নিউইয়র্ক ০২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের কাছে ২২ জন সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানের চিঠি

ইউএনএ,নিউইয়র্ক
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৪৪ বার পঠিত

বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনী ব্লিঙ্কেনের কাছে চিঠি দিয়েছেন ইউএস সিনেট ও কংগ্রেসের ২২জন প্রভাবশালী সদস্য। চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক এবং জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে তারা বাংলাদেশে হত্যা ও চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানানো হয়েছে। খবর ইউএনএ’র।

শুক্রবার (২ আগষ্ট) দেয়া যৌথ চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ৭জন সিনেটর এবং ১৫জন কংগ্রেস সদস্য রয়েছেন। স্বাক্ষরকারীরা হচ্ছেন- সিনেটর এডওয়ার্ড জে মার্কি, শ্রীস ভ্যান হোলেন, রিচার্ড জে দুর্বিন, টামি বাল্ডউইন, টীম কাইনি ও ক্রিস্টোফার এম মারফি, কংগ্রেস সদস্যদের মধ্যে রয়েছন যথাক্রমে জেমস পি ম্যাকগোভার্ন, গ্রেস মেং, সেথ মুলটন, জেমস সি মইল্যান, উইলিয়াম আর কেন্টিং, লরি ত্রাহান, জো উইলসন, জেরাল্ড ই কন্নোলি, আলেকজেন্ডার ওকাসিও কর্টেজ, নেডিয়া এম ভেলাজকুইজ, বারবারা লী, দিনা টিটাস, গ্যাবে অ্যামো, ইলহান ওমর ও ড্যানিয়ের টি কিলডি।কংগ্রেসের উভয় কক্ষের আইনপ্রণেতাদের লেখা এ চিঠি ম্যাসাচুসেটসের ডেমোক্র্যাট সিনেটর এডওয়ার্ড জে মার্কি তাঁর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে শুক্রবার (২ আগষ্ট)  প্রকাশ করেছেন। এ চিঠি লেখায় নেতৃত্বদানকারী আইনপ্রণেতাদের মধ্যে এডওয়ার্ড জে মার্কি ছাড়াও আছেন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্য জিম ম্যাকগভার্ন ও বিল কিটিং।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় দেশজুড়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীন দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সংঘটিত হতে থাকার ওপরই আলোকপাত করেছে এসব ঘটনা।
আইনপ্রণেতারা লেখেন, ‘বাংলাদেশ সরকার এমন সব পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণœ করছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে- জানুয়ারীতে ব্যাপকভাবে ত্রæটিপূর্ণ নির্বাচনের আয়োজন করা, শ্রমবিধির উন্নয়ন ঘটাতে ব্যর্থ হওয়া। এ ছাড়া আছে, অতিসম্প্রতি গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে সহিংস পন্থায় বিক্ষোভ দমন ও ইন্টারনেট পরিষেবা প্রায় পুরোপুরি বন্ধ করার ঘটনা।’
আইনপ্রণেতারা লেখেন, ‘বাংলাদেশ সরকার এমন সব পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে- জানুয়ারীতে ব্যাপকভাবে ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের আয়োজন করা, শ্রমবিধির উন্নয়ন ঘটাতে ব্যর্থ হওয়া। এ ছাড়া আছে, অতিসম্প্রতি গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে সহিংস পন্থায় বিক্ষোভ দমন ও ইন্টারনেট পরিষেবা প্রায় পুরোপুরি বন্ধ করার ঘটনা।’
আইনপ্রণেতারা আরও বলেছেন, ‘এ উদ্বেগজনক ও চলমান প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আশা করি, দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কে অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের যে ভিত্তি রয়েছে, তা সমুন্নত রাখতে আপনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নেতৃত্ব দেবেন। যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানাতে হবে, গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে; যেমন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার, জনগণের বিরুদ্ধে উল্লেখিত নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে পদক্ষেপ নিতে হবে। উপরন্তু বাংলাদেশে গণতন্ত্রের আরও অবনতি ঠেকাতে অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে, যাতে দেশটিতে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় মানুষের অধিকারকে সমর্থন দেওয়া যায়, যে সরকার মানবাধিকার সমুন্নত রাখবে ও নাগরিকদের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে।’

