নিউইয়র্ক ১১:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘পড়াশোনায় পেছাচ্ছে শিক্ষার্থীরা’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:০৬:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • / ১২৯ বার পঠিত

কালের কণ্ঠের প্রধান খবর— পড়াশোনায় পেছাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা, শিক্ষকদের আন্দোলন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনসহ নানা কারণে পড়াশোনা থেকে পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া, সময়মতো বই দিতে না পারায় গত আড়াই মাসে সঠিকভাবে পড়াশোনা করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। বেসরকারি স্কুল-কলেজেও শিক্ষক সংকট প্রকট। এতে চলতি শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতির আশঙ্কা করছেন শিক্ষাবিদরা।

এদিকে, গত সাত মাসে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করাসহ নানা দাবিতে আন্দোলন জোরদার হয়। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের মধ্যে মারামারি, সংঘর্ষেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর বড় উদাহরণ। রাজধানীর সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনও বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করে। বর্তমানে ছোটখাটো দাবিতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের আন্দোলন করছেন। এমনকি যা আলোচনার টেবিলে সমাধান সম্ভব, সেগুলো নিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাইরে বিক্ষোভ করছেন, ক্লাস-পরীক্ষাও বন্ধ করছেন। শিক্ষার্থীরা এখন কথায় কথায় আন্দোলনে নেমে যাচ্ছেন, এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।

এছাড়া, বেতন-ভাতার দাবিতে গত সাত মাসে শ্রেণিকক্ষের চেয়ে আন্দোলনের মাঠেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন শিক্ষকরা। রাজধানীতে এমন কোনো শিক্ষক সংগঠন নেই, যারা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করেনি।

জুলাইয়ের নিপীড়কদের শাস্তি দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো— আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার পতন ঘটানো জুলাই আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। পাশাপাশি হামলায় উসকানি দেওয়া শিক্ষকেরাও শাস্তি পেতে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত তিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে চারশ শিক্ষার্থী ও নয়জন শিক্ষককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৮, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮৯ এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ১৯ জন শিক্ষার্থী।

এসব শিক্ষার্থীর বেশিরভাগই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। শুধু এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। এসব ঘটনাকে আমলে নিয়ে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ওই সময় (জুলাই-অগাস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে , তার বিচার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী করবে।

ভবন নির্মাণে শর্ত শিথিল হচ্ছে— দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম এটি। এই খবরে বলা হয়েছে, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু জটিল শর্ত শিথিল করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রণীত ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) সংশোধনী চূড়ান্ত করা হয়েছে।

সংশোধিত ড্যাপে সরকারি-বেসরকারি আবাসন, ব্লকভিত্তিক আবাসন, একত্রীভূত প্লটের মালিকদের কিছুটা ফ্লোর এরিয়া রেশিও (ফার) বাড়ানো হয়েছে। এতে আগের চেয়ে ভবনের প্রশস্ততা ও উচ্চতা বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আগের তুলনায় বেশি উচ্চতার ভবন নির্মাণের সুবিধা পাবেন ভূমিমালিকরা। সব মিলিয়ে কম জায়গায় বেশি মানুষের আবাসনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে সরকার। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে বলে জানিয়েছে দৈনিকটি।

উল্লেখ্য, ঢাকা শহরের জন্য বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (২০২২-৩৫) বা ড্যাপ ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট অনুমোদিত হয়। পরের বছরে কোনো ধরনের কারিগরি সুপারিশ ছাড়াই তা সংশোধন করা হয়।রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিদ্যমান ড্যাপকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ড্যাপ সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয় রাজউক।

খাদ্য আমদানি প্রয়োজন প্রায় ৮০ লাখ টন, হয়েছে ৪৮ লাখ— বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম এটি। এই খবরে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে অন্তত ৬৮ লাখ টন গম আমদানির প্রয়োজন পড়বে বলে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়।

এছাড়া, পরপর দুটি বন্যায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় দেশে চাল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ লাখ টন। সে হিসেবে রক্ষণশীলভাবে হিসাব করলেও চলতি অর্থবছরে সর্বমোট চাল ও গম আমদানির প্রয়োজন পড়ে ৮০ লাখ টনের বেশি।

