নিউইয়র্ক ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশকে কুক্ষিগত করতে ভারত চাণক্য নীতি অনুসরণ করেছে: দিলারা চৌধুরী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৫৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৬১ বার পঠিত

বাংলাদেশকে কুক্ষিগত করতে ভারত চাণক্য নীতি অনুসরণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় নাগরিক কমিটির ‘জুলাই-বিপ্লব পরবর্তী পররাষ্ট্রনীতি’ বিষয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিজ) মিলনায়তনে দিনব্যাপী এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথম অধিবেশনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘দেশে গত ১৫ বছর কোনো পররাষ্ট্রনীতি ছিল না। বাংলাদেশকে কুক্ষিগত করতে ভারত চাণক্য নীতি অনুসরণ করেছে। তাঁরা যা চেয়েছে, তা-ই হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান শুধু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেই ঘটেনি, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধেও ছিল এই অভ্যুত্থান।’ বিশ্বের পরিস্থিতি ঘোলাটে—স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি এখন রাষ্ট্র হিসেবে ও জাতি হিসেবে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় সংহতি জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ভারতসহ সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে সংঘাত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তিনি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ এস এম আলী আশরাফ বলেন, পররাষ্ট্রনীতিতে জনসম্পৃক্ততা তুলে ধরা দরকার।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ নীতি-কৌশলের সঙ্গে মিলিয়ে দক্ষ কর্মী বিদেশে পাঠানো ও কৃষি-শিল্পপণ্যের রপ্তানি বাড়ানোসহ মানুষের কল্যাণে বাস্তবমুখী ও টেকসই পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করতে হবে।’ বাংলাদেশের আদৌ কোনো পররাষ্ট্রনীতি আছে কি না—এমন প্রশ্ন তুলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ-উর-রহমান বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অ্যাডহক ভিত্তিতে যখন নিজের জন্য যা দরকার তা করেছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে তাঁর পতনের পর এখন নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বকে এখন জানাতে হবে বাংলাদেশের একটি পররাষ্ট্রনীতি আছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় উগ্রবাদ প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন, এমনটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি দেশের ভেতরে ডানপন্থী কর্তৃত্ববাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে কি না, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার ওপর জোর দেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘দেশে বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ে কাজ করার মতো ভালো কোনো গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেই। রাজনৈতিক কর্মীদের সারা দিন ভারতবিরোধী স্লোগান দিলে কাজ হবে না। ইস্যুভিত্তিক বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে হবে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কামরুল আহসান ও অধ্যাপক শাহাব এনাম খান, দৃকপ্রধান শহীদুল আলম, বিএনপির অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, এবি পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মোহাম্মদ আবদুর রব, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও সংগঠনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতি সেলের আলাউদ্দিন মোহাম্মদ বিভিন্ন অধিবেশনে বক্তব্য দেন। সূত্র : আজকের পত্রিকা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশকে কুক্ষিগত করতে ভারত চাণক্য নীতি অনুসরণ করেছে: দিলারা চৌধুরী

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশকে কুক্ষিগত করতে ভারত চাণক্য নীতি অনুসরণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় নাগরিক কমিটির ‘জুলাই-বিপ্লব পরবর্তী পররাষ্ট্রনীতি’ বিষয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিজ) মিলনায়তনে দিনব্যাপী এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথম অধিবেশনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘দেশে গত ১৫ বছর কোনো পররাষ্ট্রনীতি ছিল না। বাংলাদেশকে কুক্ষিগত করতে ভারত চাণক্য নীতি অনুসরণ করেছে। তাঁরা যা চেয়েছে, তা-ই হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান শুধু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেই ঘটেনি, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধেও ছিল এই অভ্যুত্থান।’ বিশ্বের পরিস্থিতি ঘোলাটে—স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি এখন রাষ্ট্র হিসেবে ও জাতি হিসেবে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় সংহতি জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ভারতসহ সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে সংঘাত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তিনি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ এস এম আলী আশরাফ বলেন, পররাষ্ট্রনীতিতে জনসম্পৃক্ততা তুলে ধরা দরকার।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ নীতি-কৌশলের সঙ্গে মিলিয়ে দক্ষ কর্মী বিদেশে পাঠানো ও কৃষি-শিল্পপণ্যের রপ্তানি বাড়ানোসহ মানুষের কল্যাণে বাস্তবমুখী ও টেকসই পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করতে হবে।’ বাংলাদেশের আদৌ কোনো পররাষ্ট্রনীতি আছে কি না—এমন প্রশ্ন তুলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ-উর-রহমান বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অ্যাডহক ভিত্তিতে যখন নিজের জন্য যা দরকার তা করেছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে তাঁর পতনের পর এখন নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বকে এখন জানাতে হবে বাংলাদেশের একটি পররাষ্ট্রনীতি আছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় উগ্রবাদ প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন, এমনটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি দেশের ভেতরে ডানপন্থী কর্তৃত্ববাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে কি না, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার ওপর জোর দেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘দেশে বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ে কাজ করার মতো ভালো কোনো গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেই। রাজনৈতিক কর্মীদের সারা দিন ভারতবিরোধী স্লোগান দিলে কাজ হবে না। ইস্যুভিত্তিক বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে হবে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কামরুল আহসান ও অধ্যাপক শাহাব এনাম খান, দৃকপ্রধান শহীদুল আলম, বিএনপির অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, এবি পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মোহাম্মদ আবদুর রব, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও সংগঠনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতি সেলের আলাউদ্দিন মোহাম্মদ বিভিন্ন অধিবেশনে বক্তব্য দেন। সূত্র : আজকের পত্রিকা।