নিউইয়র্ক ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিরোধী দলের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি কোনো দল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২৭:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৭৫ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি কোনো দল। ভারত সহ গণতান্ত্রিক বিশ্বের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী সংসদের মোট আসনের ১০ ভাগ আসন পেলে কোনো দল বিরোধীদের মর্যাদা পায় না। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের সিদ্ধান্ত এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অভিমত অনুযায়ী কমপক্ষে ২৫টি আসন না পেলে কোনো দল বিরোধী দল হতে পারবে না। এর ফলে ১৯৭৩ সালের ১ম এবং ১৯৯৬ সালের ষষ্ট সংসদের পর এই প্রথম কোনো বিরোধী সংসদে না থাকার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ওই দুটি সংসদেও কোনো বিরোধী দল ছিল না।

১৯৭৩ সালের ১ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একাই পেয়েছিল ২৯৩টি আসন। আর বিরোধী ছোট ছোট কয়েকটি দল মিলে পেয়েছিল বাকি সাতটি আসন। সে সময় এসব দল যৌথভাবে বাংলাদেশ জাতীয় লীগের আতাউর রহমান খানকে তাদের নেতা উল্লেখ করে বিরোধী দলের নেতার মর্যাদা দেয়ার জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন জানান। সে সময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বিরোধী দলের এই আবেদনের বিষয়ে আপত্তি জানান। তিনি গণতান্ত্রিক বিশ্বের রীতিনীতি অনুযায়ী অভিমত দেন সংসদে বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে একটি রাজনৈতিক দলকে অবশ্যই ২৫টি আসনে বিজয়ী হতে হবে।

না হলে তাদেরকে পার্লামেন্টারি গ্রুপ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে কিন্তু কোনোভাবে বিরোধী দল নয়। বঙ্গবন্ধুর এই অভিমত গ্রহণ করেন সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ উল্লাহ। তিনি বিরোধী দলের আবেদন নাকচ করে দেন।
১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির ষষ্ট জাতীয় সংসদেও কোনো বিরোধী দল ছিল না। মাত্র ১২ দিন স্থায়ী সংসদে ফ্রিডম পার্টির ১ জন এবং ১০ জন স্বতন্ত্র সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফলে ওই সংসদে বিরোধী দল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি কোনো দল। দীর্ঘদিন ধরে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার অনুসরণ করছে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারত।

১৯৫২ সালের প্রথম লোকসভা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত প্রচলিত বা প্রথাগত নিয়ম হলো, কোনো দলকে বিরোধী দলনেতার যোগ্যতা অর্জন করতে হলে তাকে লোকসভার মোট ৫৪৩টি আসনের এক-দশমাংশ, অর্থাৎ ৫৪টি আসন পেতে হবে। কিন্তু ভারতে ২০১৯ সালের লোকসভার নির্বাচনে কংগ্রেস মাত্র ৪৪টি আসন পায়। যে কারণে লোকসভায় বিরোধী দলের মর্যাদা পায়নি জাতীয় দল কংগ্রেস।
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পর জাতীয় পার্টি দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ট দল। দলটি ১১টি আসন পেয়েছে। এ ছাড়া জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি এবং কল্যাণ পার্টি ১টি করে মোট ৩টি আসন পেয়েছে। এই চারটি দলের মিলিত আসন হচ্ছে ১৪টি। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর অভিমত এবং ১৯৭৩ সালের সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্বাদশ সংসদে কোনো রাজনৈতিক দল বিরোধী দলের মর্যাদা এবং নেতা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে সংসদে একটি কার্যকর বিরোধী দল থাকা উচিত। আমাদের দেশে বিগত কয়েকটি সংসদে অনুগত বিরোধী দল, গৃহপালিত বিরোধী দল এবং একই সঙ্গে সরকারে এবং বিরোধী দলে অবস্থান নেয়া বিরোধী দল দেখা গেছে। কোনো গণতান্ত্রিক চর্চা বিকশিত করার ক্ষেত্রে এদের কোনো ভূমিকা থাকে না। সূত্র : মানবজমিন