তবে, গত ১৭ মার্চ পর্যন্ত দেশে খাদ্যশস্য দুটি আমদানির পরিমাণ ছিল ৪৮ লাখ টনের বেশি। এ অনুযায়ী অর্থবছরের বাকি তিন মাসে ৩২ লাখ টন অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে ১০ লাখ টনের বেশি খাদ্যশস্য আমদানি করতে হবে। বন্যায় উৎপাদন হ্রাসের প্রেক্ষাপটে বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং খোলাবাজারে চাল বিক্রিসহ সরকারের খাদ্যভিত্তিক সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলো নির্বিঘ্ন রাখতে এ পরিমাণ আমদানির বিকল্প নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গাজায় ফের ইসরাইলি হামলা, নিহত ৪১৩— আজ নয়া দিগন্তের প্রধান খবর এটি। এই খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজা উপত্যকায় ফের হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় অন্তত ৪১৩ জন ফিলিস্তিনির নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের বেশিরভাগই নারী, শিশু ও বয়স্ক নাগরিক। এছাড়া, হামলায় কিছু পরিবার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

গাজার উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং হামাসের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাহমুদ আবু ওয়াফাহ নিহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর গাজায় এটিই সবচেয়ে বড় বিমান হামলা। যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আলোচনা সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ার পরই এই হামলা শুরু হয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ মঙ্গলবার সকালে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র ফক্স নিউজকে বলেছেন, হামলা চালানোর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে আলোচনা করেছে ইসরায়েল। এদিকে, গাজায় তেল আবিবের হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম ও জাতিসংঘ।

10 banks in Bangladesh hold Tk 2.57 lakh crore in default loans, অর্থাৎ বাংলাদেশের ১০ ব্যাংকে খেলাপি ঋণ দুই দশমিক ৫৭ লাখ কোটি টাকা। ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের প্রধান শিরোনাম এটি।

এই খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে দশটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সম্মিলিতভাবে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দুই দশমিক ৫৭ লাখ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। যা দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণের প্রায় ৭৫ শতাংশ। খেলাপি ঋণের উদ্বেগজনক এ হার আর্থিক খাতের দুর্বলতাকেই তুলে ধরে, এমনটাই মনে করে বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, এই দশ ব্যাংকের মধ্যে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো জনতা, অগ্রণী, সোনালী ও রূপালী ব্যাংক। এগুলোতে চব্বিশের ডিসেম্বরের শেষে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ২৬ হাজার ৬২ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ জনতা ব্যাংকে। বাকি ছয়টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক যথাক্রমে ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি, আইএফআইসি ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ৩১ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা।

এদিকে, মাত্র এক বছরে দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দুই লাখ কোটি টাকা বেড়ে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ তিন দশমিক ৪৫ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

মুরগির রক্ত গায়ে মেখে প্রতারণা— মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ্যানচালক সম্রাট আকবর সবুজ ও তার বন্ধু মোহাম্মদ নূর আলম মুরগির রক্ত মাথায় ও গায়ে মেখে রাস্তায় শুয়ে ভিডিও তৈরি করেন এবং ছবি তোলেন। এসব ছবি জুলাই ফাউন্ডেশনে জমা দিয়ে তুলে নিয়েছেন অর্থ সহায়তা।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকেও আর্থিক সহায়তা বাগিয়েছেন একই ছবি দেখিয়ে। সম্প্রতি জুলাই ফাউন্ডেশনের তদন্তে ধরা পড়লো এই প্রতারণা। এমন অনেকে প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য বরাদ্দকৃত অনুদান তুলে নিচ্ছেন। ফাউন্ডেশনের তদন্তে তাদের অনেকে ধরাও পড়ছেন। এ পর্যন্ত অর্ধ শতাধিকেরও বেশি প্রতারণার ঘটনা ধরা পড়েছে। ধরা পড়াদের কেউ কেউ বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত দিয়েছেন। মামলার পর জেলে গেছেন ৩ জন। ইতোমধ্যে প্রতারণার মাধ্যমে যারা টাকা বাগিয়ে নিয়েছে, তাদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করে টাকা উদ্ধার করার কথা জানিয়েছেন জুলাই ফাউন্ডেশনের প্রধান ভেরিফিকেশন অফিসার মো. হারুন।

প্রথম আলোর দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম— মহাসড়কে প্রবাসীদের গাড়ি নিশানা করে ডাকাতি। এই খবরে বলা হয়েছে, প্রবাসীদের নিশানা করেই মহাসড়কে বেশি ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। যা সবচেয়ে বেশি ঘটছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। তার মধ্যে কুমিল্লায় সবচেয়ে বেশি ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।

