মুক্তি পেলেন মির্জা ফখরুল ও আমির খসরু
- প্রকাশের সময় : ০৬:০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৬১ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটি সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা ৪৫ মিনিট কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তারা মুক্তি পান। দলের দুই শীর্ষ নেতাই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন পেয়েছেন।
আগের দিন বুধবার এ মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুকে জামিন দেন আদালত। ২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে তিন মাস কারাগারে ছিলেন মির্জা ফখরুল। আর ২ নভেম্বর থেকে কারাগারে ছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের বিএনপির এই দুই নেতার জামিন মঞ্জুর করেন।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ সমকালকে জানিয়েছিলেন, অন্য সব মামলায় আগেই জামিন হয়েছে। এখন বিএনপি মহাসচিবের মুক্তি পেতে আইনগত কোনো বাধা নেই। আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মো. আসাদুজ্জামান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ। আসামিদের অসুস্থতা, বয়স ও সামাজিক মর্যাদা বিবেচনা করে জামিনের প্রার্থনা করেন তারা। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে ২৮ অক্টোবর এবং এরপরের সংঘর্ষ ও সহিংসতাকে কেন্দ্র করে ১১টি মামলা হয়। এর আগে ১০টিতে তিনি জামিন পেয়েছিলেন আগেই। অন্যদিকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। এর আগে তিনি ৯টি মামলায় তিনি জামিন পান।
সর্বশেষ ১৭ জানুয়ারি রাজধানীর পল্টন থানায় হওয়া একটি মামলায় জামিন পান মির্জা ফখরুল। এর আগে ১০ জানুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে ৯টি মামলায় জামিন পান তিনি। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় এর আগে এই দুই জ্যেষ্ঠ নেতার জামিনের আবেদন কয়েক দফা নামঞ্জুর হয়। হাইকোর্টও মির্জা ফখরুলকে জামিন নাকচ করেন। সর্বশেষ ৬ ফেব্রুয়ারি তাদের দুইজনের পক্ষে জামিন আবেদন করলে শুনানির জন্য ১৪ ফেব্রুযারি দিন ধার্য রেখেছিলেন আদালত।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর দলের অনেক সিনিয়র নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুরু হয় সারাদেশে অভিযান। ওই সমাবেশকে কেন্দ্র করে টানা হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি। সূত্র : সমকাল
হককথা/নাছরিন