নিউইয়র্ক ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সম্পদের হিসাব দেওয়ার নিয়ম বাতিলে দুর্নীতি উৎসাহিত হবে: টিআইবি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৬:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
  • / ৫৬ বার পঠিত

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা সংশোধন করে সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা বাতিল হলে দুর্নীতি উৎসাহিত হবে বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ১৯৭৯ সালের বিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগে উদ্বেগ প্রকাশ করে মঙ্গলবার সংস্থাটির একটি বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।

এতে টিআইবিরি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এ উদ্যোগের ফলে দেশের প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারীকে জবাবদিহি থেকে দায়মুক্তির পাশাপাশি দুর্নীতিতে উৎসাহিত করা হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিধিমালার প্রস্তাবিত সংশোধনী সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা ঘোষণার বিপরীত। প্রথমে প্রতি বছর সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও সরকারি কর্মচারীদের অনীহায় শিথিল করে পাঁচ বছর পরপর হিসাব দেওয়ার বিধান করা হয়। এটিও সঠিকভাবে পালনে অনাগ্রহ ছিল। চাকরির শুরুতে সম্পদের বিবরণী দিলেও, পাঁচ বছর পরপর হিসাব হালনাগাদের বাধ্যবাধকতা গুরুত্বই দেন না সরকারি কর্মচারীরা।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান না থাকলে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে নির্ভয়ে দুর্নীতি বাড়বে। সম্পদের হিসাব না দিয়ে বার্ষিক আয়কর রিটার্ন নেওয়ার যুক্তি বাস্তবে অর্থহীন। কারণ, আয়কর আইন অনুযায়ী তা সম্ভব নয়। আইনের ৩০৯(২) এবং ৩০৯(৩) ধারা অনুযায়ী, কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো সরকারি কর্মচারীকে এই আইনের অধীনে কোনো ট্যাক্স রিটার্ন, অ্যাকাউন্ট বা নথি উপস্থাপন, সাক্ষ্য বা প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপনের আদেশ দিতে পারে না। অর্থাৎ বৈধ আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কোনো ব্যক্তির আয়কর বিবরণী আদালতের নির্দেশ ছাড়া দুদক দেখতে পারবে না। ফলে বিধিমালা সংশোধনে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মচারীরা নতুন সুরক্ষা লাভ করবে.

২০০৩ সালে গৃহীত জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী সনদে জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব প্রতি বছর দাখিল ও তার বছরভিত্তিক পর্যালোচনার কথা বলা হয়েছে। ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলে একই অঙ্গীকার রয়েছে। বিধিমালা সংশোধন হলে বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী অঙ্গীকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে আরও এক দফা প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে জানিয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। সূত্র : সমকাল

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সম্পদের হিসাব দেওয়ার নিয়ম বাতিলে দুর্নীতি উৎসাহিত হবে: টিআইবি

প্রকাশের সময় : ০৬:১৬:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা সংশোধন করে সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা বাতিল হলে দুর্নীতি উৎসাহিত হবে বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ১৯৭৯ সালের বিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগে উদ্বেগ প্রকাশ করে মঙ্গলবার সংস্থাটির একটি বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।

এতে টিআইবিরি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এ উদ্যোগের ফলে দেশের প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারীকে জবাবদিহি থেকে দায়মুক্তির পাশাপাশি দুর্নীতিতে উৎসাহিত করা হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিধিমালার প্রস্তাবিত সংশোধনী সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা ঘোষণার বিপরীত। প্রথমে প্রতি বছর সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও সরকারি কর্মচারীদের অনীহায় শিথিল করে পাঁচ বছর পরপর হিসাব দেওয়ার বিধান করা হয়। এটিও সঠিকভাবে পালনে অনাগ্রহ ছিল। চাকরির শুরুতে সম্পদের বিবরণী দিলেও, পাঁচ বছর পরপর হিসাব হালনাগাদের বাধ্যবাধকতা গুরুত্বই দেন না সরকারি কর্মচারীরা।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান না থাকলে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে নির্ভয়ে দুর্নীতি বাড়বে। সম্পদের হিসাব না দিয়ে বার্ষিক আয়কর রিটার্ন নেওয়ার যুক্তি বাস্তবে অর্থহীন। কারণ, আয়কর আইন অনুযায়ী তা সম্ভব নয়। আইনের ৩০৯(২) এবং ৩০৯(৩) ধারা অনুযায়ী, কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো সরকারি কর্মচারীকে এই আইনের অধীনে কোনো ট্যাক্স রিটার্ন, অ্যাকাউন্ট বা নথি উপস্থাপন, সাক্ষ্য বা প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপনের আদেশ দিতে পারে না। অর্থাৎ বৈধ আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কোনো ব্যক্তির আয়কর বিবরণী আদালতের নির্দেশ ছাড়া দুদক দেখতে পারবে না। ফলে বিধিমালা সংশোধনে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মচারীরা নতুন সুরক্ষা লাভ করবে.

২০০৩ সালে গৃহীত জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী সনদে জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব প্রতি বছর দাখিল ও তার বছরভিত্তিক পর্যালোচনার কথা বলা হয়েছে। ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলে একই অঙ্গীকার রয়েছে। বিধিমালা সংশোধন হলে বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী অঙ্গীকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে আরও এক দফা প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে জানিয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। সূত্র : সমকাল

হককথা/নাছরিন