এছাড়া যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানেও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। হাইওয়ে পুলিশ সূত্র বলছে, সম্প্রতি একাধিক ডাকাতির ঘটনার পর মহাসড়কে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত এক হাজার ৪৪৩ ডাকাতের একটি তালিকা করেছে পুলিশ। সেই তালিকা ধরে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়েছে। প্রবাসীদের গাড়ি ‘টার্গেট’ মহাসড়কগুলোতে যে ডাকাতির ঘটনাগুলো ঘটছে, তা বন্ধ করতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি প্রবাসী ‘হেল্প ডেস্ক’ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।

তারা বলছে, বিমানবন্দর থেকে প্রবাসীর বাড়ি পৌঁছা পর্যন্ত ওই গাড়ি নজরদারির মধ্যে রাখা হবে অ্যাপের মাধ্যমে। মহাসড়কে ডাকাতি রোধে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহাসড়কে নিয়মিত টহলের বাইরে ৭০০ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

বিএনপি, জামায়াতসহ ২৩ দলের মতামতের অপেক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন— সংবাদের প্রধান খবর এটি। এতে বলা হচ্ছে, রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদনে উল্লিখিত সুপারিশের ওপর মতামত দিতে ১৩ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে ৩৮টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

তবে, বিএনপি, জামায়াতসহ ২৩টি রাজনৈতিক দল এখনও মতামত জানায়নি। সবার মতামত পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছে একটি ‘জাতীয় সনদ’ তৈরির কথা জানিয়েছিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যেই দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। শুরুতেই আগামীকাল বৃহস্পতিবার ডাক পেয়েছে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি)।

জানা গেছে, বিএনপি, জামায়াতসহ আরও কয়েকটি দল ঈদের আগেই তাদের মতামত ঐকমত্য কমিশনে জমা দেবে। দলগুলোর সংশ্লিষ্ট নেতারা এ লক্ষ্যে একাধিক বৈঠকও করেছেন। এর মধ্যে, রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপি আওয়ামী লীগের আমলে যে ৩১ দফা ঘোষণা করেছিল, সে আলোকেই ঐকমত্য কমিশনের কাছে তাদের দলীয় অবস্থান তুলে ধরবে। সূত্র : আজকের পত্রিকা।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘পড়াশোনায় পেছাচ্ছে শিক্ষার্থীরা’

প্রকাশের সময় : ১২:০৬:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

কালের কণ্ঠের প্রধান খবর— পড়াশোনায় পেছাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা, শিক্ষকদের আন্দোলন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনসহ নানা কারণে পড়াশোনা থেকে পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া, সময়মতো বই দিতে না পারায় গত আড়াই মাসে সঠিকভাবে পড়াশোনা করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। বেসরকারি স্কুল-কলেজেও শিক্ষক সংকট প্রকট। এতে চলতি শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতির আশঙ্কা করছেন শিক্ষাবিদরা।

এদিকে, গত সাত মাসে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করাসহ নানা দাবিতে আন্দোলন জোরদার হয়। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের মধ্যে মারামারি, সংঘর্ষেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর বড় উদাহরণ। রাজধানীর সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনও বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করে। বর্তমানে ছোটখাটো দাবিতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের আন্দোলন করছেন। এমনকি যা আলোচনার টেবিলে সমাধান সম্ভব, সেগুলো নিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাইরে বিক্ষোভ করছেন, ক্লাস-পরীক্ষাও বন্ধ করছেন। শিক্ষার্থীরা এখন কথায় কথায় আন্দোলনে নেমে যাচ্ছেন, এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।

এছাড়া, বেতন-ভাতার দাবিতে গত সাত মাসে শ্রেণিকক্ষের চেয়ে আন্দোলনের মাঠেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন শিক্ষকরা। রাজধানীতে এমন কোনো শিক্ষক সংগঠন নেই, যারা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করেনি।

জুলাইয়ের নিপীড়কদের শাস্তি দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো— আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার পতন ঘটানো জুলাই আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। পাশাপাশি হামলায় উসকানি দেওয়া শিক্ষকেরাও শাস্তি পেতে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত তিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে চারশ শিক্ষার্থী ও নয়জন শিক্ষককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৮, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮৯ এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ১৯ জন শিক্ষার্থী।

এসব শিক্ষার্থীর বেশিরভাগই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। শুধু এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। এসব ঘটনাকে আমলে নিয়ে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ওই সময় (জুলাই-অগাস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে , তার বিচার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী করবে।