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের কাছে ২২ জন সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানের চিঠি

প্রকাশের সময় : ০১:৫৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনী ব্লিঙ্কেনের কাছে চিঠি দিয়েছেন ইউএস সিনেট ও কংগ্রেসের ২২জন প্রভাবশালী সদস্য। চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক এবং জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে তারা বাংলাদেশে হত্যা ও চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানানো হয়েছে। খবর ইউএনএ’র।

শুক্রবার (২ আগষ্ট) দেয়া যৌথ চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ৭জন সিনেটর এবং ১৫জন কংগ্রেস সদস্য রয়েছেন। স্বাক্ষরকারীরা হচ্ছেন- সিনেটর এডওয়ার্ড জে মার্কি, শ্রীস ভ্যান হোলেন, রিচার্ড জে দুর্বিন, টামি বাল্ডউইন, টীম কাইনি ও ক্রিস্টোফার এম মারফি, কংগ্রেস সদস্যদের মধ্যে রয়েছন যথাক্রমে জেমস পি ম্যাকগোভার্ন, গ্রেস মেং, সেথ মুলটন, জেমস সি মইল্যান, উইলিয়াম আর কেন্টিং, লরি ত্রাহান, জো উইলসন, জেরাল্ড ই কন্নোলি, আলেকজেন্ডার ওকাসিও কর্টেজ, নেডিয়া এম ভেলাজকুইজ, বারবারা লী, দিনা টিটাস, গ্যাবে অ্যামো, ইলহান ওমর ও ড্যানিয়ের টি কিলডি।কংগ্রেসের উভয় কক্ষের আইনপ্রণেতাদের লেখা এ চিঠি ম্যাসাচুসেটসের ডেমোক্র্যাট সিনেটর এডওয়ার্ড জে মার্কি তাঁর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে শুক্রবার (২ আগষ্ট)  প্রকাশ করেছেন। এ চিঠি লেখায় নেতৃত্বদানকারী আইনপ্রণেতাদের মধ্যে এডওয়ার্ড জে মার্কি ছাড়াও আছেন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্য জিম ম্যাকগভার্ন ও বিল কিটিং।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় দেশজুড়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীন দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সংঘটিত হতে থাকার ওপরই আলোকপাত করেছে এসব ঘটনা।
আইনপ্রণেতারা লেখেন, ‘বাংলাদেশ সরকার এমন সব পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণœ করছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে- জানুয়ারীতে ব্যাপকভাবে ত্রæটিপূর্ণ নির্বাচনের আয়োজন করা, শ্রমবিধির উন্নয়ন ঘটাতে ব্যর্থ হওয়া। এ ছাড়া আছে, অতিসম্প্রতি গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে সহিংস পন্থায় বিক্ষোভ দমন ও ইন্টারনেট পরিষেবা প্রায় পুরোপুরি বন্ধ করার ঘটনা।’
আইনপ্রণেতারা লেখেন, ‘বাংলাদেশ সরকার এমন সব পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে- জানুয়ারীতে ব্যাপকভাবে ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের আয়োজন করা, শ্রমবিধির উন্নয়ন ঘটাতে ব্যর্থ হওয়া। এ ছাড়া আছে, অতিসম্প্রতি গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে সহিংস পন্থায় বিক্ষোভ দমন ও ইন্টারনেট পরিষেবা প্রায় পুরোপুরি বন্ধ করার ঘটনা।’
আইনপ্রণেতারা আরও বলেছেন, ‘এ উদ্বেগজনক ও চলমান প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আশা করি, দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কে অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের যে ভিত্তি রয়েছে, তা সমুন্নত রাখতে আপনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নেতৃত্ব দেবেন। যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানাতে হবে, গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে; যেমন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার, জনগণের বিরুদ্ধে উল্লেখিত নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে পদক্ষেপ নিতে হবে। উপরন্তু বাংলাদেশে গণতন্ত্রের আরও অবনতি ঠেকাতে অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে, যাতে দেশটিতে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় মানুষের অধিকারকে সমর্থন দেওয়া যায়, যে সরকার মানবাধিকার সমুন্নত রাখবে ও নাগরিকদের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে।’