নিউইয়র্ক ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

১২ বছরে এসেও কেন বিচার দাবি করতে হচ্ছে, প্রশ্ন সাংবাদিকদের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৫৪:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১১৫ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পূর্ণ হয়েছে আজ। আলোচিত এ হত্যার ইতোমধ্যে ১১ বছর পেরিয়ে গেছে। ১২ বছরে এসেও তাদের হত্যার বিচার দাবিতে আজও প্রতিবাদ সমাবেশ করতে হচ্ছে সাংবাদিকদের। তাদের প্রশ্ন কেন এখনও বিচার কাজ শুরু হয়নি? কেন বিচার চেয়ে আন্দোলন করতে হচ্ছে।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) প্রাঙ্গণে সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন সাংবাদিকরা।

প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিকরা বলেন, বছর ঘুরে আবারও সেই ১১ ফেব্রুয়ারি আজ। ২০১২ সালের এদিন ভোরে আমাদের প্রিয় দুই সহকর্মী সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নির্মমভাবে খুন হয়েছিলেন। এবার এই হত্যাকাণ্ডের ১২তম বার্ষিকী। ১১ বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু প্রকৃত হত্যাকারীদের এখনো শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়নি। বিচার প্রক্রিয়াও থমকে আছে। নিষ্ঠুর এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে ডিআরইউসহ গোটা সাংবাদিক সমাজ আজও সোচ্চার।

তারা বলেন, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে, কিন্তু এক যুগ পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত এটার বিচার আমরা পায়নি। বিচার পাওয়া তো দূরের কথা এক যুগে তদন্ত কাজও শেষ হয়নি। বিচার পেতে আরও কত বছর লাগবে আমরা তা ধারণা করতেও পারি না। আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় আছি যেই দিন তদন্ত শেষে বিচার আমরা পাবো। বিচার পাওয়ার দাবিতে আমরা সব ধরনের আন্দোলন করেছি, কিন্তু কোনো কূল কিনারা পাওয়া যায়নি এখনো। তবুও আমরা অপেক্ষায় থাকতে চাই কিন্তু সাগর-রুনির হত্যার বিচার হতেই হবে।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। সাগর সে সময় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে এবং রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন।

এই হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পূর্ণ হয়েছে আজ। এত বছরেও হত্যাকাণ্ডের কারণ জানাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার তারিখ এখন পর্যন্ত ১০৫ বার পিছিয়েছে।সূত্র : ঢাকা পোস্ট

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

১২ বছরে এসেও কেন বিচার দাবি করতে হচ্ছে, প্রশ্ন সাংবাদিকদের

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৪:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ ডেস্ক : সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পূর্ণ হয়েছে আজ। আলোচিত এ হত্যার ইতোমধ্যে ১১ বছর পেরিয়ে গেছে। ১২ বছরে এসেও তাদের হত্যার বিচার দাবিতে আজও প্রতিবাদ সমাবেশ করতে হচ্ছে সাংবাদিকদের। তাদের প্রশ্ন কেন এখনও বিচার কাজ শুরু হয়নি? কেন বিচার চেয়ে আন্দোলন করতে হচ্ছে।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) প্রাঙ্গণে সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন সাংবাদিকরা।

প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিকরা বলেন, বছর ঘুরে আবারও সেই ১১ ফেব্রুয়ারি আজ। ২০১২ সালের এদিন ভোরে আমাদের প্রিয় দুই সহকর্মী সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নির্মমভাবে খুন হয়েছিলেন। এবার এই হত্যাকাণ্ডের ১২তম বার্ষিকী। ১১ বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু প্রকৃত হত্যাকারীদের এখনো শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়নি। বিচার প্রক্রিয়াও থমকে আছে। নিষ্ঠুর এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে ডিআরইউসহ গোটা সাংবাদিক সমাজ আজও সোচ্চার।

তারা বলেন, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে, কিন্তু এক যুগ পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত এটার বিচার আমরা পায়নি। বিচার পাওয়া তো দূরের কথা এক যুগে তদন্ত কাজও শেষ হয়নি। বিচার পেতে আরও কত বছর লাগবে আমরা তা ধারণা করতেও পারি না। আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় আছি যেই দিন তদন্ত শেষে বিচার আমরা পাবো। বিচার পাওয়ার দাবিতে আমরা সব ধরনের আন্দোলন করেছি, কিন্তু কোনো কূল কিনারা পাওয়া যায়নি এখনো। তবুও আমরা অপেক্ষায় থাকতে চাই কিন্তু সাগর-রুনির হত্যার বিচার হতেই হবে।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। সাগর সে সময় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে এবং রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন।

এই হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পূর্ণ হয়েছে আজ। এত বছরেও হত্যাকাণ্ডের কারণ জানাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার তারিখ এখন পর্যন্ত ১০৫ বার পিছিয়েছে।সূত্র : ঢাকা পোস্ট

হককথা/নাছরিন