ভবন নির্মাণে শর্ত শিথিল হচ্ছে— দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম এটি। এই খবরে বলা হয়েছে, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু জটিল শর্ত শিথিল করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রণীত ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) সংশোধনী চূড়ান্ত করা হয়েছে।

সংশোধিত ড্যাপে সরকারি-বেসরকারি আবাসন, ব্লকভিত্তিক আবাসন, একত্রীভূত প্লটের মালিকদের কিছুটা ফ্লোর এরিয়া রেশিও (ফার) বাড়ানো হয়েছে। এতে আগের চেয়ে ভবনের প্রশস্ততা ও উচ্চতা বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আগের তুলনায় বেশি উচ্চতার ভবন নির্মাণের সুবিধা পাবেন ভূমিমালিকরা। সব মিলিয়ে কম জায়গায় বেশি মানুষের আবাসনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে সরকার। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে বলে জানিয়েছে দৈনিকটি।

উল্লেখ্য, ঢাকা শহরের জন্য বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (২০২২-৩৫) বা ড্যাপ ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট অনুমোদিত হয়। পরের বছরে কোনো ধরনের কারিগরি সুপারিশ ছাড়াই তা সংশোধন করা হয়।রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিদ্যমান ড্যাপকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ড্যাপ সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয় রাজউক।

খাদ্য আমদানি প্রয়োজন প্রায় ৮০ লাখ টন, হয়েছে ৪৮ লাখ— বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম এটি। এই খবরে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে অন্তত ৬৮ লাখ টন গম আমদানির প্রয়োজন পড়বে বলে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়।

এছাড়া, পরপর দুটি বন্যায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় দেশে চাল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ লাখ টন। সে হিসেবে রক্ষণশীলভাবে হিসাব করলেও চলতি অর্থবছরে সর্বমোট চাল ও গম আমদানির প্রয়োজন পড়ে ৮০ লাখ টনের বেশি।

তবে, গত ১৭ মার্চ পর্যন্ত দেশে খাদ্যশস্য দুটি আমদানির পরিমাণ ছিল ৪৮ লাখ টনের বেশি। এ অনুযায়ী অর্থবছরের বাকি তিন মাসে ৩২ লাখ টন অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে ১০ লাখ টনের বেশি খাদ্যশস্য আমদানি করতে হবে। বন্যায় উৎপাদন হ্রাসের প্রেক্ষাপটে বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং খোলাবাজারে চাল বিক্রিসহ সরকারের খাদ্যভিত্তিক সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলো নির্বিঘ্ন রাখতে এ পরিমাণ আমদানির বিকল্প নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গাজায় ফের ইসরাইলি হামলা, নিহত ৪১৩— আজ নয়া দিগন্তের প্রধান খবর এটি। এই খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজা উপত্যকায় ফের হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় অন্তত ৪১৩ জন ফিলিস্তিনির নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের বেশিরভাগই নারী, শিশু ও বয়স্ক নাগরিক। এছাড়া, হামলায় কিছু পরিবার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

গাজার উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং হামাসের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাহমুদ আবু ওয়াফাহ নিহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর গাজায় এটিই সবচেয়ে বড় বিমান হামলা। যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আলোচনা সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ার পরই এই হামলা শুরু হয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ মঙ্গলবার সকালে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র ফক্স নিউজকে বলেছেন, হামলা চালানোর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে আলোচনা করেছে ইসরায়েল। এদিকে, গাজায় তেল আবিবের হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম ও জাতিসংঘ।

10 banks in Bangladesh hold Tk 2.57 lakh crore in default loans, অর্থাৎ বাংলাদেশের ১০ ব্যাংকে খেলাপি ঋণ দুই দশমিক ৫৭ লাখ কোটি টাকা। ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের প্রধান শিরোনাম এটি।

এই খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে দশটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সম্মিলিতভাবে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দুই দশমিক ৫৭ লাখ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। যা দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণের প্রায় ৭৫ শতাংশ। খেলাপি ঋণের উদ্বেগজনক এ হার আর্থিক খাতের দুর্বলতাকেই তুলে ধরে, এমনটাই মনে করে বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, এই দশ ব্যাংকের মধ্যে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো জনতা, অগ্রণী, সোনালী ও রূপালী ব্যাংক। এগুলোতে চব্বিশের ডিসেম্বরের শেষে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ২৬ হাজার ৬২ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ জনতা ব্যাংকে। বাকি ছয়টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক যথাক্রমে ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি, আইএফআইসি ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ৩১ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা।

