সিভাসুতে গৌতম বুদ্ধ দাশের সময়ে বৈষম্যের শিকার খোদেজা আক্তার
মুসলিম তাই চাকরি হয়নি!

- প্রকাশের সময় : ১২:৫২:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৯৫ বার পঠিত
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ^বিদ্যালয়ে (সিভাসু) তিন দফা চাকরির আবেদন করে লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ‘মুসলিম হওয়ায়’ নিয়োগ পাননি চাকরিপ্রার্থী খোদেজা আক্তার। তার অভিযোগ, তৎকালীন ভিসি গৌতম বুদ্ধ দাশের অযাচিত হস্তক্ষেপে চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, বিএনপির সমর্থক হওয়ার অভিযোগে তার স্বামী সিভাসুর কর্মী জুয়েল মোহাম্মদ বিল্লালকে আট বছর সাময়িক বরখাস্ত করে রাখেন ওই ভিসি।
খোদেজা আক্তার জানান, বিগত ২০১৪ সালে সিভাসুর ভিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশীভূত হয়ে তিনি তার স্বামী ও তার ওপর অমানবিক জুলুম করেছেন। তিনি ছিলেন তার পরিবারের জন্য রীতিমত আতঙ্ক। খোদেজা আক্তার তার ওপর অমানবিক বৈষম্যের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে গণতদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান, সিভাসুর বর্তমান ভিসি এবং বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে ন্যায়বিচার চেয়ে আবেদন করেছেন।
আবেদনে তিনি জানান, বিগত ২০১০ সালে তিনি সিভাসুতে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরির আবেদন করেন। এরপর তিনি লিখিত ও কম্পিউটার টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। উত্তীর্ণদের তালিকায় শীর্ষে ছিল তার নাম। কিন্তু তার বাড়ি চট্টগ্রাম বিভাগে এবং তার স্বামী বিএনপির সমর্থিত হওয়ায় ভিসি তাকে নিয়োগ থেকে বঞ্চিত করেন। বিষয়টি তিনি প্রকাশ্যে সভায় স্বীকারও করেন।
এরপর ২০১২ সালে সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন। এবারও তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন কিন্তু তাকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এরপর তৃতীয় দফায় ২০১৩ সালে কাজ নাই মজুরি নাই ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন তিনি। ওই নিয়োগ পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হন খোদেজা আক্তার। কিন্তু ওই পদেও তাকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এসব নিয়োগ পরীক্ষায় নিয়ম ভেঙে অনেককে নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ সব পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হওয়ার পরও বঞ্চিত হন তিনি।
এর মধ্যে তার স্বামী জুয়েল মোহাম্মদ বিল্লালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিএনপি সমর্থিত। বিশ^বিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির নির্বাচিত নেতা হওয়ায় তিনি দলবাজ এ ভিসির রোষানলে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে ভিসি গৌতম বুদ্ধ তার সময়ে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, নেতাদের সুপারিশে অতিরিক্ত কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিতদের কাউকে চাকরিচ্যুত এবং কাউকে সাময়িক বরখাস্ত করে রাখেন। জুলাই বিপ্লবের পর খোদেজা আক্তারের স্বামী চাকরি ফেরত পাওয়ার আবেদন করেছেন। দুই সন্তানের জননী খোদেজা আক্তারের প্রত্যাশা এবার ন্যায়বিচার পাবেন। নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও তাকে চাকরি দেওয়া হয়নি এখন তিনি তা ফেরত পাবেন। সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব।