নিউইয়র্ক ০২:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জেলে মাটির ফ্লোরে শুয়েছি, অ্যালুমিনিয়ামের গ্লাসে পানি খেতে হয়েছে: মির্জা আব্বাস

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:২৮:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪
  • / ৬৬ বার পঠিত

জেল জীবনের কষ্টের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ১৯৭৮ সাল থেকেই জেল জীবন শুরু হয়েছে। এবারের মত অভিজ্ঞতা তার আগে কখনো হয়নি।

বনেদি পরিবারের সন্তান আব্বাস বলেন, আমি নিরেট মাটির ফ্লোরের মধ্যে শুয়েছি, নট সিমেন্ট, অ্যালুমিনিয়ামের ভাঙাচোরা আঁকা-বাঁকা প্লেট, অ্যালুমিনিয়ামের গ্লাস, এর মধ্যে পানি খেতে হয়েছে। প্রথম যখন জেল খাটি, তখন আমার বয়স ২৭, আজকে ৭৭ ছুঁই ছুঁই। এবারের জেলখানা একটু ব্যতিক্রম। সোমবার শাহজাহানপুরের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, যখনই আমরা বলি, ‘আমার একটু বাইরে হাঁটব, আমার ডায়াবেটিস আছে, আমার হার্টের সমস্যা আছে, তখন বলে, ‘না স্যার, হাঁটা যাবে না।’ ‘আমরা বলি, ‘ওই যে হাঁটছে’, তারা বলেন, ‘ওরা আর আপনারা এক নন, দেওয়া যাবে না।’

‘এভাবে কোনো সুবিধা জেলখানায় আমাদেরকে দেওয়া হয়নি। এমনকি চিকিৎসা সুবিধাও তারা দেয়নি। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কথা বললে বলে, ‘না, স্যার নিষেধ আছে কোনো ডাক্তার আনা যাবে না।’ জামিন পেয়ে নিজেকে ‘খাঁচায় পোষা মুরগির মত’ লাগছে জানিয়ে তিনি বলেন, যখন দরকার নিয়ে যাবে আবার।

মির্জা আব্বাস বলেন, মাঝে মাঝে কৈ মাছের দাম শুনে অবাক লাগে, ভাবতেই পারি না। ডিমের দাম দাম ২০/২৫ টাকা ছিল। জেলখানায় একটা ডিমের দাম ২০ টাকা। আমি শুনে আকাশ থেকে পড়লাম। সব মিলিয়ে রমজান মানুষের জন্য কতটুকু স্বস্তিদায়ক হবে, তা নিয়ে অনেক সন্দেহ আছে।” সূত্র : যুগান্তর।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

জেলে মাটির ফ্লোরে শুয়েছি, অ্যালুমিনিয়ামের গ্লাসে পানি খেতে হয়েছে: মির্জা আব্বাস

প্রকাশের সময় : ১২:২৮:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

জেল জীবনের কষ্টের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ১৯৭৮ সাল থেকেই জেল জীবন শুরু হয়েছে। এবারের মত অভিজ্ঞতা তার আগে কখনো হয়নি।

বনেদি পরিবারের সন্তান আব্বাস বলেন, আমি নিরেট মাটির ফ্লোরের মধ্যে শুয়েছি, নট সিমেন্ট, অ্যালুমিনিয়ামের ভাঙাচোরা আঁকা-বাঁকা প্লেট, অ্যালুমিনিয়ামের গ্লাস, এর মধ্যে পানি খেতে হয়েছে। প্রথম যখন জেল খাটি, তখন আমার বয়স ২৭, আজকে ৭৭ ছুঁই ছুঁই। এবারের জেলখানা একটু ব্যতিক্রম। সোমবার শাহজাহানপুরের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, যখনই আমরা বলি, ‘আমার একটু বাইরে হাঁটব, আমার ডায়াবেটিস আছে, আমার হার্টের সমস্যা আছে, তখন বলে, ‘না স্যার, হাঁটা যাবে না।’ ‘আমরা বলি, ‘ওই যে হাঁটছে’, তারা বলেন, ‘ওরা আর আপনারা এক নন, দেওয়া যাবে না।’

‘এভাবে কোনো সুবিধা জেলখানায় আমাদেরকে দেওয়া হয়নি। এমনকি চিকিৎসা সুবিধাও তারা দেয়নি। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কথা বললে বলে, ‘না, স্যার নিষেধ আছে কোনো ডাক্তার আনা যাবে না।’ জামিন পেয়ে নিজেকে ‘খাঁচায় পোষা মুরগির মত’ লাগছে জানিয়ে তিনি বলেন, যখন দরকার নিয়ে যাবে আবার।

মির্জা আব্বাস বলেন, মাঝে মাঝে কৈ মাছের দাম শুনে অবাক লাগে, ভাবতেই পারি না। ডিমের দাম দাম ২০/২৫ টাকা ছিল। জেলখানায় একটা ডিমের দাম ২০ টাকা। আমি শুনে আকাশ থেকে পড়লাম। সব মিলিয়ে রমজান মানুষের জন্য কতটুকু স্বস্তিদায়ক হবে, তা নিয়ে অনেক সন্দেহ আছে।” সূত্র : যুগান্তর।