এদিকে, মাত্র এক বছরে দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দুই লাখ কোটি টাকা বেড়ে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ তিন দশমিক ৪৫ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

মুরগির রক্ত গায়ে মেখে প্রতারণা— মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ্যানচালক সম্রাট আকবর সবুজ ও তার বন্ধু মোহাম্মদ নূর আলম মুরগির রক্ত মাথায় ও গায়ে মেখে রাস্তায় শুয়ে ভিডিও তৈরি করেন এবং ছবি তোলেন। এসব ছবি জুলাই ফাউন্ডেশনে জমা দিয়ে তুলে নিয়েছেন অর্থ সহায়তা।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকেও আর্থিক সহায়তা বাগিয়েছেন একই ছবি দেখিয়ে। সম্প্রতি জুলাই ফাউন্ডেশনের তদন্তে ধরা পড়লো এই প্রতারণা। এমন অনেকে প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য বরাদ্দকৃত অনুদান তুলে নিচ্ছেন। ফাউন্ডেশনের তদন্তে তাদের অনেকে ধরাও পড়ছেন। এ পর্যন্ত অর্ধ শতাধিকেরও বেশি প্রতারণার ঘটনা ধরা পড়েছে। ধরা পড়াদের কেউ কেউ বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত দিয়েছেন। মামলার পর জেলে গেছেন ৩ জন। ইতোমধ্যে প্রতারণার মাধ্যমে যারা টাকা বাগিয়ে নিয়েছে, তাদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করে টাকা উদ্ধার করার কথা জানিয়েছেন জুলাই ফাউন্ডেশনের প্রধান ভেরিফিকেশন অফিসার মো. হারুন।

প্রথম আলোর দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম— মহাসড়কে প্রবাসীদের গাড়ি নিশানা করে ডাকাতি। এই খবরে বলা হয়েছে, প্রবাসীদের নিশানা করেই মহাসড়কে বেশি ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। যা সবচেয়ে বেশি ঘটছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। তার মধ্যে কুমিল্লায় সবচেয়ে বেশি ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।

এছাড়া যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানেও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। হাইওয়ে পুলিশ সূত্র বলছে, সম্প্রতি একাধিক ডাকাতির ঘটনার পর মহাসড়কে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত এক হাজার ৪৪৩ ডাকাতের একটি তালিকা করেছে পুলিশ। সেই তালিকা ধরে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়েছে। প্রবাসীদের গাড়ি ‘টার্গেট’ মহাসড়কগুলোতে যে ডাকাতির ঘটনাগুলো ঘটছে, তা বন্ধ করতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি প্রবাসী ‘হেল্প ডেস্ক’ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।

তারা বলছে, বিমানবন্দর থেকে প্রবাসীর বাড়ি পৌঁছা পর্যন্ত ওই গাড়ি নজরদারির মধ্যে রাখা হবে অ্যাপের মাধ্যমে। মহাসড়কে ডাকাতি রোধে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহাসড়কে নিয়মিত টহলের বাইরে ৭০০ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

বিএনপি, জামায়াতসহ ২৩ দলের মতামতের অপেক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন— সংবাদের প্রধান খবর এটি। এতে বলা হচ্ছে, রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদনে উল্লিখিত সুপারিশের ওপর মতামত দিতে ১৩ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে ৩৮টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

তবে, বিএনপি, জামায়াতসহ ২৩টি রাজনৈতিক দল এখনও মতামত জানায়নি। সবার মতামত পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছে একটি ‘জাতীয় সনদ’ তৈরির কথা জানিয়েছিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যেই দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। শুরুতেই আগামীকাল বৃহস্পতিবার ডাক পেয়েছে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি)।

জানা গেছে, বিএনপি, জামায়াতসহ আরও কয়েকটি দল ঈদের আগেই তাদের মতামত ঐকমত্য কমিশনে জমা দেবে। দলগুলোর সংশ্লিষ্ট নেতারা এ লক্ষ্যে একাধিক বৈঠকও করেছেন। এর মধ্যে, রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপি আওয়ামী লীগের আমলে যে ৩১ দফা ঘোষণা করেছিল, সে আলোকেই ঐকমত্য কমিশনের কাছে তাদের দলীয় অবস্থান তুলে ধরবে। সূত্র : আজকের পত্রিকা।