অব কমার্সের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে কীভাবে সহায়তা করতে পারি, সেদিকেই আমরা বেশি আলোকপাত করছি। এছাড়া শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে কথা হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, না, না। শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে কোনো কথা হয়নি।

বৈঠকে উভয়ের মধ্যে সম্ভবনামূলক অর্থনীতির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া আলোচনা হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্প ও বাজেট সহায়তা নিয়ে। সূত্র : প্রতিদিনের সংবাদ

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আমরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী : ইইউ রাষ্ট্রদূত

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৯:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ ডেস্ক :  বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপের ২৪ বিলিয়ন ইউরোর বাণিজ্য থাকার কথা জানিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, আমরা বাংলাদেশে ইউরোপীয় বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। তাছাড়া ইইউতে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি বাড়ুক, আমরা তা চাই।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন চার্লস হোয়াইটলি।

বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এটি ছিল মূলত সৌজন্য সাক্ষাত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেছি।

ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, সামাজিক সুরক্ষাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছি। সেসব ক্ষেত্রে বাজেট সহায়তা নিয়েও কথা বলেছি আমরা। বাণিজ্য ও ব্যবসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৪ বিলিয়ন ইউরোর বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে আমরা খুবই আগ্রহী। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা চাই ইইউতে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি বাড়ুক।

এ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পরপরই তার পরিকল্পনা জানতে পেরে বেশ আশাবাদ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে কাজ করার বিষয়ে আমাদের প্রত্যাশা বেড়েছে।

২০২৬ সালের পরিকল্পনা নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ সহজ হোক, আমরা সেটিই চাচ্ছি। আমরাও এ বিষয়ে জোর দিচ্ছি। কারণ এটি বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অবশ্যই, জিএসপি প্লাসে সহজ রূপান্তর চাচ্ছি। এটিই আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় ভিত্তি। ২০২৬ সালের প্রক্রিয়ার জন্যই এটি গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় চেম্বারস অব কমার্সের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে কীভাবে সহায়তা করতে পারি, সেদিকেই আমরা বেশি আলোকপাত করছি। এছাড়া শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে কথা হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, না, না। শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে কোনো কথা হয়নি।

বৈঠকে উভয়ের মধ্যে সম্ভবনামূলক অর্থনীতির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া আলোচনা হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্প ও বাজেট সহায়তা নিয়ে। সূত্র : প্রতিদিনের সংবাদ

হককথা/নাছরিন