নিউইয়র্ক ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধে কেউ এগিয়ে না আসায় প্রধানমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৫১:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪
  • / ১৪৫ বার পঠিত

ফিলিস্তিনের ফাতাহ আন্দোলনের মহাসচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউব গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন (ছবি: ফোকাস বাংলা)

গাজায় হত্যাকাণ্ড বিশ্বের সবাই দেখছে, কিন্তু তা বন্ধে কেউ কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফিলিস্তিনের ফাতাহ আন্দোলনের (শাসক দল) মহাসচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউব রবিবার (২৪ মার্চ) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে নীরব অবস্থানের জন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি এক ধরনের ভণ্ডামি।

মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত এবং এটি করা উচিত মুসলিম উম্মাহর নিরাপত্তা এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা লাঘবের জন্য। এ প্রসঙ্গে তিনি ১৯৬৭ সালে গৃহীত প্রস্তাব অনুসরণ করতে বলেন, যাতে বলা হয়েছিল পূর্ব জেরুজালেম ফিলিস্তিনের রাজধানী হবে।

ফিলিস্তিনের ফাতাহ আন্দোলনের মহাসচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউব গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন (ছবি : ফোকাস বাংলা)

প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে গাজায় নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ হত্যা এবং ইসরায়েলি বাহিনীর হাসপাতালে হামলার নিন্দা করেন। তিনি গাজাবাসীর মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মিসরের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য দুই দফা ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, আমি যেখানেই সুযোগ পেয়েছি ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে সবসময় আওয়াজ তুলেছি। আওয়ামী লীগ শাসনামলে ১৯৯৭ সালে ইয়াসির আরাফাতের বাংলাদেশ সফরের কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

ফিলিস্তিনের ফাতাহ আন্দোলনের মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার নিঃশর্ত সমর্থন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আওয়াজ তোলার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করা দরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই উদ্দেশ্যে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। সেখানে খাদ্যের তীব্র সংকট বিরাজ করছে এবং মানুষ অনাহারে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন।

ফিলিস্তিনের ফাতাহ আন্দোলনের মহাসচিবকে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ছবি : ফোকাস বাংলা)

লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউব বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিই এই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ।

আরব দেশগুলোতে ৪০০ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করলেও তারা ঐক্যবদ্ধ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ঐক্যবদ্ধ হলে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন সহজেই বন্ধ হয়ে যাবে। আরব বিশ্বের শক্তি ও সম্পদ আছে, শুধু ঐক্যই ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধ বন্ধ না হলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক শান্তি কখনোই প্রতিষ্ঠিত হবে না। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দৃঢ় ভূমিকার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। ফিলিস্তিনের ফাতাহ আন্দোলনের মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একটি চিঠিও হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধে কেউ এগিয়ে না আসায় প্রধানমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশের সময় : ০৪:৫১:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

গাজায় হত্যাকাণ্ড বিশ্বের সবাই দেখছে, কিন্তু তা বন্ধে কেউ কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফিলিস্তিনের ফাতাহ আন্দোলনের (শাসক দল) মহাসচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউব রবিবার (২৪ মার্চ) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে নীরব অবস্থানের জন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি এক ধরনের ভণ্ডামি।

মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত এবং এটি করা উচিত মুসলিম উম্মাহর নিরাপত্তা এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা লাঘবের জন্য। এ প্রসঙ্গে তিনি ১৯৬৭ সালে গৃহীত প্রস্তাব অনুসরণ করতে বলেন, যাতে বলা হয়েছিল পূর্ব জেরুজালেম ফিলিস্তিনের রাজধানী হবে।

ফিলিস্তিনের ফাতাহ আন্দোলনের মহাসচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউব গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন (ছবি : ফোকাস বাংলা)

প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে গাজায় নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ হত্যা এবং ইসরায়েলি বাহিনীর হাসপাতালে হামলার নিন্দা করেন। তিনি গাজাবাসীর মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মিসরের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য দুই দফা ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, আমি যেখানেই সুযোগ পেয়েছি ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে সবসময় আওয়াজ তুলেছি। আওয়ামী লীগ শাসনামলে ১৯৯৭ সালে ইয়াসির আরাফাতের বাংলাদেশ সফরের কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

ফিলিস্তিনের ফাতাহ আন্দোলনের মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার নিঃশর্ত সমর্থন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আওয়াজ তোলার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করা দরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই উদ্দেশ্যে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। সেখানে খাদ্যের তীব্র সংকট বিরাজ করছে এবং মানুষ অনাহারে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন।

ফিলিস্তিনের ফাতাহ আন্দোলনের মহাসচিবকে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ছবি : ফোকাস বাংলা)

লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউব বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিই এই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ।

আরব দেশগুলোতে ৪০০ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করলেও তারা ঐক্যবদ্ধ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ঐক্যবদ্ধ হলে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন সহজেই বন্ধ হয়ে যাবে। আরব বিশ্বের শক্তি ও সম্পদ আছে, শুধু ঐক্যই ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধ বন্ধ না হলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক শান্তি কখনোই প্রতিষ্ঠিত হবে না। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দৃঢ় ভূমিকার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। ফিলিস্তিনের ফাতাহ আন্দোলনের মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একটি চিঠিও হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস

হককথা/নাছরিন