নিউইয়র্ক ০২:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মিয়ানমার থেকে মর্টার শেল পড়ল বাংলাদেশে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:০১:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১ বার পঠিত

মিয়ানমার থেকে মর্টারশেল এসে পড়ছে বাংলাদেশে। ছবি : আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি চলছে। মিয়ানমারের মর্টার শেল এসে পড়ছে বাংলাদেশে। এমন পরিস্থিতিতে ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের পাঁচটি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ত্রিরতন চাকমা বলেন, ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমার অংশে বেশ কিছুদিন ধরে গোলাগুলি হচ্ছে। এতে এ সীমান্তের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে গত ২২ জানুয়ারি আর আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ভয়াবহ অবস্থা। শিক্ষার্থীরা ভয় পাচ্ছিল। অভিভাবক মহলের আকুতি এবং শিক্ষকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা অফিসারের অনুমতি নিয়ে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়।’

স্কুলগুলো হলো—ঘুমধুম, তুমব্রু, তুমব্রু পশ্চিমকুল, ভাজাবুনিয়া ও বাইশফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে স্কুলগুলো বন্ধ করা হয়।

বন্ধ হওয়া ভাজাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছৈয়দুর রহমান হীরা বলেন, ‘অবস্থা বেগতিক দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সোমবার ১১টার পর স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়।’

মিয়ানমার থেকে মর্টারশেল এসে পড়ছে বাংলাদেশে। ছবি : আজকের পত্রিকা

স্থানীয় সরওয়ার আলম, আলী আকবর ও ছৈয়দ আরম বলেন, ‘সোমবার ভোররাতে গোলাগুলি শুরু হয়। দুপুর নাগাদ থেমে চলে চলছিল। একটি মর্টারশেল এসে পড়ে তুমব্রু পশ্চিম কূলের ছৈয়দ হোসেনের ছেলে বাহাদুর উল্লাহর বাড়িতে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি মর্টারশেল বাংলাদেশ অংশের ঝোপঝাড়ে পড়ার পর লোকজন ছোটাছুটি করতে থাকে নিরাপদ আশ্রয়ে।’

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘গত ২২ জানুয়ারির চেয়ে আরও ভয়াবহ অবস্থা। মূলত তুমব্রু কোনারপাড়ার অদূরের টিলা থেকে বিদ্রোহী আরকান আর্মি তুমব্রু রাইট ক্যাম্পে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে মর্টার শেল নিক্ষেপ করছিল। পক্ষান্তরে তারাও মর্টারশেল নিক্ষেপ করে। এভাবে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। যা থেকে মর্টারশেল এসে পড়ে তুমব্রু পশ্চিম কূলে।’

এ বিষয়ে ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ওপারে যাই হোক, এপারে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। এপারে লোকজন নিরাপদ আছে। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।

এদিকে সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিজিবির মহাপরিচালক নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু বিওপি এলাকা পরিদর্শন করেন গতকাল রোববার দুপুর সোয়া ২টায়। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান সফরসঙ্গীসহ সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

এ সময় তিনি সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হন। আর বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীদের দিক নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন তিনি। সূত্র : আজকের পত্রিকা

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মিয়ানমার থেকে মর্টার শেল পড়ল বাংলাদেশে

প্রকাশের সময় : ০৬:০১:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি চলছে। মিয়ানমারের মর্টার শেল এসে পড়ছে বাংলাদেশে। এমন পরিস্থিতিতে ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের পাঁচটি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ত্রিরতন চাকমা বলেন, ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমার অংশে বেশ কিছুদিন ধরে গোলাগুলি হচ্ছে। এতে এ সীমান্তের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে গত ২২ জানুয়ারি আর আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ভয়াবহ অবস্থা। শিক্ষার্থীরা ভয় পাচ্ছিল। অভিভাবক মহলের আকুতি এবং শিক্ষকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা অফিসারের অনুমতি নিয়ে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়।’

স্কুলগুলো হলো—ঘুমধুম, তুমব্রু, তুমব্রু পশ্চিমকুল, ভাজাবুনিয়া ও বাইশফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে স্কুলগুলো বন্ধ করা হয়।

বন্ধ হওয়া ভাজাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছৈয়দুর রহমান হীরা বলেন, ‘অবস্থা বেগতিক দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সোমবার ১১টার পর স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়।’

মিয়ানমার থেকে মর্টারশেল এসে পড়ছে বাংলাদেশে। ছবি : আজকের পত্রিকা

স্থানীয় সরওয়ার আলম, আলী আকবর ও ছৈয়দ আরম বলেন, ‘সোমবার ভোররাতে গোলাগুলি শুরু হয়। দুপুর নাগাদ থেমে চলে চলছিল। একটি মর্টারশেল এসে পড়ে তুমব্রু পশ্চিম কূলের ছৈয়দ হোসেনের ছেলে বাহাদুর উল্লাহর বাড়িতে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি মর্টারশেল বাংলাদেশ অংশের ঝোপঝাড়ে পড়ার পর লোকজন ছোটাছুটি করতে থাকে নিরাপদ আশ্রয়ে।’

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘গত ২২ জানুয়ারির চেয়ে আরও ভয়াবহ অবস্থা। মূলত তুমব্রু কোনারপাড়ার অদূরের টিলা থেকে বিদ্রোহী আরকান আর্মি তুমব্রু রাইট ক্যাম্পে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে মর্টার শেল নিক্ষেপ করছিল। পক্ষান্তরে তারাও মর্টারশেল নিক্ষেপ করে। এভাবে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। যা থেকে মর্টারশেল এসে পড়ে তুমব্রু পশ্চিম কূলে।’

এ বিষয়ে ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ওপারে যাই হোক, এপারে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। এপারে লোকজন নিরাপদ আছে। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।

এদিকে সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিজিবির মহাপরিচালক নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু বিওপি এলাকা পরিদর্শন করেন গতকাল রোববার দুপুর সোয়া ২টায়। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান সফরসঙ্গীসহ সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

এ সময় তিনি সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হন। আর বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীদের দিক নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন তিনি। সূত্র : আজকের পত্রিকা

হককথা/নাছরিন