নিউইয়র্ক ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পৌরসভা বিলুপ্তির কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৪০ বার পঠিত
  • অভিন্ন আইনে একসঙ্গে সব স্থানীয় নির্বাচন চায় সংস্কার কমিশন।
  • সুপারিশ থাকবে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের ওপর এমপিদের প্রভাব কমানোর।
  • জেলা পরিষদে সরাসরি ভোটের পক্ষে কমিশন।
  • সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের ইউপি মেম্বার পদে নির্বাচনের সুযোগ থাকতে পারে।

দেশের পৌরসভাগুলো ধুঁকছে। আয় না থাকায় কর্মচারীদের বেতন পর্যন্ত দেওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় প্রয়োজনে থোক বরাদ্দ থেকে বকেয়া পরিশোধ করে পৌরসভাগুলোকে ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে একীভূত করা যায় কি না, তা ভাবছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি) ভবনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব ভাবনার কথা জানান স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ।

মতবিনিময় সভায় কমিশনের প্রধান জানান, অভিন্ন আইনে একসঙ্গে সব স্থানীয় সরকারের নির্বাচন করার সুপারিশ দেবে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। সুপারিশে থাকবে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের ওপর এমপিদের প্রভাব কমানো। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে সংস্কার কমিশন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ঢাকার বাইরে যখন যাচ্ছি, মানুষের কাছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রায়োরিটি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ঢাকা লেভেলের পলিটিশিয়ানদের মধ্যে এখনো কোনো কথা শুনিনি বা শোনা যাচ্ছে না। তবে স্থানীয় পর্যায় থেকে আসা মতামত হচ্ছে, সেখানে একটা শূন্যতা চলছে। ফলে এখন স্থানীয় নির্বাচনটা হয়ে যাওয়া উচিত।

চট্টগ্রামের পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচনের বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নির্বাচন ১৯৮৯ সালের পরে আর হয়নি। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে স্পেসিফিক চিন্তা করেছি। এ ছাড়া কার্যকর করতে জেলা পরিষদে সরাসরি ভোট করা যায় কি না, সেটিও আমরা চিন্তা করছি।’

সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য পদে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে বলেও জানান তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা বেঁধে দেওয়ার বিষয়ে সংবিধান পারমিট করে না। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মেম্বার পদের ক্ষেত্রে সবাইকে সুযোগ দেওয়া উচিত। এতে শিক্ষিত লোকেরা নির্বাচিত হয়ে আসবেন। এটা পার্টটাইম হিসেবে তাঁরা করতে পারবেন। এ ছাড়া যুবকদের মেম্বার পদে নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, মেম্বার পদ হচ্ছে জাতীয় রাজনীতির পাঠশালা।

সংরক্ষিত নারী প্রতিনিধিদের বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদেরও গুরুত্ব দিতে হবে। নারী আসনে নির্বাচন ঘূর্ণমান পদ্ধতিতে হতে পারে। তিনবার নির্বাচন হবে। চারবার থেকে সেখানে সংরক্ষিত নারী পদের আর প্রয়োজন নেই, এমনটা ভাবা হচ্ছে। ইউনিয়নে জনসংখ্যার আলোকে ওয়ার্ড সংখ্যা বাড়ানোর পক্ষেও মত দেন তিনি। মতবিনিময় সভায় ২৮ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এবং নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীর।

সুপারিশগুলোর মধ্যে আছে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা ও দায়িত্ব পরিষ্কার করতে আধুনিক ও সমন্বিত আইন প্রণয়ন; স্থানীয় সরকারের নির্বাচন নির্দলীয় প্রতীকে করা; যেহেতু স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করা; জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করা। সূত্র : আজকের পত্রিকা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পৌরসভা বিলুপ্তির কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন

প্রকাশের সময় : ০৩:১৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • অভিন্ন আইনে একসঙ্গে সব স্থানীয় নির্বাচন চায় সংস্কার কমিশন।
  • সুপারিশ থাকবে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের ওপর এমপিদের প্রভাব কমানোর।
  • জেলা পরিষদে সরাসরি ভোটের পক্ষে কমিশন।
  • সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের ইউপি মেম্বার পদে নির্বাচনের সুযোগ থাকতে পারে।

দেশের পৌরসভাগুলো ধুঁকছে। আয় না থাকায় কর্মচারীদের বেতন পর্যন্ত দেওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় প্রয়োজনে থোক বরাদ্দ থেকে বকেয়া পরিশোধ করে পৌরসভাগুলোকে ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে একীভূত করা যায় কি না, তা ভাবছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি) ভবনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব ভাবনার কথা জানান স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ।

মতবিনিময় সভায় কমিশনের প্রধান জানান, অভিন্ন আইনে একসঙ্গে সব স্থানীয় সরকারের নির্বাচন করার সুপারিশ দেবে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। সুপারিশে থাকবে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের ওপর এমপিদের প্রভাব কমানো। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে সংস্কার কমিশন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ঢাকার বাইরে যখন যাচ্ছি, মানুষের কাছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রায়োরিটি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ঢাকা লেভেলের পলিটিশিয়ানদের মধ্যে এখনো কোনো কথা শুনিনি বা শোনা যাচ্ছে না। তবে স্থানীয় পর্যায় থেকে আসা মতামত হচ্ছে, সেখানে একটা শূন্যতা চলছে। ফলে এখন স্থানীয় নির্বাচনটা হয়ে যাওয়া উচিত।

চট্টগ্রামের পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচনের বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নির্বাচন ১৯৮৯ সালের পরে আর হয়নি। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে স্পেসিফিক চিন্তা করেছি। এ ছাড়া কার্যকর করতে জেলা পরিষদে সরাসরি ভোট করা যায় কি না, সেটিও আমরা চিন্তা করছি।’

সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য পদে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে বলেও জানান তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা বেঁধে দেওয়ার বিষয়ে সংবিধান পারমিট করে না। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মেম্বার পদের ক্ষেত্রে সবাইকে সুযোগ দেওয়া উচিত। এতে শিক্ষিত লোকেরা নির্বাচিত হয়ে আসবেন। এটা পার্টটাইম হিসেবে তাঁরা করতে পারবেন। এ ছাড়া যুবকদের মেম্বার পদে নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, মেম্বার পদ হচ্ছে জাতীয় রাজনীতির পাঠশালা।

সংরক্ষিত নারী প্রতিনিধিদের বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদেরও গুরুত্ব দিতে হবে। নারী আসনে নির্বাচন ঘূর্ণমান পদ্ধতিতে হতে পারে। তিনবার নির্বাচন হবে। চারবার থেকে সেখানে সংরক্ষিত নারী পদের আর প্রয়োজন নেই, এমনটা ভাবা হচ্ছে। ইউনিয়নে জনসংখ্যার আলোকে ওয়ার্ড সংখ্যা বাড়ানোর পক্ষেও মত দেন তিনি। মতবিনিময় সভায় ২৮ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এবং নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীর।

সুপারিশগুলোর মধ্যে আছে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা ও দায়িত্ব পরিষ্কার করতে আধুনিক ও সমন্বিত আইন প্রণয়ন; স্থানীয় সরকারের নির্বাচন নির্দলীয় প্রতীকে করা; যেহেতু স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করা; জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করা। সূত্র : আজকের পত্রিকা।