নিউইয়র্ক ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান ১০ মার্চ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৫৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪
  • / ৬৫ বার পঠিত

বঙ্গোপসাগরের ২৪ ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ১০ মার্চ আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করবে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।

তিনি বলেন, ২৪টি অফশোর ব্লকের জন্য অফার জমা দেওয়ার শেষ সময় সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ। এ বছরের শেষ নাগাদ চুক্তি চূড়ান্ত হবে। তিনি আরও বলেন, গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং শিল্প কারখানা চালু রাখতে সরবরাহের ঘাটতি কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

জনেন্দ্র নাথ বলেন, সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির বাইরে পেট্রোবাংলা আগের বছরের চেয়ে ২৩টি বাড়িয়ে এ বছর স্পট মার্কেট থেকে ৪৮টি এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) কার্গো আমদানি করার পরিকল্পনা করেছে। স্পট মার্কেট থেকে এপ্রিলে পাঁচটি কার্গো আমদানি করা হবে। এর আগে গত দুই মাসে সাতটি কার্গো আমদানি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে আমরা ২০২৫ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে দেশে ১০০টি নতুন গ্যাস কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছি। যদি গ্যাসের নতুন কোনো বড় মজুত আবিষ্কার না হয়, তাহলে বাংলাদেশের গ্যাসের মজুত ২০৩৩ সালের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে যাবে।’ পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, ‘সাম্প্রতিক ডলার সংকট একটি বৈশ্বিক সমস্যা। কিন্তু সরকার জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তাই এ খাতে কোনো বাধা থাকবে না।’

উল্লেখ্য, সমুদ্রসীমা নিয়ে প্রতিবেশী মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে ঢাকার বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের উপকূলের অনেকাংশ এখনো অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। ওএনজিসি ওভারসিজ লিমিটেড এবং অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে দুটি অগভীর জলের ব্লক অনুসন্ধানের চুক্তির পর সম্প্রতি সেখানে খনন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান ১০ মার্চ

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

বঙ্গোপসাগরের ২৪ ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ১০ মার্চ আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করবে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।

তিনি বলেন, ২৪টি অফশোর ব্লকের জন্য অফার জমা দেওয়ার শেষ সময় সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ। এ বছরের শেষ নাগাদ চুক্তি চূড়ান্ত হবে। তিনি আরও বলেন, গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং শিল্প কারখানা চালু রাখতে সরবরাহের ঘাটতি কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

জনেন্দ্র নাথ বলেন, সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির বাইরে পেট্রোবাংলা আগের বছরের চেয়ে ২৩টি বাড়িয়ে এ বছর স্পট মার্কেট থেকে ৪৮টি এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) কার্গো আমদানি করার পরিকল্পনা করেছে। স্পট মার্কেট থেকে এপ্রিলে পাঁচটি কার্গো আমদানি করা হবে। এর আগে গত দুই মাসে সাতটি কার্গো আমদানি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে আমরা ২০২৫ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে দেশে ১০০টি নতুন গ্যাস কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছি। যদি গ্যাসের নতুন কোনো বড় মজুত আবিষ্কার না হয়, তাহলে বাংলাদেশের গ্যাসের মজুত ২০৩৩ সালের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে যাবে।’ পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, ‘সাম্প্রতিক ডলার সংকট একটি বৈশ্বিক সমস্যা। কিন্তু সরকার জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তাই এ খাতে কোনো বাধা থাকবে না।’

উল্লেখ্য, সমুদ্রসীমা নিয়ে প্রতিবেশী মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে ঢাকার বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের উপকূলের অনেকাংশ এখনো অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। ওএনজিসি ওভারসিজ লিমিটেড এবং অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে দুটি অগভীর জলের ব্লক অনুসন্ধানের চুক্তির পর সম্প্রতি সেখানে খনন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক।