নিউইয়র্ক ০৬:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

শ্রম আইনের অগ্রগতি জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা বললেন আইনমন্ত্রী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৮০ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : শিল্প কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার আরও কমিয়ে প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কর্মকর্তারা এ অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকারে পরিবেশ বিবেচনায় নিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের লেবার অ্যাটাশে লিনা খান ও ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ম্যাথু বেহের সঙ্গে বৈঠকের পর মন্ত্রী এমন তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, শ্রমিক অধিকার নিয়ে তারা (যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা) নিজেদের বক্তব্য দিয়েছেন। আপনারা হয়তো খেয়াল রাখবেন, গত বছর থেকেই এই (শ্রম আইন নিয়ে) আলোচনা হচ্ছে। আইনটিতে কী অগ্রগতি হয়েছে, আরও অগ্রগতি সম্ভব কি না; বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করি।

মন্ত্রী বলেন, একটা পদক্ষেপ হিসেবেই আজকের আলোচনা হয়েছে। আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, আপনারা জানেন, রাষ্ট্রপতির কাছে যখন শ্রম আইনটি গিয়েছিল, তখন একটি বিশেষ কারণে সেটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কারণটা আগেও আমি ব্যাখ্যা করেছি, আজকের আলোচনায় সেটিও উঠে এসেছে।

আনিসুল হক জানান,যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তাদের থ্রেশহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার) সম্পর্কে এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। তারা আমাকে বলেছেন যে, এই ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে অংশীদার হিসেবে কাজ করতে চায়। আর যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিকের অধিকার নিয়ে তারা খুবই সচেতন এবং এটা তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু। তখন আমি তাদের বলেছি, এটা বাংলাদেশ সরকার ও আওয়ামী লীগ সরকারের কাছেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

আইনমন্ত্রী বলেন, আমি এটাও বলেছি, আগামী বুধবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের একটা টিমের সঙ্গে আলোচনায় বসবো। আইএলওর গভর্নিং বডির মিটিং হচ্ছে মার্চ মাসে, আমাদের অগ্রগতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহুল হওয়ার জন্য এবং দু’একটা বিষয় তারা জানতে চেয়েছেন, সেই মিটিং এরপরে তাদের আমরা জানাবো। আমাদের আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র আপত্তি বা এমন কিছু তোলেনি।

ড. ইউনূস নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না এ বিষয়ে তিনি বলেন ড. ইউনূসকে নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। সূত্র : যুগান্তর

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

শ্রম আইনের অগ্রগতি জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা বললেন আইনমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ ডেস্ক : শিল্প কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার আরও কমিয়ে প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কর্মকর্তারা এ অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকারে পরিবেশ বিবেচনায় নিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের লেবার অ্যাটাশে লিনা খান ও ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ম্যাথু বেহের সঙ্গে বৈঠকের পর মন্ত্রী এমন তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, শ্রমিক অধিকার নিয়ে তারা (যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা) নিজেদের বক্তব্য দিয়েছেন। আপনারা হয়তো খেয়াল রাখবেন, গত বছর থেকেই এই (শ্রম আইন নিয়ে) আলোচনা হচ্ছে। আইনটিতে কী অগ্রগতি হয়েছে, আরও অগ্রগতি সম্ভব কি না; বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করি।

মন্ত্রী বলেন, একটা পদক্ষেপ হিসেবেই আজকের আলোচনা হয়েছে। আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, আপনারা জানেন, রাষ্ট্রপতির কাছে যখন শ্রম আইনটি গিয়েছিল, তখন একটি বিশেষ কারণে সেটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কারণটা আগেও আমি ব্যাখ্যা করেছি, আজকের আলোচনায় সেটিও উঠে এসেছে।

আনিসুল হক জানান,যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তাদের থ্রেশহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার) সম্পর্কে এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। তারা আমাকে বলেছেন যে, এই ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে অংশীদার হিসেবে কাজ করতে চায়। আর যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিকের অধিকার নিয়ে তারা খুবই সচেতন এবং এটা তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু। তখন আমি তাদের বলেছি, এটা বাংলাদেশ সরকার ও আওয়ামী লীগ সরকারের কাছেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

আইনমন্ত্রী বলেন, আমি এটাও বলেছি, আগামী বুধবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের একটা টিমের সঙ্গে আলোচনায় বসবো। আইএলওর গভর্নিং বডির মিটিং হচ্ছে মার্চ মাসে, আমাদের অগ্রগতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহুল হওয়ার জন্য এবং দু’একটা বিষয় তারা জানতে চেয়েছেন, সেই মিটিং এরপরে তাদের আমরা জানাবো। আমাদের আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র আপত্তি বা এমন কিছু তোলেনি।

ড. ইউনূস নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না এ বিষয়ে তিনি বলেন ড. ইউনূসকে নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। সূত্র : যুগান্তর

হককথা/নাছরিন