নিউইয়র্ক ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

টানা চতুর্থবার স্পিকার হলেন শিরীন শারমিন চৌধুরী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১৬৪ বার পঠিত

শপথ পড়ছেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ ডেস্ক : টানা চতুর্থবারের মতো জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বৈঠকে শিরীন শারমিন চৌধুরীকে স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু সভাপতিত্বে সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। এ সময় শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ওবায়দুল কাদের। সমর্থন করেন সংসদের চিফ হুইপ নুর ই আলম চৌধুরী।

স্পিকার হিসেবে একমাত্র শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব আসে। আর কোন নাম না থাকায় কার্যপ্রণালী বিধির ৮ ধারা অনুযায়ী ডেপুটি স্পিকার প্রস্তাবটি ভোটে দেন এবং সর্বসম্মতিক্রমে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়। স্পিকার নির্বাচনের পর অধিবেশন ২০ মিনিট বিরতি দেয়া হয়।

সংসদ অধিবেশনের বিরতিতে চতুর্থবার স্পিকার হিসেবে শপথ নেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। স্পিকার নির্বাচনের সময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরসহ সরকারি ও বিরোধী দলের প্রায় সব সংসদ সদস্য অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।

১৯৬৬ সালের ৬ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। তার বাবা রফিকউল্লাহ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব ছিলেন। তার মা অধ্যাপক নাইয়ার সুলতানা বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সদস্য ছিলেন। তার নানা সিকান্দার আলী ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি। শিরীন শারমিনের স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসেন ওষুধ শিল্পের পরামর্শক। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

১৯৮৯ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) এবং ১৯৯০ সালে প্রথম স্থানে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন শিরীন শারমিন। ২০০০ সালে এসেক্স ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেন। ১৯৯২ সালে বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন শিরীন। ১৯৯৪ সালে হাইকোর্ট বিভাগ ও ২০০৮ সালে আপিল বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হন। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আইনজীবীদের একজন তিনি।

২০০৯ সালে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য হিসেবে যাত্রা শুরু শিরীন শারমিন চৌধুরীর। এরপর তাকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৩ সালে ৩০ এপ্রিল শিরীন শারমিন দেশের প্রথম নারী স্পিকার নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছেড়ে দেওয়া রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসন থেকে উপ-নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসেন স্পিকার শিরীন শারমিন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনেও শেখ হাসিনা তার শ্বশুরবাড়ির এলাকা পীরগঞ্জের আসনটি শিরীন শারমিনকে ছেড়ে দেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও এ আসনে শিরীন শারমিনকে নৌকার প্রার্থী করেন শেখ হাসিনা। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

টানা চতুর্থবার স্পিকার হলেন শিরীন শারমিন চৌধুরী

প্রকাশের সময় : ০৬:১৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ ডেস্ক : টানা চতুর্থবারের মতো জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বৈঠকে শিরীন শারমিন চৌধুরীকে স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু সভাপতিত্বে সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। এ সময় শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ওবায়দুল কাদের। সমর্থন করেন সংসদের চিফ হুইপ নুর ই আলম চৌধুরী।

স্পিকার হিসেবে একমাত্র শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব আসে। আর কোন নাম না থাকায় কার্যপ্রণালী বিধির ৮ ধারা অনুযায়ী ডেপুটি স্পিকার প্রস্তাবটি ভোটে দেন এবং সর্বসম্মতিক্রমে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়। স্পিকার নির্বাচনের পর অধিবেশন ২০ মিনিট বিরতি দেয়া হয়।

সংসদ অধিবেশনের বিরতিতে চতুর্থবার স্পিকার হিসেবে শপথ নেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। স্পিকার নির্বাচনের সময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরসহ সরকারি ও বিরোধী দলের প্রায় সব সংসদ সদস্য অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।

১৯৬৬ সালের ৬ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। তার বাবা রফিকউল্লাহ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব ছিলেন। তার মা অধ্যাপক নাইয়ার সুলতানা বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সদস্য ছিলেন। তার নানা সিকান্দার আলী ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি। শিরীন শারমিনের স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসেন ওষুধ শিল্পের পরামর্শক। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

১৯৮৯ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) এবং ১৯৯০ সালে প্রথম স্থানে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন শিরীন শারমিন। ২০০০ সালে এসেক্স ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেন। ১৯৯২ সালে বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন শিরীন। ১৯৯৪ সালে হাইকোর্ট বিভাগ ও ২০০৮ সালে আপিল বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হন। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আইনজীবীদের একজন তিনি।

২০০৯ সালে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য হিসেবে যাত্রা শুরু শিরীন শারমিন চৌধুরীর। এরপর তাকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৩ সালে ৩০ এপ্রিল শিরীন শারমিন দেশের প্রথম নারী স্পিকার নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছেড়ে দেওয়া রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসন থেকে উপ-নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসেন স্পিকার শিরীন শারমিন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনেও শেখ হাসিনা তার শ্বশুরবাড়ির এলাকা পীরগঞ্জের আসনটি শিরীন শারমিনকে ছেড়ে দেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও এ আসনে শিরীন শারমিনকে নৌকার প্রার্থী করেন শেখ হাসিনা। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
হককথা/নাছরিন