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বিরোধী দলের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি কোনো দল

প্রকাশের সময় : ০৮:২৭:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি কোনো দল। ভারত সহ গণতান্ত্রিক বিশ্বের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী সংসদের মোট আসনের ১০ ভাগ আসন পেলে কোনো দল বিরোধীদের মর্যাদা পায় না। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের সিদ্ধান্ত এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অভিমত অনুযায়ী কমপক্ষে ২৫টি আসন না পেলে কোনো দল বিরোধী দল হতে পারবে না। এর ফলে ১৯৭৩ সালের ১ম এবং ১৯৯৬ সালের ষষ্ট সংসদের পর এই প্রথম কোনো বিরোধী সংসদে না থাকার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ওই দুটি সংসদেও কোনো বিরোধী দল ছিল না।

১৯৭৩ সালের ১ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একাই পেয়েছিল ২৯৩টি আসন। আর বিরোধী ছোট ছোট কয়েকটি দল মিলে পেয়েছিল বাকি সাতটি আসন। সে সময় এসব দল যৌথভাবে বাংলাদেশ জাতীয় লীগের আতাউর রহমান খানকে তাদের নেতা উল্লেখ করে বিরোধী দলের নেতার মর্যাদা দেয়ার জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন জানান। সে সময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বিরোধী দলের এই আবেদনের বিষয়ে আপত্তি জানান। তিনি গণতান্ত্রিক বিশ্বের রীতিনীতি অনুযায়ী অভিমত দেন সংসদে বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে একটি রাজনৈতিক দলকে অবশ্যই ২৫টি আসনে বিজয়ী হতে হবে।

না হলে তাদেরকে পার্লামেন্টারি গ্রুপ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে কিন্তু কোনোভাবে বিরোধী দল নয়। বঙ্গবন্ধুর এই অভিমত গ্রহণ করেন সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ উল্লাহ। তিনি বিরোধী দলের আবেদন নাকচ করে দেন।
১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির ষষ্ট জাতীয় সংসদেও কোনো বিরোধী দল ছিল না। মাত্র ১২ দিন স্থায়ী সংসদে ফ্রিডম পার্টির ১ জন এবং ১০ জন স্বতন্ত্র সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফলে ওই সংসদে বিরোধী দল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি কোনো দল। দীর্ঘদিন ধরে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার অনুসরণ করছে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারত।

১৯৫২ সালের প্রথম লোকসভা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত প্রচলিত বা প্রথাগত নিয়ম হলো, কোনো দলকে বিরোধী দলনেতার যোগ্যতা অর্জন করতে হলে তাকে লোকসভার মোট ৫৪৩টি আসনের এক-দশমাংশ, অর্থাৎ ৫৪টি আসন পেতে হবে। কিন্তু ভারতে ২০১৯ সালের লোকসভার নির্বাচনে কংগ্রেস মাত্র ৪৪টি আসন পায়। যে কারণে লোকসভায় বিরোধী দলের মর্যাদা পায়নি জাতীয় দল কংগ্রেস।
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পর জাতীয় পার্টি দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ট দল। দলটি ১১টি আসন পেয়েছে। এ ছাড়া জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি এবং কল্যাণ পার্টি ১টি করে মোট ৩টি আসন পেয়েছে। এই চারটি দলের মিলিত আসন হচ্ছে ১৪টি। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর অভিমত এবং ১৯৭৩ সালের সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্বাদশ সংসদে কোনো রাজনৈতিক দল বিরোধী দলের মর্যাদা এবং নেতা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে সংসদে একটি কার্যকর বিরোধী দল থাকা উচিত। আমাদের দেশে বিগত কয়েকটি সংসদে অনুগত বিরোধী দল, গৃহপালিত বিরোধী দল এবং একই সঙ্গে সরকারে এবং বিরোধী দলে অবস্থান নেয়া বিরোধী দল দেখা গেছে। কোনো গণতান্ত্রিক চর্চা বিকশিত করার ক্ষেত্রে এদের কোনো ভূমিকা থাকে না। সূত্র : মানবজমিন

হককথা/নাছরিন