নিউইয়র্ক ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জলদস্যুদের কবলে জিম্মি সাব্বিরের পরিবারের দিন কাটছে আতঙ্কে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪৭:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
  • / ৮৯ বার পঠিত

ভারত মহাসাগড়ে জলদস্যুদের কবলে এমভি আব্দুল্লাহ নামক পণ্য বহনকারী জাহাজের ২৩ জন নাবিকের মধ্যে রয়েছেন টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সাব্বির হোসেন। তার জিম্মির খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পরেছেন বাবা, মা, বোনসহ আত্বীয়জ্বন ও এলাকাবাসী।

সাব্বির টাঙ্গাইলের কাগমারি এম এম আলী কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এইচএসএসসি পাস করে ভর্তি হন চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। ২০২২ সালের জুন মাসে এমভি আব্দুল্লাহ নামক পণ্য বহনকারী একটি জাহাজে মার্চেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরী নেন। একমাত্র ছেলের জিম্মির খবর শুনে বাবা হারুন অর রশিদ আর মা সালেহা বেগম বুক চাপড়িয়ে কাঁদছেন আর বিলাপ করছেন। একমাত্র বোন মিতু আক্তার ভাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছেন।

তিনি বলেন, আমার ভাই সোমবার বিকেলে ফেসবুকে আপলোড দিয়েছে যে বিষুব রেখা অতিক্রম করলাম। মাথা ন্যাড়া করে ছবি আপলোড করেছে। এক মাস আগে সে বাড়ি এসেছিল। একদিন থেকেই সে চলে গেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

মিতু আরও বলেন, এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর পেয়ে সবাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। বাবা মা খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তারা শুধু কেঁদেই চলছে আর বলছে আমার ছেলেকে এনে দাও। আমার একমাত্র ভাইয়ের কিছু হলে বাবা মাকে বাঁচানো যাবেনা। অতি দ্রুত আমার ভাইকে মুক্ত করে আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

নাগরপুর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা রেজা মো: গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার সাব্বিরের পরিবারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে। সাব্বিরসহ সকল জিম্মিদের যাতে দ্রুত উদ্ধার করা হয় সে বিষয়ে সরকারের উর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করা হয়েছে। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

জলদস্যুদের কবলে জিম্মি সাব্বিরের পরিবারের দিন কাটছে আতঙ্কে

প্রকাশের সময় : ১০:৪৭:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

ভারত মহাসাগড়ে জলদস্যুদের কবলে এমভি আব্দুল্লাহ নামক পণ্য বহনকারী জাহাজের ২৩ জন নাবিকের মধ্যে রয়েছেন টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সাব্বির হোসেন। তার জিম্মির খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পরেছেন বাবা, মা, বোনসহ আত্বীয়জ্বন ও এলাকাবাসী।

সাব্বির টাঙ্গাইলের কাগমারি এম এম আলী কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এইচএসএসসি পাস করে ভর্তি হন চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। ২০২২ সালের জুন মাসে এমভি আব্দুল্লাহ নামক পণ্য বহনকারী একটি জাহাজে মার্চেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরী নেন। একমাত্র ছেলের জিম্মির খবর শুনে বাবা হারুন অর রশিদ আর মা সালেহা বেগম বুক চাপড়িয়ে কাঁদছেন আর বিলাপ করছেন। একমাত্র বোন মিতু আক্তার ভাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছেন।

তিনি বলেন, আমার ভাই সোমবার বিকেলে ফেসবুকে আপলোড দিয়েছে যে বিষুব রেখা অতিক্রম করলাম। মাথা ন্যাড়া করে ছবি আপলোড করেছে। এক মাস আগে সে বাড়ি এসেছিল। একদিন থেকেই সে চলে গেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

মিতু আরও বলেন, এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর পেয়ে সবাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। বাবা মা খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তারা শুধু কেঁদেই চলছে আর বলছে আমার ছেলেকে এনে দাও। আমার একমাত্র ভাইয়ের কিছু হলে বাবা মাকে বাঁচানো যাবেনা। অতি দ্রুত আমার ভাইকে মুক্ত করে আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

নাগরপুর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা রেজা মো: গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার সাব্বিরের পরিবারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে। সাব্বিরসহ সকল জিম্মিদের যাতে দ্রুত উদ্ধার করা হয় সে বিষয়ে সরকারের উর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করা হয়েছে। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক।