নিউইয়র্ক ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

অন্যায়ের শরীক হবেন না, ভোট বর্জন করুন : নজরুল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১৬৫ বার পঠিত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বক্তব্য রাখছেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ডেস্ক : দেশের জনগণের প্রতি ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, কাকে ভোট দিতে যাবেন? হয় সরকারি দলের প্রাথী, না হয় ডামি, না হয় তাদের অনুগত প্রার্থী। এ কারণে দেশবাসীকে বলবো আপনারা এই ভোট বর্জন করুন, ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। এ অন্যায়ের শরীক হবেন না, ডাকাতি ঠেকাতে না পারলেও, ডাকাতের সঙ্গে তাল মেলাবেন না।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভোট বর্জন, খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ড্যাব আয়োজিত মানববন্ধনে নজরুল ইসলাম খান এ আহ্বান জানান। পরে প্রেসক্লাবের সামনে ‘ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের’ পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেন।

বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) প্রেসিডেন্ট হারুনুর অর রশিদের সভাপতিত্বে মহাসচিব ড. আব্দুস সালামের সঞ্চালমায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ড্যাব নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. শহিদ হাসান, ডা. খালেকুজ্জামান দিপু, ডা. জাফর ইকবাল, ডা. মাহবুবুর রহমান, ডা. মাহমুদ মান্নান, ডা. মশিউর রহমান কাজল, ডা. জহিরুল ইসলাম সাকি, ডা. মঈনুল হক মিতুল, শফিকুল ইসলাম মাসুম, ডা. রুস্তম আলী মধু প্রমুখ।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ৭ জানুয়ারি যা ঘটতে যাচ্ছে, সেটা যদি নির্বাচন হতো তবে সেখানে অংশ নেয়া, না যাওয়ার প্রশ্ন আসতো। কিন্ত ৭ তারিখ যা ঘটতে যাচ্ছে সেখানে কোনো প্রতিপক্ষ নেই। সবাই আমি ডামি ও আমার লোক, এদের মধ্যে যে নির্বাচনী খেলা এটাকে নির্বাচন বলা যায় না। এ জন্য হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে, লাখ লাখ সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের টাকা অপচয় করা হবে। বিরোধী নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেয়া হবে, এ কারণেই আমরা এই ভোট বর্জন করেছি।

বাকশালের আমলে এমন নির্বাচনী পরিবেশ ছিলো উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশে বর্তমানে যে অরাজকতা, এ অবস্থা আর যাই হোক, গণতান্ত্রিক পরিবেশ হতে পারে না। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আমদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। জনগণকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি। এবারো জনগণকে বঞ্চিত করার পায়তারা করছে।

নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, যেখানে জনগণের জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের সুযোগ নেই এমন একটি নির্বাচনী খেলা জনগণ চায় না। চায় না বলেই জনগন এ নির্বাচন বর্জন করেছে। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন আমরা রাজপথে আছি।

আমরা জনগণের জন্য ত্যাগ স্বীকারে রাজি আছি জানিয়ে বিএনপি এই নেতা বলেন, সরকার এতো পরিমাণ অত্যাচার অনাচার, লুটপাট করেছে, তারা ভয় পায় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে। সে কারণে তারা যেকোন ভাবে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে।সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

অন্যায়ের শরীক হবেন না, ভোট বর্জন করুন : নজরুল

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : দেশের জনগণের প্রতি ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, কাকে ভোট দিতে যাবেন? হয় সরকারি দলের প্রাথী, না হয় ডামি, না হয় তাদের অনুগত প্রার্থী। এ কারণে দেশবাসীকে বলবো আপনারা এই ভোট বর্জন করুন, ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। এ অন্যায়ের শরীক হবেন না, ডাকাতি ঠেকাতে না পারলেও, ডাকাতের সঙ্গে তাল মেলাবেন না।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভোট বর্জন, খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ড্যাব আয়োজিত মানববন্ধনে নজরুল ইসলাম খান এ আহ্বান জানান। পরে প্রেসক্লাবের সামনে ‘ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের’ পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেন।

বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) প্রেসিডেন্ট হারুনুর অর রশিদের সভাপতিত্বে মহাসচিব ড. আব্দুস সালামের সঞ্চালমায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ড্যাব নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. শহিদ হাসান, ডা. খালেকুজ্জামান দিপু, ডা. জাফর ইকবাল, ডা. মাহবুবুর রহমান, ডা. মাহমুদ মান্নান, ডা. মশিউর রহমান কাজল, ডা. জহিরুল ইসলাম সাকি, ডা. মঈনুল হক মিতুল, শফিকুল ইসলাম মাসুম, ডা. রুস্তম আলী মধু প্রমুখ।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ৭ জানুয়ারি যা ঘটতে যাচ্ছে, সেটা যদি নির্বাচন হতো তবে সেখানে অংশ নেয়া, না যাওয়ার প্রশ্ন আসতো। কিন্ত ৭ তারিখ যা ঘটতে যাচ্ছে সেখানে কোনো প্রতিপক্ষ নেই। সবাই আমি ডামি ও আমার লোক, এদের মধ্যে যে নির্বাচনী খেলা এটাকে নির্বাচন বলা যায় না। এ জন্য হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে, লাখ লাখ সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের টাকা অপচয় করা হবে। বিরোধী নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেয়া হবে, এ কারণেই আমরা এই ভোট বর্জন করেছি।

বাকশালের আমলে এমন নির্বাচনী পরিবেশ ছিলো উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশে বর্তমানে যে অরাজকতা, এ অবস্থা আর যাই হোক, গণতান্ত্রিক পরিবেশ হতে পারে না। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আমদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। জনগণকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি। এবারো জনগণকে বঞ্চিত করার পায়তারা করছে।

নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, যেখানে জনগণের জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের সুযোগ নেই এমন একটি নির্বাচনী খেলা জনগণ চায় না। চায় না বলেই জনগন এ নির্বাচন বর্জন করেছে। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন আমরা রাজপথে আছি।

আমরা জনগণের জন্য ত্যাগ স্বীকারে রাজি আছি জানিয়ে বিএনপি এই নেতা বলেন, সরকার এতো পরিমাণ অত্যাচার অনাচার, লুটপাট করেছে, তারা ভয় পায় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে। সে কারণে তারা যেকোন ভাবে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে।সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল

হককথা/নাছরিন