নিউইয়র্ক ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘বিরোধী দল খোঁজার’ নির্বাচন হচ্ছে: সাখাওয়াত হোসেন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৫১ বার পঠিত

ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ: নির্বাচন, অর্থনীতি এবং বহিঃসম্পর্ক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এম সাখাওয়াত হোসেনছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

বাংলাদেশ ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘বিরোধী দল খোঁজার’ প্রক্রিয়া বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ‘সিট (আসন) ভিক্ষা করার রাজনীতি চলছে। ২৬ দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, তাদের ১৩টি দলের নামও কেউ বলতে পারবে না। আসন ভাগাভাগির পর সরকারি দলের ২৪০ আসন নিশ্চিত।’

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ: নির্বাচন, অর্থনীতি এবং বহিঃসম্পর্ক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে সাখাওয়াত হোসেন এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে অংশ নেন সাবেক আমলা, কূটনীতিবিদ, সাবেক গভর্নর, অর্থনীতিবিদ, মানবাধিকারকর্মী, নির্বাচনবিশেষজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা।

ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ: নির্বাচন, অর্থনীতি এবং বহিঃসম্পর্ক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে নূরুল কবিরছবি: শুভ্র কান্তি দাশ  ’

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ‘নতুন সংজ্ঞা’ তৈরি করা হচ্ছে বলে মনে করেন সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলতে চাচ্ছেন, জনগণ অংশগ্রহণ করলেই অংশগ্রহণমূলক। তাহলে স্বৈরশাসকদের সময়ের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেন? অংশগ্রহণমূলক মানে যারা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে, প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করতে পারবে, সেসব দলের অংশগ্রহণ।’

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘যে দলই এসেছে, তারা ব্যবস্থাকে দুর্নীতিগ্রস্ত করেছে। ৫ শতাংশ ভোট পড়ছে, তা অন্তত ১৫ শতাংশ দেখানো হচ্ছে। ভোট পড়ার যে হার, তা বিশ্বাসযোগ্য কি না।’ সবকিছু ঠিক থাকলেও আগামী নির্বাচনে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি হবেন কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।

এই নির্বাচনের পর দেশের রাজনীতি হারিয়ে যাবে বলে মনে করেন সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাজনীতি আর দেশে থাকবে না। উদার গণতন্ত্রের কথা ভুলে যেতে হবে, বিশেষায়িত গণতন্ত্রে প্রবেশ করব।’

ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ: নির্বাচন, অর্থনীতি এবং বহিঃসম্পর্ক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তরাছবি : প্রথম আলো

‘সরকারি দলের হারার সুযোগ নেই’
আগামী নির্বাচনে সরকারি দলের হারার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন নিউএজের সম্পাদক নূরুল কবির। তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পদক্ষেপ সুষ্ঠু নির্বাচন। গত ৫২ বছরে এ পদক্ষেপই নেওয়া যায়নি। অসাধু ব্যবসায়ী, অসাধু রাজনীতিবিদ ও আমলারা মিলে একটি চক্র তৈরি করেছেন। এই চক্র ভাঙা ছাড়া পথ নেই।

সরকার মানুষের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে একদলীয় নির্বাচন করতে যাচ্ছে বলে মনে করেন নূরুল কবির। তিনি বলেন, ‘ভারত, রাশিয়া ও চীন সমর্থন দিচ্ছে। তাদের কাছ থেকে আমরা অর্জিত আয় দিয়ে পণ্য ক্রয় করি। ইউরোপ, আমেরিকায় পণ্য রপ্তানি করে আয় করি। এক জায়গায় আমরা খরচ করি, আরেক অঞ্চল থেকে আয় করি। স্বার্থ কোন দিকে বেশি, সেই অর্থনৈতিক অঙ্কও হিসাব করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিজিএসের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান। সূত্র : প্রথম আলো

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘বিরোধী দল খোঁজার’ নির্বাচন হচ্ছে: সাখাওয়াত হোসেন

প্রকাশের সময় : ০৫:০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘বিরোধী দল খোঁজার’ প্রক্রিয়া বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ‘সিট (আসন) ভিক্ষা করার রাজনীতি চলছে। ২৬ দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, তাদের ১৩টি দলের নামও কেউ বলতে পারবে না। আসন ভাগাভাগির পর সরকারি দলের ২৪০ আসন নিশ্চিত।’

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ: নির্বাচন, অর্থনীতি এবং বহিঃসম্পর্ক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে সাখাওয়াত হোসেন এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে অংশ নেন সাবেক আমলা, কূটনীতিবিদ, সাবেক গভর্নর, অর্থনীতিবিদ, মানবাধিকারকর্মী, নির্বাচনবিশেষজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা।

ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ: নির্বাচন, অর্থনীতি এবং বহিঃসম্পর্ক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে নূরুল কবিরছবি: শুভ্র কান্তি দাশ  ’

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ‘নতুন সংজ্ঞা’ তৈরি করা হচ্ছে বলে মনে করেন সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলতে চাচ্ছেন, জনগণ অংশগ্রহণ করলেই অংশগ্রহণমূলক। তাহলে স্বৈরশাসকদের সময়ের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেন? অংশগ্রহণমূলক মানে যারা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে, প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করতে পারবে, সেসব দলের অংশগ্রহণ।’

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘যে দলই এসেছে, তারা ব্যবস্থাকে দুর্নীতিগ্রস্ত করেছে। ৫ শতাংশ ভোট পড়ছে, তা অন্তত ১৫ শতাংশ দেখানো হচ্ছে। ভোট পড়ার যে হার, তা বিশ্বাসযোগ্য কি না।’ সবকিছু ঠিক থাকলেও আগামী নির্বাচনে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি হবেন কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।

এই নির্বাচনের পর দেশের রাজনীতি হারিয়ে যাবে বলে মনে করেন সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাজনীতি আর দেশে থাকবে না। উদার গণতন্ত্রের কথা ভুলে যেতে হবে, বিশেষায়িত গণতন্ত্রে প্রবেশ করব।’

ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ: নির্বাচন, অর্থনীতি এবং বহিঃসম্পর্ক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তরাছবি : প্রথম আলো

‘সরকারি দলের হারার সুযোগ নেই’
আগামী নির্বাচনে সরকারি দলের হারার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন নিউএজের সম্পাদক নূরুল কবির। তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পদক্ষেপ সুষ্ঠু নির্বাচন। গত ৫২ বছরে এ পদক্ষেপই নেওয়া যায়নি। অসাধু ব্যবসায়ী, অসাধু রাজনীতিবিদ ও আমলারা মিলে একটি চক্র তৈরি করেছেন। এই চক্র ভাঙা ছাড়া পথ নেই।

সরকার মানুষের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে একদলীয় নির্বাচন করতে যাচ্ছে বলে মনে করেন নূরুল কবির। তিনি বলেন, ‘ভারত, রাশিয়া ও চীন সমর্থন দিচ্ছে। তাদের কাছ থেকে আমরা অর্জিত আয় দিয়ে পণ্য ক্রয় করি। ইউরোপ, আমেরিকায় পণ্য রপ্তানি করে আয় করি। এক জায়গায় আমরা খরচ করি, আরেক অঞ্চল থেকে আয় করি। স্বার্থ কোন দিকে বেশি, সেই অর্থনৈতিক অঙ্কও হিসাব করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিজিএসের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান। সূত্র : প্রথম আলো

হককথা/নাছরিন