নিরাপত্তার কারণে মিয়ানমার সীমান্তে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ, পাঁচটি বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
- প্রকাশের সময় : ০৮:২৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৭৮ বার পঠিত
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পাহাড়ে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চৌকি।ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ডেস্ক : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) তীব্র গোলাগুলি হচ্ছে। এ অবস্থায় পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ও সীমান্তবর্তী কয়েকটি সড়কের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে গোলা নিক্ষেপ ও গোলাগুলির কারণে স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার দুপুরের বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন প্রথম আলোকে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, গতকাল শনিবার রাত থেকে হঠাৎ গোলাগুলি বেড়ে যায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের কাছে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ হওয়া বিদ্যালয়গুলো হলো—বাইশফাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু পশ্চিমকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
নাইক্ষ্যংছড়ির প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রি রতন চাকমা বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্কুল খোলা হবে। জেলা প্রশাসন সূত্র আরও জানায়, ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত ঘেঁষে যে সড়কগুলো গেছে, সেগুলোয় প্রাইভেট কার না নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। গণপরিবহন চলাচলও সীমিত করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, মিয়ানমার-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ঘেঁষে কামানের গোলা নিক্ষেপের পাশাপাশি হেলিকপ্টার থেকে গোলাবর্ষণ চলছে। কাঁটাতারের বেড়া ঘেঁষে মিয়ানমার অংশে অর্ধশতাধিক মর্টারশেলের বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। এতে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। আজ বাবুল কর্মকার (৫২) নামের এক ব্যক্তি গুলিতে আহত হয়েছেন।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত মর্টারশেল ও গোলাগুলি অনেক বেড়ে গেছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন সীমান্ত এলাকার লোকজন।
জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সীমান্ত এলাকার কয়েকটি সড়কের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মিয়ানমারের আকাশসীমায় হেলিকপ্টার উড়তে দেখা যাচ্ছে। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। তিনটি গ্রামের মানুষকে নিরাপদ স্থানে থাকার জন্য বলা হয়েছে। সূত্র : প্রথম আলোর
হককথা/নাছরিন