আগুনের শুরু ইলেকট্রিক কেটলি থেকে, তদন্তের দায়িত্ব পাচ্ছে সিআইডি
- প্রকাশের সময় : ০৩:৩০:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪
- / ৩৭ বার পঠিত
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনের সূত্রপাত হয় বহুতল ভবনটির নিচতলার চা চুমুক নামের দোকানের ইলেকট্রিক কেটলি থেকে। এ ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের মধ্যে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এ তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট এক পুলিশ কর্মকর্তা গতকাল সোমবার কালের কণ্ঠকে এ তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের মধ্যে ভবনটির নিচতলার চা চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা জানিয়েছেন।
মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পাচ্ছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুজন পুলিশকে জানান, ইলেকট্রিক কেটলিটিতে হঠাৎ আগুন ধরে গেলে তাঁরা দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে কিছুতেই আগুন নিভছিল না। এক পর্যায়ে পুরো দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, চায়ের দোকানসহ ভবনটির সাততলা পর্যন্ত থাকা খাবারের দোকানগুলোর রান্নাঘরে গ্যাসের চুলা ছিল। ভবনটির পেছনের উন্মুক্ত অংশে অনেক গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হয়। সেখান থেকে প্লাস্টিকের পাইপে রান্নাঘরের চুলায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়। গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকেও আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে।ভবনটিতে আটকে পড়া লোকজন কালো ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে মারা যায়।
রিমান্ড শেষে ৪ জন কারাগারে
পুলিশ জানায়, দুই দিনের রিমান্ড শেষে চারজনকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাঁদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জেইন উদ্দিন জিসান, চা চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন এবং গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁদের জামিন শুনানির জন্য মঙ্গলবার (আজ) দিন ধার্য করেন।
হাসপাতালে ভর্তি ৬ জন ‘ভালোর দিকে’
আহতদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ছয়জনের অবস্থা ‘ভালোর দিকে’ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গতকাল রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ডে আহত চারজন রোগী ভর্তি আছেন। তাঁরা হলেন রাকিব (২৫), মেহেদী হাসান (২২), সুমাইয়া আকতার (৩১) ও ফারদিন (১৮)।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক মেডিক্যাল সার্জন তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে ১৪ জন রোগী এসেছিল। চারজন রোগী এখন পর্যন্ত ভর্তি আছেন। তাঁরা সম্পূর্ণ সুস্থ হলেই আমরা ছাড়ব।’ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুবায়ের আহামেদ (২৫) ও ইকবাল হোসেন (২৩) নামের দুজন চিকিৎসাধীন। সেখানকার জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক আলাউদ্দিন জানান, তাঁরা সুস্থতার দিকে, অবজারভেশনে আছে। সূত্র : কালের কণ্ঠ
হককথা/নাছরিন