এক মাসের ব্যবধানে সড়কে ২৩ শতাংশ মৃত্যু বেড়েছে
- প্রকাশের সময় : ০৩:১৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
- / ৭৪ বার পঠিত
জানুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭২ জন নিহত হয়েছিল। প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছিল ১৫.২২ জন। ফেব্রুয়ারি মাসে নিহত হয়েছে ৫৪৪ জন। প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছে ১৮.৭৫ জন। এই হিসাবে জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে প্রাণহানি বেড়েছে ২৩.১৯ শতাংশ।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত মাসিক সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এই সময়ে চারটি নৌ দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছে। ৩৪টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত এবং ৬৬ জন আহত হয়েছে।
বুধবার (১৩ মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত খবরের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৮৩টি। এতে নিহত হয়েছে ৫৪৪ জন এবং আহত ৮৬৭ জন। এ ছাড়া ১৮৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২০৬ জন, যা মোট নিহতের ৩৭.৮৬ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩২.০৭ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১০৯ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২০.০৩ শতাংশ।
দুর্ঘটনার প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১২৬টি দুর্ঘটনা এবং ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম ২৭টি দুর্ঘটনায় ১৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। একক জেলা হিসেবে ময়মনসিংহ জেলায় সবচেয়ে বেশি ৩৪টি দুর্ঘটনায় ৩৯ জন নিহত হয়েছে। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে লক্ষ্মীপুর, ঝালকাঠি ও সুনামগঞ্জ জেলায়। আটটি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। রাজধানী ঢাকায় ১৭টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত এবং ২৮ জন আহত হয়েছে।
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী ২০৬ জন, বাসযাত্রী ২৩ জন, ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৪১ জন, প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুল্যান্স আরোহী ১৬ জন, তিন চাকার যানের যাত্রী ১১১ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী ২৪ জন, বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশা ভ্যান আরোহী ১৪ জন নিহত হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৭৩টি জাতীয় মহাসড়কে, ২৩৪টি আঞ্চলিক সড়কে, ৯৩টি গ্রামীণ সড়কে, ৭২টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ১১টি সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৯৭টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৭৮টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১১৩টি পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৮১টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৪টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে। সূত্র : কালের কণ্ঠ।