নিউইয়র্ক ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

দেশে ফেরা নিয়ে সন্দিহান রোহিঙ্গারা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩৬:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১৭২ বার পঠিত

মিয়ানমারে ক্ষমতা বদল হলে, আদৌ নিজ দেশে ফিরতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান রোহিঙ্গারা। তারা বলছেন, এখন যে আরাকান বাহিনী জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়ছে, রোহিঙ্গাদের দেশত্যাগের পেছনে তাদেরও ভূমিকা ছিলো। আর আরাকানরা সব নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীকেই স্বীকৃতি দেয়ার কথা বললেও বিশ্বাস করতে পারছে না রোহিঙ্গারা।

সব দিক দিয়েই এখন কোণঠাসা মিয়ানমারের জান্তা সরকার। একের পর এক এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে দেশটির সেনা সরকার। নিশ্চিত তথ্য পাওয়া না গেলেও, বলা হচ্ছে আরাকানের বেশির এলাকাই এখন বিদ্রোহী আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে।

জান্তা সরকারের নির্যাতন আর গণহত্যার মুখে দেশত্যাগী রোহিঙ্গারা এই পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছেন? এবার কি তারা সসম্মানে নিজ মাতৃভূমিতে ফিরতে পারবেন?

রোহিঙ্গা নেতা ও সাধারণেরা বলছেন, তারা আরাকান আর্মিকেও বিশ্বাস করেন না। কারণ আরাকান আর্মির বেশিরভাগ সদস্যই রাখাইন জাতি গোষ্ঠীর সদস্য। অভিযোগ আছে রাখাইনরাই রোহিঙ্গাদের বেশি নির্যাতন করেছিলো। তাদের ভিটে মাটি দখলে নিয়েছিলো।

কেউ কেউ এখনও সুচির নেতৃত্বাধীন এনইউজি এর ওপর বিশ্বাসী। কিন্তু কেউ কেউ বলছেন তখন সুচিও রোহিঙ্গাদের দূরে ঠেলেছেন। গণহত্যা অস্বীকার করেছেন। সুচির এন ইউ জি সরকারে কোন রোহিঙ্গা প্রতিনিধিত্ব না রাখাও এই অবিশ্বাসের কারণ।

তবে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের এমন করুন পরিস্থিতি ও সেনাদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়াকে রোহিঙ্গারা প্রকৃতির প্রতিশোধ হিসেবেই মানছেন। মিয়ানমারের সরকার বিরোধী জোট রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার যে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, সেটির লিখিত দলিল চান রোহিঙ্গারা। সূত্র : একাত্তর টিভি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

দেশে ফেরা নিয়ে সন্দিহান রোহিঙ্গারা

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৬:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মিয়ানমারে ক্ষমতা বদল হলে, আদৌ নিজ দেশে ফিরতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান রোহিঙ্গারা। তারা বলছেন, এখন যে আরাকান বাহিনী জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়ছে, রোহিঙ্গাদের দেশত্যাগের পেছনে তাদেরও ভূমিকা ছিলো। আর আরাকানরা সব নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীকেই স্বীকৃতি দেয়ার কথা বললেও বিশ্বাস করতে পারছে না রোহিঙ্গারা।

সব দিক দিয়েই এখন কোণঠাসা মিয়ানমারের জান্তা সরকার। একের পর এক এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে দেশটির সেনা সরকার। নিশ্চিত তথ্য পাওয়া না গেলেও, বলা হচ্ছে আরাকানের বেশির এলাকাই এখন বিদ্রোহী আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে।

জান্তা সরকারের নির্যাতন আর গণহত্যার মুখে দেশত্যাগী রোহিঙ্গারা এই পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছেন? এবার কি তারা সসম্মানে নিজ মাতৃভূমিতে ফিরতে পারবেন?

রোহিঙ্গা নেতা ও সাধারণেরা বলছেন, তারা আরাকান আর্মিকেও বিশ্বাস করেন না। কারণ আরাকান আর্মির বেশিরভাগ সদস্যই রাখাইন জাতি গোষ্ঠীর সদস্য। অভিযোগ আছে রাখাইনরাই রোহিঙ্গাদের বেশি নির্যাতন করেছিলো। তাদের ভিটে মাটি দখলে নিয়েছিলো।

কেউ কেউ এখনও সুচির নেতৃত্বাধীন এনইউজি এর ওপর বিশ্বাসী। কিন্তু কেউ কেউ বলছেন তখন সুচিও রোহিঙ্গাদের দূরে ঠেলেছেন। গণহত্যা অস্বীকার করেছেন। সুচির এন ইউ জি সরকারে কোন রোহিঙ্গা প্রতিনিধিত্ব না রাখাও এই অবিশ্বাসের কারণ।

তবে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের এমন করুন পরিস্থিতি ও সেনাদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়াকে রোহিঙ্গারা প্রকৃতির প্রতিশোধ হিসেবেই মানছেন। মিয়ানমারের সরকার বিরোধী জোট রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার যে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, সেটির লিখিত দলিল চান রোহিঙ্গারা। সূত্র : একাত্তর টিভি।